সাকিব-জামালকে পেছনে ফেলে বর্ষসেরা রোমান
দেশের ক্রীড়া সাংবাদিক ও ক্রীড়া লেখকদের সবচেয়ে প্রাচীন সংগঠন বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন (বিএসপিএ), যা বাংলাদেশ ক্রীড়ালেখক সমিতি নামে সুপরিচিত।
১৯৬২ সালে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হবার দুই বছর পর অর্থাৎ ১৯৬৪ সাল থেকে সেরা ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের পুরস্কৃত করার ধারা চালু করেছিল। গত অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময় ধরে কয়েকশত ব্যক্তি, সংস্থা, প্রতিষ্ঠান পেয়েছে মর্যাদার এই পুরস্কার। তারই ধারাবাহিকতায় আজ শুক্রবার জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সেরাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
২০১৯ সালের বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ ও দর্শকের ভোটে পপুলার চয়েস অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন তীরন্দাজ রোমান সানা। এ যাত্রায় তিনি পেছনে ফেলেছেন ফুটবলার জামাল ভুঁইয়া ও ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে। জামাল প্রথম রানার্স-আপ ও সাকিব দ্বিতীয় রানার্স-আপ হন।
এ ছাড়া বর্ষসেরা ক্রিকেটার হয়েছেন সাকিব আল হাসান। বর্ষসেরা ফুটবলার হয়েছেন জামাল ভুঁইয়া। বর্ষসেরা তীরন্দাজের পুরস্কার পেয়েছেন রোমান সানা। বর্ষসেরা ভারোত্তোলক নির্বাচিত হন মাবিয়া আক্তার সীমান্ত। বর্ষসেরা কারাতেকা হন হুমায়রা আক্তার অন্তরা। বর্ষসেরা ফেন্সার ফাতেমা মুজিব, বর্ষসেরা তায়কোয়ান্দো খেলোয়াড় দীপু চাকমা ও উদীয়মান ক্রীড়াবিদ হন ইতি খাতুন (আরচারি)। এর বাইরে বর্ষসেরা কোচ হয়েছেন আর্চারির মার্টিন ফ্রেডরিক এবং বর্ষসেরা সংগঠকের পুরস্কার পেয়েছেন কাজী রাজিব উদ্দিন আহমেদ চপল। সকলে ট্রফি ও সদনপত্র দেওয়ার পাশাপাশি আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অঞ্জন চৌধুরী এবং এআইপিএস এশিয়ার সভাপতি সাত্তাম আলসেহালি।
অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে বিএসপিএ সভাপতি মোস্তফা মামুন বলেন, ‘আমাদের এই আয়োজনের কলেবর বেড়েছে। আমরা জাতীয় পর্যায়ের সাফল্যকে আন্তর্জাতিকভাবে যুক্ত করার চেষ্টা করছি। এবার যেমন কাতার ও কুয়েত থেকে আমাদের এই অনুষ্ঠানে দুজন অতিথি এসেছেন। আশা করি, এই ধারাবাহিকতা আমরা আগামীতে ধরে রাখতে পারব।’
গেস্ট অব অনার সাত্তাম আলসাহেলি বলেন, ‘আমি এখানে এসে যা শুনলাম, তাতে মনে হচ্ছে বিএসপিএ-ই এশিয়ার সবচেয়ে প্রাচীন ক্রীড়া সাংবাদিকদের সংগঠন। এটা দারুণ ব্যাপার। এআইপিএস এশিয়া সবসময় এই সংগঠনের পাশে থাকবে।’
পৃষ্ঠপোষক স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি অঞ্জন চৌধূরী বলেন, ‘বিএসপিএকে ধন্যবাদ। এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে ক্রিকেট, ফুটবল ছাড়াও বিভিন্ন খেলার ক্রীড়াবিদদের সম্মান জানানো হয়। অনান্য ক্ষেত্রের মতো ক্রীড়াঙ্গনে নারীরাও এগিয়ে যাচ্ছে-এটা আমাদের জন্য বড় প্রাপ্তি।’
এবারের পুরস্কার জয়ীরা:
বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ: রোমান সানা (আর্চারি),
পপুলার চয়েজ অ্যাওয়াড: রোমান সানা (আর্চারি),
বর্ষসেরা ক্রিকেটার : সাকিব আল হাসান,
বর্ষসেরা ফুটবলার : জামাল ভুঁইয়া,
বর্ষসেরা আরচার : রোমান সানা,
বর্ষসেরা ভারোত্তোলক : মাবিয়া আক্তার সীমান্ত,
বর্ষসেরা কারাতেকা : হুমায়রা আক্তার অন্তরা,
বর্ষসেরা ফেন্সার : ফাতেমা মুজিব,
উদীয়মান ক্রীড়াবিদ : ইতি খাতুন (আরচারি),
বর্ষসেরা তায়কোয়ান্দো খেলোয়াড় : দীপু চাকমা,
বর্ষসেরা কোচ : মার্টিন ফ্রেডরিক,
বর্ষসেরা সংগঠক : কাজী রাজিব উদ্দিন আহমেদ চপল,
তৃণমূলের ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব (দু’জন) : রফিক উল্যাহ আখতার মিলন এবং তাজুল ইসলাম,
বিশেষ সম্মাননা আব্দুল জলিল,
বর্ষসেরা পৃষ্ঠপোষক: সিটি গ্রুপ।
ঢাকা/আমিনুল
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন