সেই রাতে শচীন ভেঙেছিলেন ‘নিয়ম’
২২ গজে ২২ বছর কাটিয়েছেন ভারতের ব্যাটিং ঈশ্বর শচীন টেন্ডুলকার। নিজের অর্জন, দলের প্রাপ্তিতে কখনোই তাকে আবেগতাড়িত হতে দেখা যায়নি। দেখা যায়নি হই-হুল্লোড় আর উন্মাদনায় মেতে উঠতে। আবেগ লুকিয়ে সতীর্থদের উদযাপন দেখেছেন খুব কাছ থেকে। কিন্তু নিজে শামিল হননি। নিজের জন্য অলিখিত ‘নিয়ম’ বানিয়ে রেখেছিলেন।
কিন্তু দীর্ঘ ক্যারিয়ারে একটি রাতে শচীন নিজের খোলস থেকে বেরিয়ে আসেন। সেই রাতে শচীন ছিলেন উন্মাতাল। নেচে-গেয়ে নিজেদের সাফল্য উদযাপন করেন। রূপকথার সেই রাতে শচীন টেন্ডুলকার জিতেছিলেন বিশ্বকাপ। তাই তাঁর আনন্দ ছিল বাঁধনহারা। নয় বছর আগে জেতা বিশ্বকাপের রাতের স্মৃতিচারণ করেছেন হারভজন সিং।
শচীনকে কেমন দেখেছিলেন সেই রাতে? উত্তরে হারভাজন বলেছেন, ‘জীবনে ওই প্রথম দেখেছিলাম, শচীন আনন্দে নাচছে। চারপাশে কে আছে না আছে, তা নিয়েই মাথাই ঘামাচ্ছে না ও। সবার সঙ্গে আনন্দে মেতে উঠেছিল শচীন। ওই ঘটনা জীবনে ভুলব না।’
কপিল দেব ভারতকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন ১৯৮৩ সালে। ২৮ বছর পর ২০১১ সালে মাহেন্দ্র সিং ধোনীর হাতে উঠে বিশ্বকাপের মুকুট। টেন্ডুলকারের সেটি ছিল শেষ বিশ্বকাপ। এর আগে আরও চারটি বিশ্বকাপ খেলেছিলেন। কিন্তু শিরোধা অধোরা ছিল প্রত্যেকবার। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে একবার শিরোপা জিততে চেয়েছিলেন টেন্ডুলকার। ঘরের মাঠে স্বপ্ন পূরণের আনন্দ তাই ছিল বাঁধনহারা, দূরন্ত। ৯৬’ বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল থেকে বাদ পড়ে ভারত। শচীন টেন্ডুলকার তখন দুর্দান্ত ফর্মে। ৯৯’র বিশ্বকাপে ভারত আটকে থাকে সুপার সিক্সে, ২০০৩ বিশ্বকাপে ফাইনাল খেললেও শিরোপা হারায় অস্ট্রেলিয়ার কাছে। ২০০৭ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হেরে বিদায় নেয় ভারত। অবশেষে ২০১১ সালে নিজেদের মাঠে শিরোপা জেতে ভারত।
হারভাজন সেই রাতে কি করেছিলেন? উত্তরে ভাজ্জি বলেছেন, ‘সেই রাতে আমি বিশ্বকাপ জয়ের পদকটা নিয়ে ঘুমিয়েছিলাম। যখন ঘুম ভাঙল, তখন দেখলাম পদকটা আমার সঙ্গে রয়েছে। অনুভূতিটা বলে বোঝানো যায় না। অবিশ্বাস্য একটা মুহূর্ত ছিল বিশ্বকাপ জয়। এখনও গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে সে দিনের কথা ভাবলে। বিশ্বকাপ জয়টা আমাদের কাছে বিশেষ একটা মুহূর্ত ছিল। সবার সামনে বোধ হয় সেই প্রথম আমি কেঁদেছিলাম। তখন কী করব, বুঝতে পারছিলাম না।’
ঢাকা/ইয়াসিন
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন