সামির এমন চেষ্টা সকলের জন্য অনুকরণীয়
শেষ কয়েক বছরে ভারতের পেস আক্রমণের নেতৃত্বে ছিলেন মোহাম্মদ সামি। তার সঙ্গে জসপ্রিত বুহরাহ, উমেশ যাদব, ইশান্ত শর্মারা নিজেদের নিয়ে গেছেন অন্য উচ্চতায়।
টেস্ট ক্রিকেটে ভারত সাম্প্রতিক সময়ে যে সাফল্য পেয়েছে মূল কারণ সামি, যাদব ও ইশান্তের পেস আক্রমণ। তাদের নিবেদন, অনুশীলন অন্য সবার জন্য দৃষ্টান্ত। সম্প্রতি সামি দেখিয়েছেন ভালো করার ইচ্ছা থাকলে নিজ উদ্যোগে কতকিছু করা যায়। তার চেষ্টা সকলের জন্য অনুকরণীয়।
করোনা প্রকোপ থেকে কবে মুক্তি মিলবে তা নিয়ে কোনও নিশ্চয়তা নেই। বিসিসিআই কবে তাদের মাঠে ফেরাবে তাও নিশ্চিত নয়। এজন্য বসে থাকলে তো চলবে না। আমরোহার ফার্ম হাউসে সামি নিজের উদ্যোগে উইকেট তৈরি করেছেন। সেখানেই চালাচ্ছেন নিজের অনুশীলন। তৈরি হচ্ছেন ডিসেম্বরের অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজের জন্য।
ভাই মোহাম্মদ কাইফের সঙ্গে প্রতিনিয়ত চালাচ্ছেন অনুশীলন। দিনে চার ঘণ্টার উপরে প্রস্তুতি চলে তার। সকালে দেড় ঘণ্টা ফিজিক্যাল ট্রেনিং। বিকেলে ভাই ও এক বন্ধুর সঙ্গে নেট অনুশীলন। প্রায় দুইশো থেকে আড়াইশো বল করে নিজেকে ছন্দে ফেরাচ্ছেন ভারতীয় পেসার।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে সামির অনুশীলন। দুই ভাই দুইটি আলাদা বলের বাক্স নিয়ে নেট করছেন। দুজনের কিট সম্পূর্ণ আলাদা। প্রতি ছয় বল করার পর হ্যান্ড স্যানিটাইজ করছেন। সামির বোলিংয়ের মূল অস্ত্র রিভার্স সুইং। বল রিভার্স করানোর জন্য পলিশ করতে হয়। থুতু ব্যবহার ছাড়া কিভাবে পারছেন বল চকচকে রাখতে? মোহাম্মদ কাইফ জানালেন, ঘাম দিয়ে কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন সামি। ঘাম ব্যবহারে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন। তবে আগের থেকে বল একটু কম সুইং করাতে পারছেন ডানহাতি পেসার।
তবে একটি জায়গায় ভয় পাচ্ছেন ভারতীয় পেসার। প্রতি ছয় বল পর হ্যান্ড স্যানিটাইজ করায় কিছু সময়ের জন্য বল পিচ্ছিল থাকছে। বারবার এটা ব্যবহারের ফলে বলের আকৃতি পরিবর্তন হয়ে যাবে না তো? এমন শঙ্কায় কিছুটা ভীত সামি। তবে সেসব নিয়ে গভীর ভাবনার বদলে এখন নিজের অনুশীলনেই ব্যস্ত ৪৯ টেস্টে ১৮০ উইকেট পাওয়া এ পেসার। অনুশীলনের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পুরোনো ম্যাচের ভিডিও দেখছেন এ পেসার। আগের সফরে কী রকম বল করে সফল হয়েছেন সেগুলি নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
সেরা পেসার হতে হলে এমন নিবেদন তো থাকতেই হয়।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার
ঢাকা/ইয়াসিন
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন