ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ইনজামামের জয়োধ্বনি

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:১৯, ২১ মার্চ ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ইনজামামের জয়োধ্বনি

পেটের সমস্যায় ভুগছিলেন ইনজামাম উল হক। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল খেলতেই চাননি। ইমরান খানের জোরাজুরিতে নামতে হলো। ক্রিজে নামলেন ২২ বছরের তরুণ ইনজামাম। ‘অসুস্থ’ ইনজি ১৯৯২ সালের ২১ মার্চ, এই দিনে ২২ গজে এমন ব্যাটিং করলেন, যা খুলে দিয়েছিল তার উজ্জ্বল ক্যারিয়ারের দুয়ার। বিশ্বকাপের যৌথ আয়োজক ও ফেভারিট নিউজিল্যান্ডকে হটিয়ে প্রথমবার ফাইনালে ওঠে পাকিস্তান। পরের ইতিহাস তো সবার জানা, ইমরানের বিদায়ী ম্যাচ ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় তারা।

বিশ্বকাপে ফেভারিট হিসেবে সেমিফাইনালে উঠেছিল নিউজিল্যান্ড, প্রথম পর্বে ৭ ম্যাচ জিতেছিল। অন্যদিকে বৃষ্টিভাগ্যে পাকিস্তান বেঁচে যায় আগেভাগে বিদায়ের হাত থেকে। অবশ্য নিউজিল্যান্ডকে প্রথম পর্বে হারানো একমাত্র দল তারাই।

আবার যখন দুই দল নামলো, নিউজিল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করতে নামলো এবং ২৬২ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর করে। অধিনায়ক মার্টিন ক্রোর ৯১ রান ও কেন রাদারফোর্ডের হাফসেঞ্চুরিতে অসহায় ছিল পাকিস্তানি বোলাররা। তাদের অধিনায়ক ইমরান ১০ ওভারে ৫৯ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য।

লক্ষ্যে নেমে পাকিস্তান ১৪০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল। রান রেটও বাড়তে থাকে। পাঁচ নম্বরে ইনজি নেমে জীবন গড়ে দেওয়া এক ইনিংস খেললেন। ৩৭ বলে ৭ চার, এক ছয়ে ৬০ রান করে দলকে নিয়ে গেলেন জয়ের বেশ কাছে। জাভেদ মিয়াঁদাদের সঙ্গে ৮৭ রানের জুটি গড়ে যখন রান আউট হলেন, তখনও পাকিস্তানের দরকার ৫ ওভারে ৩৬ রান।

৪৯তম ওভারের শেষ বলে মঈন খানের লম্বা ছয়ে অকল্যান্ডে স্বাগতিক দর্শকদের হৃদয় ভাঙে পাকিস্তান। এক ওভার আগেই ৪ উইকেটের জয়ে ম্যাচসেরা হন ইনজামাম।

ইনজির বিজয় উল্লাসের এই দিনটি স্মরণীয় হয়ে মার্টিন গাপটিলের জন্যও। ২০১৫ সালে নিউজিল্যান্ডের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে বিশ্বকাপে ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন। গাপটিল ১১১ বলে করেন সেঞ্চুরি, পরের ১০০ করেন আর ৪১ বল খেলেই। ওয়েলিংটনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে তার ২৩৭ রানের ইনিংসই বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত। ওই বিশ্বকাপেই ক্রিস গেইল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করেন ২১৫ রান।



ঢাকা/ফাহিম

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়