ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

জয়ের চেষ্টা করার এটাই সুযোগ, সাকিবকে মাহমুদউল্লাহ

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০০, ৪ মে ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জয়ের চেষ্টা করার এটাই সুযোগ, সাকিবকে মাহমুদউল্লাহ

বাংলাদেশের ওয়ানডে ইতিহাসের যে কয়টি স্মরণীয় জয় আছে, তার মধ্যে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয় অন্যতম। সে ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো আট জাতির টুর্নামেন্টে সেমিফাইনাল খেলার গৌরব অর্জন করে। তবে সে ম্যাচে বাংলাদেশের জয় ছিল কল্পনার চেয়েও সুন্দর।

নিউ জিল্যান্ডের দেওয়া ২৬৬ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতে খেই হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। ৩৩ রানে হারায় প্রথম চার ব্যাটসম্যানকে। সেখান থেকে সাকিব-মাহমুদউল্লাহর ২২৪ রানের জুটি। সাকিব সেঞ্চুরি পূর্ণ করে আউট হলেও মাহমুদউল্লাহ শতক হাঁকিয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন। সে ম্যাচের বিষয়টি আবার সামনে এসেছে তামিম-মাহমুদউল্লাহর ইন্সটাগ্রাম লাইভের বদৌলতে। যেখানে দুইজনেই জানান, কেউই ভাবেননি সেখান থেকে ম্যাচ জিততে পারেন।

সে ম্যাচের কথা টেনে তামিম মাহমুদউল্লাহর কাছে জানতে চান, মাঠে সাকিবের সঙ্গে কী পরিকল্পনা করছিলেন তিনি, ‘চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আমাদের যখন ৩-৪ টা উইকেট পড়ে গেলো। মুশফিক স্পেশালি আউট হয়ে গেলো। আপনি আর সাকিব যখন ব্যাটিং করছিলেন। আমি সৎ থেকে বলছি, একটা বিন্দুমাত্র সময়ের জন্যও ভাবিনি যে আমরা ওইখান থেকে জিতে যাবো। আমার মনে হইছিলো। যাক আপনারা রান করে শেষ পর্যন্ত আমরা যতটুকু ক্লোজে যেতে পারি। তবে আপনারা জেতালেন। আসলে আপনারা মাঠে তখন কী নিয়ে কথা বলছিলেন?’

মাহমুদউল্লাহ তখন তামিমের কথার উত্তরে বলেন, ‘আসলে আমি আর সাকিব যখন ব্যাটিং করছিলাম, আমরাও ভাবি নাই যে ম্যাচ জিতবো। আর আমরা দুজনে ১০০ রানের জুটি হওয়া পর্যন্ত কোনো কথাই বলি নাই। ১০০ রানের জুটি গড়ার পর আমি প্রথমবার বললাম। এটা একটা সুযোগ, আমরা জেতার জন্য চেষ্টা করতে পারি। এরপরে সাকিবও কথা বলা শুরু করেছে। আসলে মাঠে আমি সাকিবের সঙ্গে ব্যাটিংয়ের সময় খুবই কম কথা বলি।’

এদিকে লাইভে তামিম মাহমুদউল্লাহর বিভিন্ন ছোটোখাটো কিন্তু ম্যাচজয়ী ইনিংসের কথা টেনে বলেন দলের সবাই তাকে নিয়ে গর্ব করে থাকেন। তামিমের ভাষ্যে, ‘আমি আপনাকে অনেক সময়ই এটা বলি রিয়াদ ভাই, আমাদের দেশে আমরা কেবল ৭০-৮০ বা সেঞ্চুরিকেই মূল্যবান মনে করি। কিন্তু আপনি এদিক থেকে মাঝেমধ্যে দুর্ভাগা, আমার মনে হয়। আপনার ৩০-৩৫ রানের যে ইনিংসগুলি আছে, হয়তো অতটা কৃতিত্ব পায় না, কিন্তু আমরা যারা টিমমেট, আমরা উপলব্ধি করতে পারি যে আপনার এই ৩০-৩৫ রানের ইনিংসগুলো কতটা মূল্যবান। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ওসব ইনিংস ৭০-৮০ রানের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনাকে নিয়ে আমরা সবাই গর্ব করি।’

বাংলাদেশ দলে রিয়াদের পজিশনে (লেট মিডল অর্ডার) খেলা খুব বেশি ব্যাটসম্যান নেই। যারা ফিনিশিং দিয়ে আসতে পারে। তবে মাহমুদউল্লাহ মনে করেন এই জায়গা দখল করতে পারে অনেকে। আর নিজের পারফরম্যান্সেও উন্নতির জায়গা আছে জানিয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘আমি চেষ্টা করি লোয়ার মিডল অর্ডারে বা মিডল অর্ডারে পজিশন অনুযায়ী খেলতে। পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করি। তবে আরও কাজ করতে হবে। অনেক সময় ডেলিভার করতে পারি না। আরও উন্নতি করতে হবে। আর এই জায়গায় সাব্বিরের খুব ভালো সম্ভাবনা ছিল ৬-৭ নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে। এখন সাইফ উদ্দিন আছে। সাইফ বড় শট খেলতে পারে। আফিফও খুব ভালো বিকল্প। পাশাপাশি মোসাদ্দেকও আছে। আমার কাছে মনে হয়, তিন-চার জন আছে, যাদের ভালো ফিনিশিং দেওয়ার সামর্থ্য আছে।’

মাহমুদউল্লাহ তামিমের ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করে লাইভে পরে বলেছেন, ‘একটা কথা বলে নেই, কোনো সংশয় ছাড়া তুই (তামিম) বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান। প্রায় সব রেকর্ডই তোর। আরও হবে আশা করি।’ এরপরে তামিমের কাছে জানতে চান, তাঁর প্রিয় ইনিংস কোনটি? এর উত্তরে তামিম বলেন,

‘আমি সবচেয়ে বেশি যে ইনিংসটা উপভোগ করেছি, একটা আছে না যে মনের মতো; আমি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে ১২৫ রান করেছিলাম মিরপুরে। ঐ ইনিংসটা আমার সবচেয়ে প্রিয় একটা ইনিংস। কারণ সেদিন আমি যা করতে চাইছি সবই হইছে, যেমন শটস খেলতে চাইছি, সব হইছে। ম্যাচটা আমরা হেরেছিলাম। তবে সেই ইনিংসটা আমার খুব প্রিয়।’

ক্রিকেটারদের লাইভ সেশনের হোস্ট হয়ে যাওয়া তামিম ইতিমধ্যে মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহ এর সাথে দারুণ দুটি লাইভ উপহার দিয়েছেন। যেখানে তারা ক্রিকেট, ক্যারিয়ার ও অনেক মজার স্মৃতির কথা তুলে আনেন। এরই ধারাবাহিকতায় আজ লাইভে তামিমের সঙ্গে থাকবেন মাশরাফি। রাত ১০ টায়, ফেসবুকে।


ঢাকা/কামরুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়