কাপ ও প্লেট পর্বের ফাইনালে আরো ১৫ দল

ওয়ালটন স্মার্ট ফ্রিজ ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২০’ এর দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলা আজ মঙ্গলবার কয়েকটি জোনে শেষ হয়েছে। সেখান থেকে কাপ ও প্লেট পর্বের ফাইনালে উঠেছে ১৫টি দল। সোমবার ফাইনালে উঠেছিল ১২টি দল। আট জোন থেকে মোট ২৭টি দল প্লেট ও কাপ পর্বের ফাইনালে উঠল।

আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয় রাউন্ডের শেষ ম্যাচে পিরোজপুর জেলাকে ২-১ গোলে হারিয়ে চিত্রা অঞ্চল থেকে প্লেট পর্বের ফাইনালে উঠেছে বরগুনা জেলা।  ঝালকাঠি জেলাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে বরিশাল জেলা চিত্রা অঞ্চল থেকে কাপ পর্বের ফাইনালে উন্নীত হয়েছে। অপর ম্যাচে পটুয়াখালী জেলাকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে সাতক্ষীরাও নাম লিখিয়েছে কাপ পর্বের ফাইনালে।

শীতলক্ষা অঞ্চল থেকে কাপ পর্বের ফাইনালে উঠেছে পাবনা জেলা। শেষ ম্যাচে তারা ৪-১ গোলে হারিয়েছে চাপাইনবাবগঞ্জ জেলাকে। এই অঞ্চলের অপর ম্যাচে নাটোরকে ১-০ গোলে হারিয়েছে জয়পুরহাট জেলা।

বুড়িগঙ্গা অঞ্চলের দ্বিতীয় রাউন্ডের শেষ ম্যাচে গোপালগঞ্জ জেলাকে ৪-২ গোলে হারিয়ে প্লেট পর্বের ফাইনালে উঠেছে মাগুরা জেলা। অপর ম্যাচে মেহেরপুরকে ১-০ গোলে হারিয়ে প্লেট পর্বের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে নড়াইল জেলাও। বুড়িগঙ্গা অঞ্চল থেকে কাপ পর্বের ফাইনালে উঠেছে খুলনা ও ঝিনাইদহ জেলা। আজ দ্বিতীয় রাউন্ডে শেষ লেগের ম্যাচে ঝিনাইদহ ২-১ গোলে হারায় যশোরকে। আর খুলনা জেলা ২-০ গোলে হারায় চুয়াডাঙ্গা জেলাকে।

ব্রহ্মপুত্র অঞ্চল থেকে প্লেট পর্বের ফাইনালে উঠেছে দিনাজপুর ও গাইবান্ধা জেলা। আজ মঙ্গলবার দ্বিতীয় রাউন্ডের শেষ ম্যাচে গাইবান্ধা টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে হারায় পঞ্চগড়কে। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলের সমতা নিয়ে শেষ হয়। আর দিনাজপুর জেলা ৩-২ গোলে হারায় ঠাকুরগাঁও জেলাকে। আর এই অঞ্চল থেকে কাপ পর্বের ফাইনালে উঠেছে নীলফামারী ও রংপুর জেলা। শেষ ম্যাচে নীলফামারি জেলা কুড়িগ্রামের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে কাপ পর্বের ফাইনালে পৌঁছে যায়। প্রথম লেগে জয় পেয়েছিল নীলফামারী জেলা। আর রংপুর জেলাও লালমনিরহাটের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে ফাইনালে নাম লিখিয়েছে।

সুরমা অঞ্চল থেকে চাঁদপুর জেলা প্লেট পর্বের ও নরসিংদী জেলা কাপ পর্বের ফাইনালে উঠেছে। শেষ ম্যাচে নরসিংদী জেলা হবিগঞ্জের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে পৌঁছে যায় কাপ পর্বের ফাইনালে। আর চাঁদপুর জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কাছে ৩-১ গোলে হেরেও (প্রথম লেগে জিতেছিল চাঁদপুর) পৌঁছে গেছে প্লেট পর্বের ফাইনালে।

এদিকে পদ্মা অঞ্চল থেকে প্লেট পর্বের ফাইনালে উঠেছে শরীয়তপুর জেলা। আর কুমিল্লা জেলা উঠেছে কাপ পর্বের ফাইনালে। শরীয়তপুর জেলা শেষ ম্যাচে ১-০ গোলে হারায় ঢাকা জেলাকে। আর কুমিল্লা জেলা তাদের শেষ ম্যাচে মুন্সিগঞ্জকে হারায় ৩-০ গোলে।

২৪ জানুয়ারি থেকে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত দ্বিতীয় রাউন্ডের কাপ ও প্লেট পর্বের দুই লেগের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হয়েছে। এরপর ৩১ জানুয়ারি থেকে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে কাপ ও প্লেট পর্বের ফাইনাল। কাপ পর্বের ফাইনালে বিজয়ী দল চূড়ান্তপর্বে উন্নীত হবে।

১৩ বছর পর বঙ্গবন্ধুর নামে মাঠে গড়ানো এই টুর্নামেন্টে জেলা ফুটবল দলগুলোকে পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, শীতলক্ষা, ব্রহ্মপুত্র, বুড়িগঙ্গা চিত্রা ও সুরমা জোনে ভাগ করা হয়েছে। সুরমা বাদে প্রতি অঞ্চলে আটটি করে দল রয়েছে। আট দলকে চার জোড়ায় ভাগ করে নকআউট পদ্ধতিতে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম রাউন্ডে জয় পাওয়া চারটি দল দ্বিতীয় রাউন্ডে উন্নীত হয়। এই চার দলের মধ্যে আবার দুই জোড়া করে নকআউট পর্বে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এখান থেকে জয়ী দুটি দলের মধ্যে জোনাল চ্যাম্পিয়নের লড়াই হবে। জোনাল চ্যাম্পিয়ন দল চূড়ান্তপর্বে খেলবে। আট জোন থেকে আটটি ও সার্ভিসেস দল থেকে দুটিসহ মোট ১০টি দলকে নিয়ে চূড়ান্তপর্বের খেলা অনুষ্ঠিত হবে।

সুরমা অঞ্চলে কিশোরগঞ্জ না থাকায় মৌলভীবাজার, সিলেট ও সুনামগঞ্জ হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে গ্রুপ ভিত্তিক খেলছে।

ওয়ালটন গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত এই টুর্নামেন্টে ৬৩টি জেলা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা বোর্ড ও সার্ভিসেস দলসহ মোট ৭৮টি দল অংশ নিয়েছে।

জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনগুলোকে এই চ্যাম্পিয়নশিপ উপলক্ষে ১ লাখ ৫০ হাজার ও সার্ভিসেস, বিশ্ববিদ্যালয় ও বোর্ডকে ৫০ হাজার টাকা অংশগ্রহণ ফি দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। প্রত্যেক দলকে দুই সেট জার্সি দেওয়া হয়েছে। ঘরের মাঠে লাল জার্সি ও অ্যাওয়ে ম্যাচে সবুজ জার্সি পড়ে খেলা হচ্ছে।

 

ঢাকা/আমিনুল