ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

সাকিব-আকবরদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে চান?

আমিনুল ইসলাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৩:২৬, ২৬ মার্চ ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সাকিব-আকবরদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে চান?

ক্রিকেটের সাকিব আল হাসান হতে চান নাকি ফুটবলের মামুনুল ইসলাম। নাকি হকির রাসেল মাহমুদ। চাইলে হতে পারেন আকবর আলীও। আবার সাঁতারু শিলা কিংবা কমনওয়েলথ গেমস ও এসএ গেমসের স্বর্ণজয়ী শুটার আসিফ হোসেন খানও হতে পারেন। যদি তাঁদের মতো হতে চান তাহলে আপনার জন্য সেরা ঠিকানা বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) ।

বলা হয় আধুনিক বিশ্বে  একটি  জাতিকে  পরিচিত  করে তোলার  পেছনে  ক্রীড়ার  গুরুত্ব  অপরিসীম। ক্রীড়া নৈপূণ্য একটি জাতিকে অনন্য মহিমা এনে দিতে পারে। বর্তমানে ক্রীড়ার  জনপ্রিয়তা  ব্যক্তিগত, সমষ্টিগত  ও জাতিগতভাবে  সমগ্র  বিশ্বকে  একই  সূত্রে  গেঁথে দিয়েছে। বাংলাদেশে অ্যাথলেট তথা ক্রীড়াবিদ তৈরিতে সরকারি একমাত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে বিকেএসপি। ঢাকা-টাঙ্গাইল  মহাসড়কে সাভারের  জিরানীতে ১১৫  একর  জমি নিয়ে গড়ে উঠেছে ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।

ক্রীড়ার মান  উন্নয়ন, পর্যাপ্ত  ক্রীড়া  অবকাঠামোগত সুবিধাদি  এবং  সঠিক  প্রশিক্ষণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৪ সালে ‘বাংলাদেশ  ইন্সটিটিউট  অব স্পোর্টস  (বিআইএস)  প্রতিষ্ঠার  পরিকল্পনা  করে। এরপর ১৯৮৩ সালে সেটার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বাংলাদেশ  ক্রীড়া  শিক্ষা  প্রতিষ্ঠান  (বিকেএসপি)।  ১৯৮৬ সালের  ১৪ এপ্রিল  প্রতিষ্ঠানটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। এরপর থেকেই বিকেএসপি সর্বোচ্চ একাগ্রতার সাথে উচ্চমানের খেলোয়াড় তৈরির কাজে  নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সাভারে মূল বিকেএসপির বাইরেও পাঁচটি আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলো হল বরিশাল, চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, খুলনা ও সিলেট।

ভবিষ্যত অ্যাথলেটদের স্বপ্নের ঠিকানা বিকেএসপি। প্রতি বছর প্রতিটি ডিসিপ্লিনে হাজার হাজার ক্ষুদে অ্যাথলেটরা ভর্তিযুদ্ধে লিপ্ত হয় বিকেএসপিতে পড়ার ও প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ পাওয়ার জন্য। বিকেএসপিতে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নতকোত্তার ডিপ্লোমা কোর্সে ভতি নেয়।

প্রতি বছর মাধ্যমিক পর্যায়ে ১৭টি ডিসিপ্লিনে বিকেএসপি ঢাকা ও আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ৮-১২ ও ১২-১৩ বছর বছর বয়সী ছেলে-মেয়েদের ভর্তি নেওয়া হয়। বিভিন্ন ডিসিপ্লিনে প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য আবেদনকারীদের ডাক্তারী পরীক্ষা করা হয় (বয়স ও অন্যান্য মেডিকেল টেস্ট)। এরপর শারীরিক যোগ্যতা বা ফিটনেস টেস্ট হয়। এরপর স্ব স্ব খেলা অথবা বিভাগ অনুযায়ী ব্যবহারির পরীক্ষা হয়।

প্রাথমিকভাবে বাছাইকৃতদের ৫ দিনের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প আয়োজন করা হয়। সেখানেও স্ব স্ব খেলা অথবা বিভাগ অনুযায়ী ব্যবহারির পরীক্ষা হয়। এরপর সর্বশেষ অধ্যয়নরত শ্রেণির সিলেবাস অনুযায়ী লিখিত পরীক্ষা হয় বাংলা, ইংরেজি ও গণিতের উপর। সব পরীক্ষার সমন্বিত ফলের ওপর ভিত্তি করে চূড়ান্তভাবে প্রার্থী নির্বাচন করা হয়। সব মিলিয়ে ১৭টি ডিসিপ্লিনে মোট ১ হাজার ৪০০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় দীর্ঘ মেয়াদে।

মাধ্যমিক পর্যায়ে ভর্তি হওয়া ১৭টি ডিসিপ্লিন হল-আর্চারি, অ্যাথলেটিক্স, বাস্কেটবল, বক্সিং, ক্রিকেট, ফুটবল, জিমন্যাস্টিক্স,হকি, জুডো, কারাতে, শ্যূটিং, সাঁতার, টেবিল টেনিস, তায়কোয়ানডো, টেনিস, ভলিবল ও ঊশু।

স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমায় এক্সারসাইজ ফিজিওলজী, স্পোর্টস বায়োমেকানিক্স, ক্রীড়া মনোবিজ্ঞান, সাইন্স অব স্পোর্টস ট্রেনিং ও স্পোর্টস মেডিসিন নিয়ে পড়া যায়।

স্বপ্ন সত্যি করার সুযোগ পায় ভাগ্যবানরা। যদি আপনার মধ্যে থাকে প্রতিভা, যদি দেশের পতাকা তুলে ধরতে চান বিশ্ব দরবারে তাহলে বিকেএসপি দিতে পারে আপনাকে সেই মঞ্চ।

 

ঢাকা/আমিনুল/ইয়াসিন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়