ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

খুমেকে রোগীর মৃত‌্যুকে ঘিরে করোনা আতংক

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৫৬, ২৬ মার্চ ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
খুমেকে রোগীর মৃত‌্যুকে ঘিরে করোনা আতংক

ফাইল ফটো

খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (খুমেক) চিকিৎসাধীন অবস্থায় জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে হাসপাতালজুড়ে আতংক বিরাজ করছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) দুপুর দেড়টার সময় মৃত‌্যু হয় মোস্তাহিদুর রহমান (৪৫) নামে ওই রোগীর। তিনি খুলনা মহানগরীর হেলাতলা এলাকার সাইদুর রহমানের ছেলে।

মোস্তাহিদুর রহমান করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন বলে ধারণা করছেন চিকিৎসকরা।

এদিকে, তথ্য গোপন করে ভর্তি হওয়া এ রোগীর মৃত্যুর কারণে গোটা খুমেক হাসপাতালে করোনা আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। এ কারণে ওই রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া ১৫/২০ জন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

খুমেক হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (মেডিসিন) ও করোনা ম্যানেজমেন্টের ফোকাল পার্সন ডা. শৈলেন্দ্রনাথ বিশ্বাস জানান, বুধবার (২৫ মার্চ) রাত আড়াইটার দিকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয় মোস্তাহিদুর রহমানকে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

তিনি জানান, দুই সপ্তাহ আগে ঢাকার আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে মোস্তাহিদুর রহমানের থাইরয়েড সার্জারি করা হয়। তিনি ঐ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। বুধবার রাতে খুমেকে ভর্তির সময় তিনি জ্বর ও শাসকষ্টের কথা জানিয়েছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন। তবে বায়োপসি রিপোর্ট ছাড়া নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।

খুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. এ টি এম মঞ্জুর মোর্শেদ জানান, ওই রোগীর জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেওয়ার পর চিকিৎসকরা তার চিকিৎসা সংক্রান্ত পূর্ববর্তী তথ্য নেন। এই হাসপাতালে আসার আগে ওই রোগী ঢাকার মডার্ন হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। একই আইসিইউতে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্ত একজন রোগী মারা গিয়েছিল। কিন্তু ওই রোগী এখানে ভর্তির সময় সে তথ্য গোপন করেন। তা না হলে তাকে করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হতো।

ডা. মোর্শেদ জানান, ওই রোগীকে মডার্ন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার পর হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা মানেননি এবং তথ্য গোপন করে এখানে ভর্তি হন। তার কারণে ঝুঁকি বেড়ে গেলো। এ কারণে ওই রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া ১৫/২০ জন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হচ্ছে। ৯০ শতাংশ সন্দেহ ওই রোগী করোনায় আক্রান্ত ছিলেন।


মুহাম্মদ নূরুজ্জামান/সনি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়