ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

ধোনিকে ‘গালি’ দিয়ে বিব্রত, দুশ্চিন্তায় নেহরা

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২৫, ৫ এপ্রিল ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ধোনিকে ‘গালি’ দিয়ে বিব্রত, দুশ্চিন্তায় নেহরা

‘আমি ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম বা অন্য কোনও সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করি না। ফলে সোশ্যাল মিডিয়ায় কী হচ্ছে সে খবরও রাখি না। আমি এখনও সেই পুরনো নোকিয়া ফোন ব্যবহার করি।’

২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচের আগে বেঙ্গালুরুতে এ কথা বলছিলেন আশিস নেহরা। অনেকটা ওল্ডস্কুল টাইপের নেহরা। বর্তমান সমাজের তথাকথিত স্মার্টনেসের ধার ধারেন না। তবে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার না করলেও সেখানে কি হচ্ছে আশপাশ থেকে খবর পান।

যেমন তাঁর এক বন্ধু তাকে জানিয়েছিলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেহরা জনপ্রিয় দুটি কারণে। একটি মাহেন্দ্র সিং ধোনিকে ‘গালি’ দিয়ে। আরেকটি কিশোর বিরাট কোহলিকে পুরস্কার তুলে দিয়ে।’

অবসরে যাওয়া এ পেসারের ক্যারিয়ার বেশ দীর্ঘ। মাহেন্দ্র সিং ধোনির শুরুর সময়ে নেহরা জাতীয় তারকা। ভারতের পেস অ্যাটাকের মূল অস্ত্র। ২০০৫ সালে পাকিস্তানের ভারত সফরে এক অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছিল।

বিশাখাপত্তনমে মুখোমুখি দুই দল। ভারতের দেওয়া ৩১৬ রানের টার্গেটে ব্যাটিং করছিল পাকিস্তান। শুরুতেই দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন শহীদ আফ্রিদি। তাকে ফেরানোর সব চেষ্টা করেছিলেন নেহরা। কিন্তু ধোনি ক্যাচ মিস করায় আফ্রিদি জীবন পান।

নিজের বোলিংয়ে ক্যাচ মিস করায় ধোনিকে কড়া ভাষায় শাসান নেহরা। শুধু শাসিয়ে ক্ষান্ত ছিলেন না। ‘পুচকে’ ধোনিকে ‘গালিগালাজ’ করেছিলেন। অনাকাঙ্খিত সেই ঘটনা এখন ভাইরাল।

১৫ বছর আগের ঘটনা নিয়ে খুব বেশি কথা বলেননি নেহরা। তবে সম্প্রতি টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে উঠে আসে প্রসঙ্গটি। সেখানে মন খুলে কথা বলেন ভারতের প্রাক্তন স্পিডস্টার। 

‘আমার স্পষ্টভাবে ম্যাচটির কথা মনে আছে। সিরিজের চতুর্থ ওয়ানডে চলছিল। একটা ভিডিও এখন ভাইরাল হয়েছে। আমাকে দেখা যাচ্ছে আমি ধোনির ওপর চড়াও হচ্ছি এবং তাকে ‘‘গালিগালাজ’’ করছি। শহীদ আফ্রিদির একটি সুযোগ ধোনি ও দ্রাবিড়ের মাঝ দিয়ে বেরিয়ে যায়। আমি স্বীকার করছি আমার সেরকম করা উচিত হয়নি।’

কেন এভাবে মেজাজ হারিয়েছিলেন নেহরা?

‘ওই বলটির আগের বলে আমি একটা ছক্কা হজম করেছিলাম। স্বাভাবিকভাবেই তখন পাকিস্তান-ভারত ম্যাচ মানেই ভিন্ন চাপ। হঠাৎ আমি একটি সুযোগ তৈরি করি কিন্তু সেটা হাতছাড়া হয়ে যায়। তাতে আমি মেজাজ হারিয়ে ফেলি। দেখুন মেজাজ হারানোর এটাই একমাত্র উদাহরণ নয়। ম্যাচের পর ধোনি ও দ্রাবিড় দুজনই আমার সঙ্গে স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু এটা আমার আচরণকে ন্যায়সঙ্গত করে না।’

ভিডিওটি নিয়ে নেহরা বেশ দুশ্চিন্তায় আছেন। কোনদিন তাঁর বাচ্চারাও ভিডিও নিয়ে তাকে জিজ্ঞেস করবে, কেন তিনি মেজাজ হারিয়ে ‘গালিগালাজ’ করেছিলেন। তখন কিভাবে তাদেরকে উত্তেজনা ও রোমাঞ্চকর ম্যাচের পরিস্থিতি বোঝাবেন সেই ভাবনা তাঁর মনে।

প্রসঙ্গত, আহমেদাবাদের সেই ম্যাচে পাকিস্তান ৩ উইকেটে জয় পেয়েছিল। আফ্রিদি জীবন পাওয়ার পর করেছিলেন ৪০ রান এবং পরের দুই ম্যাচও জিতে পাকিস্তান ৪-২ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল।




ঢাকা/ইয়াসিন/কামরুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়