‘আমরা দুই বছরে হয়তো বড়জোর ২-৩ টা ওয়ানডে খেলতাম’
বাংলাদেশে বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা কী? একবাক্যে সবাই স্বীকার করে নিবে ক্রিকেট। অথচ এই ক্রিকেটের শুরুর দিকের পথচলা ছিল বেশ বন্ধুর। এখনকার সময় জাতীয় দল যেমন নিয়মিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে যাচ্ছে। তার পাশাপাশি নিয়মিত ম্যাচ খেলার সুযোগ মিলছে বাংলাদেশ ‘এ’ দল কিংবা বয়সভিত্তিক দলগুলোরও।
অথচ ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়া সত্ত্বেও শুরুর দিকে নিয়মিত ম্যাচ খেলার সুযোগই পেত না বাংলাদেশ। টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর ধীরে ধীরে চিত্রটা বদলাতে থাকে। এর আগে দুই বছরে এশিয়া কাপের বদৌলতে দুই তিনটা ম্যাচ খেলার সুযোগ মিলতো বাংলাদেশের। তামিমের সঙ্গে লাইভ আড্ডায় নিজেদের ক্রিকেটীয় জীবনের সংগ্রামের কথা এভাবেই তুলে ধরেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমানে বোর্ডে কর্মরত আকরাম খান।
এছাড়াও তিনি আরো জানান, তখনকার সময় তারকা বোলারদের খেলার সাহসও ছিল না তাদের। আর সে সময় ভারত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান টাইগার ক্রিকেটের উন্নতিতে সাহায্য করেছিল। তারা তাদের দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলার সুযোগ দিয়েছে বলে বাংলাদেশের ক্রিকেট আজ এই অবস্থানে বলে মনে করেন আকরাম খান।
তিনি বলেন, ‘এখনকার ক্রিকেটাররা যেমন ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি বা টেস্ট খেলার সুযোগ পাচ্ছে। আমাদের সময় আমরা এর কোনো সুযোগই পেতাম না। দুই বছরের মধ্যে আমরা হয়ত দুইটা বা তিনটা ওয়ানডে খেলতে পারতাম। যেটা এশিয়া কাপের মধ্য দিয়ে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘তো সেখানে আমাদের মতো খেলোয়াড়দের জন্য ওয়াসিম আকরামের মতো বোলারকে ঘরোয়া লিগে পাওয়া ছিল বিশাল কিছু। আর তাকে মোকাবিলা করার জন্য আমাদের যে সাহসের দরকার ছিল, তাও আমাদের ছিল না। তখন আমরা টিভিতে তাদের খেলা দেখে মনে হতো, আমরা জীবনে এদের খেলতে পারবো না।’
এরপরে বর্তমানে এই দৃশ্যপট বদলে গেছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আর এখন বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা কী কমফোর্টেবলি খেলছে। প্রতিপক্ষকে ডমিনেট করছে।’
দেশের ক্রিকেটের এই অবস্থানের জন্য প্রতিবেশি তিন দেশের অবদান আছে জানিয়ে আকরাম আরও বলেন, ‘আসলে আমরা ওয়ানডে ও টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও ভারত আমাদের অনেক সাহায্য করেছে। এমনকি ওদের দেশে ডেকে নিয়ে আমাদের প্রচুর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট ম্যাচ খেলিয়েছে। আজকে কিন্তু তাদের কারণে বাংলাদেশ ক্রিকেট এই পর্যায়ে।’
ঢাকা/কামরুল
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন