‘সপ্তম স্বর্গে’ রিয়াল মাদ্রিদ
হ্যাজার্ডের মতো ফরোয়ার্ড নেই। রক্ষণে নেই ভারানে। প্রতিশ্রুতিশীল আরও দুই-একজন সাইড বেঞ্চে।
স্পেনের সেরা ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের দলটা অনেকটাই সাদামাটা। কিন্তু ওই সাদামাটা দলে রয়েছেন সার্জিও রামোসের মতো একজন। ডিফেন্ডার হয়েও প্রতি ম্যাচে করছেন গোল। নিখুঁত নাম্বার টেন। তাতে উড়ছে রিয়াল মাদ্রিদ।
লা লিগায় রোববার রাতে রামোসের একমাত্র গোলে রিয়াল হারিয়েছে অ্যাথলেটিক ক্লাবকে। টানা সাত ম্যাচে সাত জয় নিয়ে লিগ শিরোপার লড়াইয়ে আরেকধাপ এগিয়ে গেছে রিয়াল। দুই নম্বর পজিশনে থাকা চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার থেকে এখন তারা সাত পয়েন্ট এগিয়ে। তবে এ ব্যবধান আজ কমে আসতেও পারে। রাত ২টায় বার্সেলোনার প্রতিপক্ষ ভিয়ারিয়েল।
পয়েন্ট টেবিলে আট নম্বরে থাকা অ্যাথলেটিক ক্লাবকে হারাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে রিয়ালকে। ম্যাচের প্রথমার্ধ ছিল একেবারেই নিষ্প্রাণ। ঘরের মাঠে শুরুতে অ্যাথলেটিক ক্লাব প্রাধান্য বিস্তার করে।
সপ্তম মিনিটে মার্সেলোর অসাধারণ ডিফেন্ডিংয়ে গোল হজম থেকে বেঁচে যায় অতিথিরা। কোরডোবার ক্রস থেকে ফাঁকায় থাকা উইলিয়ামস শট নিয়েছিলেন। বলের উপর ঝাঁপিয়ে দলকে গোল হজমের থেকে বাঁচান মার্সেলো।
রিয়ালও এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল। অ্যাসেনসিওর দূরপাল্লার স্পটকিক ফিরিয়ে দেন অ্যাথলেটিকের গোলরক্ষক। ফিরতি বল পেয়ে ডি বক্সের ভেতরে জটলা পাকান করিম বেনজামা ও কারবাহাল। ১৯ মিনিটে স্বাগতিকরা আরেকটি সুযোগ তৈরি করে। ইয়ারের ডিপ ক্রসে ঠিকঠাক ভাবেই হেড করেছিলেন রাউল গার্সিয়া। কিন্তু কোর্তুয়া বল ফিরিয়ে ভালোভাবেই দায়িত্ব সামনে নেন।
বিরতির আগে দুই দল একাধিক সুযোগ সৃষ্টি করলেও কেউ গোলের দেখা পায়নি। বিরতির পর একই গতিতে এগিয়ে যায় দুই দলের লড়াই। রিয়ালের ভাগ্য খুলে ৭৩ মিনিটে। অ্যাসেনসিওর ক্রস ডি বক্সের ভেতরে রিসিভ করতে গিয়ে ফাউলের শিকার হন মার্সেলো। গার্সিয়া কারিলো পা দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করেন। রিফারির চোখ এড়ায়নি। নিশ্চিত হওয়ার জন্য ভিএআরের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টি দেন রিয়ালকে। রিয়ালের অধিনায়ক রোমাস স্পটকিকে গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
দুই মৌসুম পর শিরোপা জেতার জন্য আরও চার ম্যাচ অপেক্ষা করতে হবে রিয়ালকে। ৩৪তম লা লিগার শিরোপার লড়াইয়ে তারা এগিয়ে যাচ্ছে দারুণভাবে। আপাতত সাতের উদযাপনটাই হোক।
ঢাকা/ইয়াসিন
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন