ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

হতশ্রী পারফরম্যান্সে সিরিজ হার বাংলাদেশের

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৩৬, ২৫ জানুয়ারি ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
হতশ্রী পারফরম্যান্সে সিরিজ হার বাংলাদেশের

দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে স্রেফ উড়ে গেল বাংলাদেশ।

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস জিতে আগে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ ৬ উইকেটে ১৩৬ রান তোলে। জবাবে পাকিস্তান জয় পায় ৯ উইকেট হাতে রেখে, ২০ বল আগে। 

স্কোর: পাকিস্তান ১৩৭/১ (১৬.৪ ওভার)

বাংলাদেশ ১৩৬/৬ (২০ ওভার)

পাকিস্তানের অনায়েস জয়

ব্যাটিং নেই কোনো পরিকল্পনা। বোলিংয়ে নেই কোনো বিষ। ফিল্ডিংটাও নড়বড়ে। সব মিলিয়ে ক্রিকেটের তিন বিভাগে গোটা দলটাই যেন এলোমেলো। এমন দল নিয়ে মাঠের ক্রিকেটে শুধু অংশগ্রহণ করা যায়। ভালো ক্রিকেট খেলা যায় না মোটেও। পাকিস্তান যেন সেই সুযোগটা কাজে লাগাল ভালোভাবে। বাংলাদেশকে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে হারিয়ে সিরিজ জিতল হেসেখেলে। এর আগে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তান জিতেছিল ৫ উইকেটে।


ছক্কায় পাকিস্তানের একশ, বাবরের ফিফটি

মুস্তাফিজুর রহমানের শর্ট বল পুল করে লং অফ দিয়ে ছক্কা হাঁকালেন বাবর আজম। ৯৭ থেকে পাকিস্তানের রান এক লাফে ১০৩। পরের বলে ডানহাতি ব্যাটসম্যানের এক রান। এই রানে ব্যক্তিগত ফিফটি ছুঁলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক। টি-টোয়েন্টিতে এটি তার ১৩তম ফিফটি।

হাফিজের ফিফটি

শফিউলের শর্ট বল থার্ড ম্যানে পাঠিয়ে প্রান্ত বদল করলেন মোহাম্মদ হাফিজ। এই রানে ক্যারিয়ারের ১১তম টি-টোয়েন্টি ফিফটি ছুঁলেন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ৩৯ বলে ৮ বাউন্ডারিতে ফিফটিতে পৌঁছান হাফিজ।

১০ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ৬৯

মামুলি টার্গেটে ব্যাটিং করতে নেমে ১০ ওভারে ৬৮ রান তুলেছে পাকিস্তান। শেষ ১০ ওভারে তাদের প্রয়োজন মাত্র ৬৯। দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নিচ্ছেন হাফিজ ও অধিনায়ক বাবর। 

পঞ্চাশ পেরিয়ে পাকিস্তান

শুরুতে উইকেট হারালেও দ্বিতীয় উইকেটে ঘুরে দাঁড়িয়েছে পাকিস্তান। মোহাম্মদ হাফিজ ও বাবর আজম দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নিচ্ছেন। ৭.৩ ওভারে দলীয় পঞ্চাশ রান পায় পাকিস্তান। দ্বিতীয় উইকেটে ৪০ বলে ৫০ রানের জুটি হয়েছে দুজনের। 

৩৬ বলে পাকিস্তানের ৩৬ রান

ওভারপ্রতি ৬ করে রান তুলছে পাকিস্তান। পাওয়ার প্লে’তে ৬ ওভারে পাকিস্তানের রান ৩৬। হারিয়েছে ১ উইকেট। পাওয়ার প্লে’তে বাংলাদেশ ২ উইকেট হারিয়ে তুলেছিল ৩৩ রান।

শফিউলের প্রথম উইকেট

প্রথম ওভারে আবারও উইকেটের স্বাদ পেলেন শফিউল ইসলাম। এবার তার শিকার আহসান আলী। ডানহাতি পেসারের লেন্থ বল তুলে মারতে গিয়ে মিড অনে ক্যাচ দেন। ৭ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি আহসান। তার আউটের সময় পাকিস্তানের রান ১ উইকেটে ৬।  প্রথম টি-টোয়েন্টিতে শফিউল নিজের প্রথম ওভারে ফিরিয়েছিলেন বাবর আজমকে।

ইনিংসের ৪৭ বলই ডট

প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ডট বল ছিল ৪৫। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে সংখ্যাটা বাড়ল। এবার ৪৭ বলই ডট। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৪১ রান নিয়েও পারেনি বাংলাদেশ। এবার পুঁজি মাত্র ১৩৬। সিরিজ বাঁচাতে পারবে কি বাংলাদেশ?

ফের হতাশ করল ব্যাটসম্যান

ব্যাটিং ইনিংসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এক মুহূর্তের জন্যও পাকিস্তানের বোলারদের চেপে ধরতে পারেননি ব্যাটসম্যানরা। ঘরের মাঠে দাপট দেখিয়েছে পাকিস্তানের বোলাররা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট নিয়ে রানের চাকায় টেনেছেন লাগাম। প্রথমে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েও বড় ইনিংস করতে ব্যর্থ বাংলাদেশ। তামিম ইকবালের মন্থর ব্যাটিং আরেকবার চোখে লেগেছে। এবার অবশ্য ফিফটি পেয়েছেন। কিন্তু যে সময়ে তাকে খুব দরকার ছিল সেই সময়ে হয়েছেন আউট। আবার রান আউট। ফিফটি করে তামিম ফেরেন ৬৫ রানে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ রান আসে আফিফের ব্যাট থেকে। বাকিরা কেউই পারেননি ভালো করতে।

মাহমুদউল্লাহও ব্যর্থ

শেষ দিকে দলের চাহিদা পূরণ করতে পারলেন না মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। তার ব্যাটে ঝড়ের প্রত্যাশা করেছিল দল। কিন্তু ডানহাতি ব্যাটসম্যান ফিরলেন ১২ বলে ১২ রান করে। পেসার হাসির রউফের লেন্থ বল উড়াতে গিয়ে বোল্ড হন ডানহাতি ব্যাটসম্যান। তার আউটের সময় বাংলাদেশের রান ৬ উইকেটে ১২৬।

আবার রান আউটে ফিরলেন তামিম

প্রথম টি-টোয়েন্টিতে রান আউট হয়েছিলেন তামিম। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও তামিম রান আউটে ফিরলেন সাজঘরে। ইমাদ ওয়াসিমকে হাতে বল দিয়ে দৌড় দিয়েছিলেন তামিম। সরাসরি থ্রোতে ভাঙে উইকেট। তামিম তখনও উইকেটের বাইরে। সাজঘরে ফেরার আগে ৫৩ বলে ৬৫ রান করেন তামিম। ৭ চার ও ১ ছক্কায় সাজান তার ইনিংসটি। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে তার জুটিতে আসে ১৮ বলে ৩১ রান।তার আউটের সময় বাংলাদেশের রান ৫ উইকেটে ১১৭। 

বাংলাদেশের সেরা ওভার

শাদাব খানের করা ১৬তম ওভারে ১৪ রান পায় বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত এটাই বাংলাদেশের সেরা ওভার। লেগ স্পিনারের ওভারে তিনটি বাউন্ডারি হাঁকান তামিম। এর আগে তিনটি ওভারে ১২ করে রান তুলেছিল দল। 


বাংলাদেশের একশ

১৫.৪ ওভারে দলীয় শতরানের দেখা পেল বাংলাদেশ।  এর আগে ৯.৪ ওভারে ফিফটি ছুঁয়েছিল দল।

তামিমের ফিফটি

লেগ স্পিনার শাদাব খানের বল ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠালেন তামিম।  ওই চারে তামিম পৌঁছে যান ফিফটিতে। ৪৪ বলে বাঁহাতি ওপেনার তুলে নেন ফিফটি। টি-টোয়েন্টিতে এটি তার সপ্তম ফিফটি। ফিফটিতে পৌঁছতে তামিম মেরেছেন ৪ চার ও ১ ছক্কা। 

প্রতিরোধের পর আফিফ সাজঘরে

তামিম ইকবালকে সঙ্গে নিয়ে ৪২ বলে ৪৫ রানের জুটি গড়েছিলেন আফিফ হোসেন। শুরুর ধাক্কা সামলে দুজন চেষ্টা করেছিলেন রানের চাকা সচল রাখতে।  থিতু হওয়ার পর রানের গড়ি বাড়াতে গিয়ে আফিফ ফিরলেন সাজঘরে। হাসনাইনের বলে থার্ড ম্যানে ক্যাচ দেন ২০ বলে ২১ রান করা আফিফ। তার আউটের সময় বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ৮৬।

রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন তামিম

পেসার হাসনাইনের বল উইকেট থেকে সরে অন সাইডে খেলতে চেয়েছিলেন তামিম। বল মিস করেন বাঁহাতি ওপেনার।  তার প্যাডে আঘাত করলে বোলার এলবিডব্লিউর আবেদন করেন। দীর্ঘক্ষণ পর আম্পায়ার তামিমকে আউট দেন। সঙ্গে সঙ্গে রিভিউ নেন তামিম।  রিপ্লেতে দেখা যায় বল আউট সাইড লেগ পিচ করেছিল। সেই সময়ে তামিমের রান ছিল ৪৪।

৪১ রানে নেই ৩ উইকেট

নাঈম, মেহেদির পর প্যাভিলিয়নে ফিরলেন লিটন দাসও। দলীয় ৪১ রানে শাদাবের বলে এলবিডাব্লিউ হন লিটন। রিভিউ নিলেও অন ফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত আউট হওয়াতে ৮ রান করে মাঠ ছাড়তে হয় লিটনকে।

পাওয়ার প্লে’তে নড়বড়ে বাংলাদেশ

তামিম ইকবালের ১৭ রানের পাশাপাশি মেহেদির ৯ রান ও লিটনের ৬ রানে পাওয়ারপ্লে শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দুই উইকেট হারিয়ে ৩৩ রান

সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ মেহেদি

তিনে নেমে মেহেদি ঝড়ের আভাস দেন ছয় হাঁকিয়ে। ম্যাচের তৃতীয় ওভারে ইমাদ ওয়াশিমকে লং অনের উপর দিয়ে ছয় মারেন এ ডানহাতি। একই ওভারে চার মারেন তামিম। এরপরে পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে মোহাম্মদ হাসনাইনকে পুল করতে গিয়ে ফেরেন মেহেদি। এ ব্যাটসম্যান করেন ১২ বলে ৯ রান।

নাঈমের গোল্ডেন ডাক

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের ২য় বলে শাহীন শাহ আফ্রিদির বলে উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন নাঈম। নিজের খেলা প্রথম বলে শূন্য রানে ফেরেন এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

বাংলাদেশের এক পরিবর্তন

পাকিস্তান সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজে সমতায় ফেরানোর ম্যাচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেছে বাংলাদেশ। ম্যাচে একটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ দল। মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুনের পরিবর্তে দলে সুযোগ পেয়েছেন মেহেদি হাসান।

বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, নাঈম শেখ, আফিফ হোসেন, লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), মেহেদি হাসান, শফিউল ইসলাম, সৌম্য সরকার, মুস্তাফিজুর রহমান, আল আমিন হোসেন, আমিনুল ইসলাম বিপ্লব।

পাকিস্তান একাদশ: আহসান আলী, বাবর আজম (অধিনায়ক), শোয়েব মালিক, মোহাম্মদ হাফিজ, ইমাদ ওয়াশিম, শাহীন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), হারিস রউফ, মোহাম্মদ হাসনাইন, শাদাব খান, ইফতিখার আহেমেদ।

সিরিজ বাঁচানোর লড়াই বাংলাদেশ

সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাঁচ উইকেটের জয় পায় স্বাগতিক পাকিস্তান। আজ জিতলেই সিরিজ পাকিস্তানের। মাহমুদউল্লাহর দল কি সিরিজে সমতা ফেরাতে পারবে আজ?


 

ঢাকা/কামরুল/ইয়াসিন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়