ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

চিত্রা অঞ্চল থেকে নকআউট পর্বে পটুয়াখালী ও সাতক্ষীরা

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:২০, ২২ জানুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
চিত্রা অঞ্চল থেকে নকআউট পর্বে পটুয়াখালী ও সাতক্ষীরা

ওয়ালটন গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় চলমান ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২০’ এ আজ বুধবার বিভিন্ন জোনে ৩টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।

চিত্রা জোনে দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জয় পেয়েছে পটুয়াখালী ও সাতক্ষীরা। এই জয়ে দল দুটি পৌঁছে গেছে নকআউট তথা প্লেট পর্বে। এদিকে শীতলক্ষা অঞ্চলে একটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে জয় পেয়েছে পাবনা জেলা।

চিত্রা অঞ্চলের ম্যাচে অ্যাডভোকে আবুল কাশেম স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলা। ম্যাচে ২-০ গোলে জয় পায় পটুয়াখালী। ম্যাচের ৬৯ মিনিটে এনামুল ও ৭৩ মিনিটে হৃদয় গোল করেন। এই জয়ে পটুয়াখালী পৌঁছে যায় নকআউট পর্বে। প্রথম ম্যাচে তারা বরগুনাকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল। এই অঞ্চলের অপর ম্যাচে পিরোজপুর জেলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে স্বাগতিক জেলাকে ২-০ গোলে হারায় সাতক্ষীরা। ম্যাচের ৪৬ মিনিটে সুমন ও ৭০ মিনিটে মিরাজ গোল করেন।

শীতলক্ষা জোনের একমাত্র ম্যাচে পাবনা জেলা ২-১ গোলে হারায় নাটোরকে। পাবনার হয়ে ম্যাচের ৬০ মিনিটে রতন ও ৭৪ মিনিটে শিশির গোল করেন। ৯৩ মিনিটে নাটোরের হয়ে একটি গোল শোধ দেন সুরঞ্জিত।

এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের গ্রুপ পর্বের খেলা শেষ হল। ২৪ থেকে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত দ্বিতীয় রাউন্ড তথা প্লেট পর্ব শুরু হবে। ৩১ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে প্লেট পর্বের ফাইনাল।

১৩ বছর পর বঙ্গবন্ধুর নামে মাঠে গড়ানো এই টুর্নামেন্টে জেলা ফুটবল দলগুলোকে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, শীতলক্ষা, ব্রহ্মপুত্র, বুড়িগঙ্গা চিত্রা ও সুরমা জোনে ভাগ করা হয়েছে। সুরমা বাদে প্রতি অঞ্চলে আটটি করে দল রয়েছে। আট দলকে চার জোড়ায় ভাগ করে নক আউট পদ্ধতিতে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে চারটি দল জিতবে। এই চার দলের মধ্যে আবার দুই জোড়া করে নকআউট পর্বে খেলা হবে। সেই নকআউট পর্বে জয়ী দুটি দলের মধ্যে জোনাল চ্যাম্পিয়নের লড়াই হবে। জোনাল চ্যাম্পিয়ন দল চূড়ান্তপর্বে খেলবে। আট জোন থেকে আটটি ও সার্ভিসেস দল থেকে দুটিসহ মোট ১০টি দল চূড়ান্তপর্ব খেলবে।

সুরমা অঞ্চলে কিশোরগঞ্জ না থাকায় মৌলভীবাজার, সিলেট ও সুনামগঞ্জ হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে গ্রুপ ভিত্তিক খেলবে।

ওয়ালটন গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত এই টুর্নামেন্টে ৬৩টি জেলা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা বোর্ড ও সার্ভিসেস দলসহ মোট ৭৮টি দল অংশ নিয়েছে।

জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনগুলোকে এই চ্যাম্পিয়নশিপ উপলক্ষ্যে ১ লাখ ৫০ হাজার ও সার্ভিসেস,বিশ্ববিদ্যালয় ও বোর্ডকে ৫০ হাজার টাকা অংশগ্রহণ ফি দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। প্রত্যেক দলকে দুই সেট জার্সি দেওয়া হয়েছে। ঘরের মাঠে লাল জার্সি ও অ্যাওয়ে ম্যাচে সবুজ জার্সি পড়ে খেলা হচ্ছে।


ঢাকা/আমিনুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়