ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ

সাতক্ষীরা-বরিশাল-ভোলার জয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৪৯, ১৮ জানুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সাতক্ষীরা-বরিশাল-ভোলার জয়

ওয়ালটন গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় ৬৩টি জেলা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা বোর্ড ও সার্ভিসেস দলসহ মোট ৭৮টি দল নিয়ে শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২০’ পাওয়ার্ড বাই ওয়ালটন স্মার্ট ফ্রিজ। আজ শনিবার বিভিন্ন জোনে ১৫টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জয় পেয়েছে সাতক্ষীরা, নরসিংদী, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ঠাকুরগাঁও, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলা।

মোসলেম উদ্দিন ভুঁইয়া স্টেডিয়ামে নরসিংদী জেলা ১-০ গোলে হারায় চাঁদপুর জেলাকে। শেখ হেলাল উদ্দিন স্টেডিয়ামে বরিশাল জেলা একই ব্যবধানে হারায় বাগেরহাট জেলাকে। বরগুনা জেলা স্টেডিয়ামে স্বাগতিক দলকে ১-০ গোলে হারায় পটুয়াখালী জেলা। গজনবী স্টেডিয়ামে ঝালকাঠি জেলাকে ৩-১ গোলে হারায় ভোলা জেলা। সাতক্ষীরা জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে স্বাগতিক দল ৪-১ গোলে হারায় পিরোজপুর জেলাকে। জালাল স্টেডিয়ামে স্বাগতিক হবিগঞ্জ জেলা ১-০ গোলে হারায় ব্রাক্ষ্মণবাড়ীয়া জেলাকে।

মৌলভীবাজার জেলা স্টেডিয়ামে স্বাগতিক জেলা ১-০ গোলে হারায় সুনামগঞ্জ জেলাকে। বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্টেডিয়ামে ঝিনাইদহ জেলা ২-০ গোলে জয় পায় মাগুরা জেলার বিপক্ষে। বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত নড়াইল জেলা ও খুলনা জেলার ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে স্বাগতিক জেলা ২-১ গোলে হারায় মেহেরপুর জেলাকে। শাহ আব্দুল হাকিম স্টেডিয়ামে রংপুর জেলা ১-০ গোলে জয় পায় গাইবান্ধা জেলার বিপক্ষে। লালমনিরহাট জেলা স্টেডিয়ামে স্বাগতিক জেলা ১-০ গোলে জয় পায় পঞ্চগড়ের বিপক্ষে।

কুড়িগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামে স্বাগতিক দল ১-০ গোলে হারায় দিনাজপুর জেলাকে। শহীদ আলী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ঠাকুরগাঁও জেলা ৪-১ গোলে হারায় নীলফামারী জেলাকে। শামসউল হুদা স্টেডিয়ামে যশোর জেলা ২-১ গোলে হেরে যায় গোপালগঞ্জের কাছে।

সবশেষ ২০০৭ সালে আয়োজিত হয়েছিল এই টুর্নামেন্ট। ১৩ বছর পর বঙ্গবন্ধুর নামে আবার মাঠে গড়াল এই টুর্নামেন্ট। জেলা ফুটবল দলগুলোকে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, শীতলক্ষা, ব্রহ্মপুত্র, বুড়িগঙ্গা চিত্রা ও সুরমা জোনে ভাগ করা হয়েছে। সুরমা বাদে প্রতি অঞ্চলে আটটি করে দল রয়েছে। আট দলকে চার জোড়ায় ভাগ করে নক আউট পদ্ধতিতে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে চারটি দল জিতবে। এই চার দলের মধ্যে আবার দুই জোড়া করে নক আউট হবে। সেই দুই নক আউট জয়ীদের মধ্যে জোনাল চ্যাম্পিয়নের লড়াই হবে। জোনাল চ্যাম্পিয়ন দল চূড়ান্ত পর্বে খেলবে। আট জোন থেকে আটটি ও সার্ভিসেস দল থেকে দুটিসহ মোট ১০টি দল চূড়ান্তপর্ব খেলবে।

সুরমা অঞ্চলে কিশোরগঞ্জ না থাকায় মৌলভীবাজার, সিলেট ও সুনামগঞ্জ হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে গ্রুপ ভিত্তিক খেলবে। জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনগুলোকে এই চ্যাম্পিয়নশিপ উপলক্ষ্যে ১ লাখ ৫০ হাজার ও সার্ভিসেস,বিশ্ববিদ্যালয় ও বোর্ডকে ৫০ হাজার টাকা অংশগ্রহণ ফি দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। প্রত্যেক দলকে দুই সেট জার্সি দেওয়া হয়েছে। ঘরের মাঠে লাল জার্সি ও অ্যাওয়ে ম্যাচে সবুজ জার্সি পড়ে খেলা হবে।


ঢাকা/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়