অনভিজ্ঞ স্পিনে কাবু জিম্বাবুয়ে
কুয়াশা ছিল বিকেএসপিতে। ৩ নম্বর মাঠের ঘুম তখনও ভাঙেনি!
এর আগেই মাঠে হাজির আকবর আলীরা। এ মাঠটা আকবরের কাছে বিশেষ কিছু। বিকেএসপির ছাত্র হিসেবে এখানকার প্রত্যেকটি ঘাস তার খুব পরিচিত। খুব ভালোবাসার। তাইতো মাঠে চুমু খেয়ে এগিয়ে যাওয়া আকবর আলীর।
মঙ্গলবার নতুন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি আকবর আলী। যুব বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক প্রথমবারের মতো নামলেন লাল বলের ক্রিকেটে। প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে জাতীয় দল। বিকেএসপিতে জিম্বাবুয়ের প্রস্তুতিতে বিসিবি সুযোগ করে দেয় বিশ্বকাপজয়ী দলের ছয় ক্রিকেটারকে।
তাদের হাতেই ধরাশায়ী জিম্বাবুয়ে! অনভিজ্ঞ স্পিনে কাবু জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা। নিজেদের ইচ্ছায় আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রথম দিন শেষে সফকারীদের স্কোরবোর্ডে উঠেছে ৭ উইকেটে ২৯১ রান।
বিসিবি একাদশের দলটি এমনিতেই অনভিজ্ঞ। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে হাতে গোনা দুই-তিনজনের। বাকিরা সবাই যুব দলের ক্রিকেটার। যুব দলের আক্রমণেই পথ হারায় অতিথিরা।
বিশেষ করে দীর্ঘদিন হাত ঘোরানোর অভ্যাস না থাকা শাহাদাত পাল্টে দেন দলের চিত্র। যুব দলের এ ক্রিকেটার একাই নেন ৩ উইকেট। বিসিবি একাদশের অধিনায়ক আল-আমিন জুনিয়র হাত ঘোরান কালেভদ্রে। তার পকেটেও গেছে ২ উইকেট।
অনভিজ্ঞ এ স্পিনের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের হয়ে লড়াই করেছেন কেভিন কাসুজা। ইমনের থ্রোতে রান আউট হওয়ার আগে কাসুজা করেন ৭০ রান। ৫৪ রানে নট আউট থেকে দিন শেষ করেছেন কার্ল মুম্বা। আরেক ওপেনারের সুযোগ ছিল হাফ সেঞ্চুরি পাওয়ার। কিন্তু ৫ রানের আক্ষেপে পুড়েন প্রিন্স মাসভায়োরে।
তার উইকেট নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতির পর প্রথম সাফল্য পায় বিসিবি একাদশ। আল-আমিনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন মাসভায়োরে। এরপর শাহাদাতের স্পিনে ৩ উইকেট হারায় অতিথিরা। জিম্বাবুয়ে শিবিরে আঘাত করেন পেসার শরীফুলও।
শেষ বিকেলে খানিকটা প্রতিরোধ পেয়েছিল জিম্বাবুয়ে। কিন্তু শাহাদাত, আল-আমিনের বোলিং পারফরম্যান্সে ভালো কিছুর আশা করতেই পারেন তাইজুল, মিরাজ, নাঈমরা। ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে তাদের বিপক্ষেই তো খেলতে হবে চাকাবা, ক্রেইগ আরভিনদের।
ঢাকা/ইয়াসিন/কামরুল
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন