ধোনির কারিশমায় সেদিন জিতেছিল ভারত
২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল ভারত। এর আগে গ্রুপ পর্বের লড়াইয়েও পাকিস্তানকে হারিয়েছিল ভারত।
তবে দুই দলের লড়াইয়ে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। দুই ইনিংস শেষেও ম্যাচের বিজয়ী নির্ধারণ হয়নি। দুই দলের ম্যাচটি টাই হয়েছিল। পরবর্তীতে বল আউট নিয়মে ভারত শেষ হাসি হাসে। ফুটবলে যেমন পেনাল্টি হয় ঠিক সেভাবেই সেবার আইসিসি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নিষ্পত্তির জন্য বল আউট নিয়ম চালু করেছিল। তখন সুপার ওভার ছিল না। বল আউটের নিয়ম ছিল খুব সাধারণ। বোলারকে ভাঙতে হবে স্টাম্প। ভারত ও পাকিস্তানের ভাগ্য নির্ধারণে এ লড়াইয়ে পাকিস্তান স্রেফ উড়ে যায়।
ভারতের খেলোয়াড়রা তিন শটেই ভাঙেন স্টাম্প। পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা প্রত্যেকটি শট মিস করেন। দীর্ঘদিন পর সেই ম্যাচ নিয়ে কথা বলেন ভারতের ক্রিকেটার রবিন উথাপ্পা। ডানহাতি ওপেনার সেদিন ভারতের হয়ে একটি শট নিয়েছিলেন। উথাপ্পা জানালেন, ধোনির বুদ্ধির কারণে ভারত জিতেছিল সেই ম্যাচ। কিভাবে?
শুনুন তাঁর মুখ থেকেই,‘আমরা বিশ্বকাপের কোনও ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হারিনি। কিন্তু সত্যিই আমরা সেদিন খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিলাম। শেষ বলের পর ম্যাচটা আমাদের কাছে চলে আসে। ম্যাচ গড়ায় বল আউটে। ধোনি ছিল আমাদের অধিনায়ক। ওর বুদ্ধিতেই আমরা জিতেছিলাম।’
‘বল আউটের সিদ্ধান্ত হওয়ার পর ধোনি ঠিক করে কে কে বোলিংয়ে যাবে। শেবাগ, আমাকে, হারভাজন সিংকে বেছে নেয় শুরুতে। ধোনি উইকেটের পেছনে গিয়ে বসে ছিল। তাতে আমরা বুঝতে পেরেছিলাম কতটুকু উচ্চতায় বল ফেললে স্টাম্পে আঘাত করবে। কিন্তু পাকিস্তানের উইকেট রক্ষক উমর আকমল তেমন কোনও বুদ্ধি খাটাতে পারেনি। ওদের উমর গুল, শহীদ আফ্রিদি ও ইয়াসির আরাফাত বল করেছিল। প্রত্যেকটি শট উইকেটের আশ-পাশ দিয়ে চলে গিয়েছিল। আর আমরা প্রত্যেকটি হিট করেছিলাম। তিনে তিনটি শট জিতে আমরা ম্যাচটা জিতে নেই। মূলত আমরা বুঝতে পারছিলাম ধোনির বরাবর বল করতে হবে। তাতেই হয়ে গেছে।’- যোগ করেন উথাপ্পা।
ভারত সেই ম্যাচে আগে ব্যাটিং করে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪১ রান করে। শেষ ওভারে পাকিস্তানের দরকার ছিল ১২ রান। মিসবাহ-উল-হক ভালোভাবেই দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু শেষটা রাঙাতে পারেননি। শেষ বলে এক রান নিতে গিয়ে রান আউট হন। তখন ম্যাচ গড়ায় বল আউটে।
তবে টুর্নামেন্টের আগে বল আউট অনুশীলন করেছিল বলে দাবি করলেন উথাপ্পা,‘আমরা বল আউট অনুশীলন করেছিলাম। আমাদের বোলিং কোচ ভেঙ্কটেস প্রসাদ আমাদের নিয়ে কাজ করেছিল। উনি সব কিছু খুব স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় রাখতেন। খেলার সব ধরনের আইনকানুন অনুসরণ করতেন। দেখা যেত অনুশীলনে আমাদের প্রতিযোগিতা হতো। ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে বোলারদের। দুই বা তিনবার আমাদের প্রতিযোগিতা হয়েছিল। দেখা যেত বোলারদের থেকে ব্যাটসম্যানরাই বল বেশি হিট করতে পারত।’
ঢাকা/ইয়াসিন
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন