মাস্ক পরে বোলিং করার প্রস্তাব মিসবাহর
পাকিস্তানকে বলা হয় পেস বোলারের খনি। এশিয়ার এই ক্রিকেট দেশটি থেকে উঠে এসেছেন ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনিসসহ আরও কত নামিদামি পেসাররা। এদের মধ্যে ওয়াসিমকে তো বলাই হয় ‘কিং অফ সুইং’। এছাড়াও আউট সুইং, ইনসুইং থেকে শুরু করে রিভার্স সুইং সবকিছুতে সিদ্ধহস্ত পাকিস্তানি পেসাররা। আর এই সুইং করানোর জন্য টেস্ট বা ওয়ানডে ম্যাচের শুরু থেকে বলে লালা ব্যবহার শুরু করে পাকিস্তানি বোলাররা।
কিন্তু করোনা পরবর্তী সময়ে বলে লালা ব্যবহার না করার নির্দেশ দিয়েছে আইসিসি ক্রিকেট কমিটি। কিন্তু বোলারদের এতদিনের অভ্যাস হুট করে বাদ দেওয়া যায়? খেলতে খেলতে অন্যমনস্ক হয়ে যদি কেউ লালা ব্যবহার করে ফেলে! আর এজন্য অদ্ভুত এক প্রস্তাব করেছেন পাকিস্তানের কোচ মিসবাহ-উল-হক। ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, বোলারদের মাস্ক পরে বোলিংয়ের নিয়ম করা যেতে পারে।
যেহেতু বলের এক পাশ হালকা আরেক পাশ ভারি রাখতে লালার ব্যবহার আরও আগের থেকে চলে আসছে, সেহেতু অভ্যাসবশত এটা হতে পারে বলে মনে করেন মিসবাহ। বিশেষ করে পাকিস্তানি বোলারদের ক্ষেত্রে। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী জুলাই-অগাস্টে ইংল্যান্ডে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে খেলতে সফর করবে পাকিস্তান। আর সে সফর ঘিরে পাকিস্তানি বোলারদের নিয়ে চিন্তিত মিসবাহ। তিনি বলেন, ‘ইংলিশ কন্ডিশনে আমাদের বোলারদের কাজটি কঠিন হয়ে উঠতে পারে। কারণ আমাদের বোলাররা নিয়মিত বলে লালা ব্যবহার করে এক পাশ উজ্জ্বল রাখতে। ফলে লালার ব্যবহার বন্ধ রাখার কাজটি সহজ হবে না। ক্রিকেট জীবনের শুরু থেকেই তাদের এটি অভ্যাস। নতুন এই নির্দেশনার কথা ক্রিকেটাররা মনে রাখলেও মনের অজান্তে হয়েই যেতে পারে কাজটি। আইনের মধ্যে থেকে অন্যান্য উপায়েও বল উজ্জ্বল করা যাবে, কিন্তু লালা ব্যবহার করলে বলের এক পাশ ভারী হয়, যেটি পেসারদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়।’
আর তাই এই সমস্যা থেকে বাঁচতে মাস্ক পরে বোলিং করার প্রস্তাব দিয়ে মিসবার আরও বলেন, ‘এটি নিবারণ করতে হলে কিছু না কিছু করতে হবে। সেটি হতে পারে যে বোলাররা মাস্ক পরে বোলিং করল বা এমন কোনো নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা রাখা, যাতে হুট করে কেউ লালা ব্যবহার করে ফেলতে না পারে।’
এখন দেখার বিষয়, মিসবাহর এমন প্রস্তাব কী আইসিসি বিবেচনা করে কিনা।
ঢাকা/কামরুল
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন