ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

যাদের হাত ধরে জাতীয় লীগে খুলনার ৭ শিরোপা

আব্দুল্লাহ এম রুবেল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৪২, ২৪ মে ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
যাদের হাত ধরে জাতীয় লীগে খুলনার ৭ শিরোপা

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে সবসময় সবচেয়ে বেশি আধিপত্য থাকেখুলনা বিভাগের ক্রিকেটারদের। সর্বশেষ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের স্কোয়াডেও এই বিভাগের ছিলেন ৭ জন ক্রিকেটার।

স্বাভাবিক ভাবেই জাতীয় দলের এই ক্রিকেটাররাই জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল)খেলতে নামে খুলনা বিভাগীয় দলের হয়ে। জাতীয় ক্রিকেট লিগে আর অন্য কোনো দল এত তারকা ক্রিকেটার নিয়ে খেলতে নামে না। ফলে শক্তিতে সব সময়ই প্রতিপক্ষের চেয়ে এগিয়ে থাকে দলটি। যার কারণে এনসিএলে সবচেয়ে সফল দল খুলনাই। মোট ২১ বার হওয়া এনসিএলে দক্ষিণাঞ্চলের দলটি এককভাবেশিরোপা জিতেছে সর্বোচ্চ ৭ বার। এর মধ্যে সর্বশেষ ৫ বারের মধ্যে ৪ বারই শিরোপা ঘরে তুলেছে অধিনায়ক আব্দুর রাজ্জাকের দল। শেষ ৬ বারে হয়েছে ২ বার রানার্স আপ।

খুলনার এই সাফল্যের অন্যতম ধারক দেশের প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটের দুই সেরা মাইলফলক অর্জনকারী আব্দুর রাজ্জাক ও তুষার ইমরান। দুজনেই খুলনার হয়ে জাতীয় লিগে খেলছেন ২০০১-০২ মৌসুম থেকে। সর্বশেষ জাতীয় লিগেও দলের শিরোপা জয়ের পেছনে অন্যতম অবদান এই দুজনের। তাদের পাশাপাশি জিয়াউর রহমান, এনামুল হক বিজয়, সৌম্য সরকার, নুরুল হাসান সোহানদের অবদানও কম নয়।

বিভিন্ন সময়ে অবদান রেখেছেন দুই পেসার রবিউল ইসলাম শিবলু, আল আমিন, স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজরাও। এসব ক্রিকেটারের পাশপাশি দুই কোচ ইমদাদুল বাশার রিপন ও মনোয়ার আলী মনুও দীর্ঘদিন খুলনার প্রশিক্ষকের দায়িত্বে আছেন। জাতীয় ক্রিকেট লিগে খুলনার সাফল্যের গল্পে আজ পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হলো কাদের হাত ধরে এলো দক্ষিণাঞ্চলের দলটির এমন সাফল্য..
আব্দুর রাজ্জাক রাজ:জাতীয় ক্রিকেট লিগে ২০০১-০২ মৌসুমে খুলনার হয়ে অভিষেক হয় রাজ্জাকের। টানা ১৯টি জাতীয় লিগে খুলনার হয়ে খেলেছেন তিনি। খুলনার হয়ে ৭টি শিরোপার সবগুলোতেই দলের অংশ ছিলেন তিনি। আর তার নেতৃত্বে খুলনা শিরোপা জিতেছে ৫ বার।

খুলনাকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন আব্দুর রাজ্জাক রাজ। ১৪তম জাতীয় ক্রিকেট লিগে প্রথমবারের মতো নেতৃত্ব পান তখনকার সময়ে বাংলাদেশের সেরা স্পিনার হয়ে ওঠা আব্দুর রাজ্জাক। ওই বছর দলের দায়িত্ব নিয়েই দলকে এনে দেন শিরোপা। এটা ছিলো খুলনার তৃতীয় শিরোপা। এরপরই মূলত রাজ্জাকের হাত ধরেই এনসিএলে খুলনা হয়ে ওঠে প্রায় অপ্রতিরোধ্য দল।

একের পর এক সাফল্য আসতে থাকে খুলনার ঘরে। দলীয় সাফল্যের পাশাপাশি ব্যাক্তিগত সাফল্যেও সেরা হয়ে ওঠেন আব্দুর রাজ্জাক। খুলনাকে একের পর এক ম্যাচ জিতিয়েছেন বোলিং করে। বিসিএলের অল্প কিছু ম্যাচ বাদ দিলে খুলনার হয়ে খেলে গেছেন এই লিজেন্ড ক্রিকেটার।

হয়েছেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৬০০ উইকেটের মাইলফলক ছোঁয়াএকমাত্র বাংলাদেশী ক্রিকেটার।ইতিমধ্যে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার সংগৃহীত উইকেটের সংখ্যা ৬৩৪টি। জাতীয় ক্রিকেটে লিগের সর্বশেষ পাঁচ মৌসুমের তিন মৌসুমেই ছিলেন সেরা বোলার। সর্বশেষ মৌসুমেও পেয়েছেন ৩১ উইকেট। প্রায় প্রতিটি মৌসুমেই শীর্ষ পাঁচ বোলারের তালিকায় ছিলেন রাজ্জাক। শুধু তাই নয়, ব্যাট হাতেও দলের জন্য অবদান রাখেন দলটির অধিনায়ক। ইতিমধ্যে ১০ ফিফটিতে করেছেন ২৮১৭ রানও।

খুলনার ৭টিশিরোপার সবগুলো জেতায় অবদান রাখা দলটির বর্তমান অধিনায়ক রাজ্জাক দক্ষিণাঞ্চলের দলটিকে আর কত আনন্দের উপলক্ষ এনে দেন তাই এখন দেখার বিষয়। এছাড়াও বল হাতে নিজেকে কোন নতুনদেন জন্য কোন উচ্চতার লক্ষ্য বেঁধে দেন, সেটিও সময় বলে দিবে।

তুষার ইমরান: আব্দুর রাজ্জাকের মতো খুলনার ৭ শিরোপার অন্যতম অংশীদার তুষার ইমরান। খুলনা বিভাগের সবথেকে পুরোনো ক্রিকেটারদের মধ্যে তিনিও একজন। আব্দুর রাজ্জাকের মতোই জাতীয় ক্রিকেট লিগে তুষার ইমরানের অভিষেক হয় ২০০২-০৩ মৌসুমে। টানা ১৯টি জাতীয় লিগ খেলেছেন খুলনার হয়ে।

খুলনার হয়ে খেলা বড় ইনিংসগুলোর বেশিরভাগই এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের।নিজের পারফরম্যানসে তুষার ইমরান ছাড়িয়ে গেছেন সবাইকে। হয়েছেন দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান ও সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক। মাঝে খুলনাকেও নেতৃত্বও দিয়েছিলেন সফল এই ব্যাটসম্যান।

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১৭৭টি ম্যাচ খেলে ফেলেছেন তুষার ইমরান। যার সিংহভাগই খুলনার হয়ে। ২৯৮ ইনিংসে ১১ হাজারেরওবেশি রান করেছেন একসময়ে জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করা যশোরের ছেলে তুষার। প্রথম শ্রেণিতে ৩১টি সেঞ্চুরির মালিক তুষারের খুলনার হয়ে ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরির কীর্তিও আছে। এমনকি খুলনার হয়ে টানা দুই ম্যাচেও ব্যাক টু ব্যাট সেঞ্চুরি করেছেন তিনি।

এক মৌসুম আগে তুষার ইমরান প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের সেরা সময় পার করেছেন। ২০১৮-১৯ এবং ২০১৭-১৮ মৌসুম গিয়েছে তাঁর সবথেকে স্বর্ণসময়। শেষ কয়েক মৌসুমেই শীর্ষ রান সংগ্রহাকারীর তালিকায় প্রথম দিকেই থাকতেন তুষার। জাতীয় লিগে একের পর সেঞ্চুরির সুবাদে জোর দাবি উঠেছিলো তুষার ইমরানকে ফের জাতীয় দলে সুযোগ দেওয়ার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটি আর হয়ে ওঠেনি। জাতীয় লিগে এত এত রান করেও টাইগার দলে তুষারকে সুযোগ না দেওয়ায় নির্বাচকদের প্রশ্নের মুখোমুখিও হতে হয়েছিলো।

জিয়াউর রহমান জনি: এক সময় জাতীয় দলে দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান জনি। জাতীয় লিগে খুলনা বিভাগের ৭ শিরোপায় অবদান একেবারেই কম নয় জিয়াউর রহমান জনির। খুলনার ৭ শিরোপা মধ্যে ৫টিতেই সরাসরি অংশগ্রহণ ছিলো এই পেস বোলিং অলরাউন্ডারের। নিযমিত অধিনায়ক আব্দুর রাজ্জাকের অনুপস্থিতিতে তার কাঁধে নেতৃত্বও এসেছে একাধিকবার। ২০০৫ সালে খুলনার হয়ে প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে অভিষেক হয় হার্ড হিটার এই ব্যাটসম্যানের।

দেশের হয়ে সর্বোচ্চ সংখ্যক প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটারদের মধ্যে জিয়া একজন। ১২১ ম্যাচ খেলা জিয়া কখনও ব্যাট হাতে, কখনও বল হাতে খুলনার জয়ে বা ম্যাচ বাঁচানোয় বড় অবদান রেখেছেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তাঁর ব্যাট হাতে সংগ্রহ ৪৫৯৬ রান। ৮টি সেঞ্চুরি আর ২২টি অর্ধশতকও আছে তার দখলে। ব্যাটিংয়ের এই পরিসংখ্যানের অধিকাংশই খুলনার হয়ে করেছেন খুলনার এই লোকাল বয়। ব্যাট হাতের মতো বল হাতেও খুলনার অন্যতম সেরা কারিগর জিয়া। ১২১ ম্যাচে ২০৮ উইকেট আছে তাঁর নামের পাশে। একই সাথে সাড়ে চার হাজার রান ও ২০০ উইকেট সংগ্রহ করা অল্প কয়েকজন ক্রিকেটারের ক্লাবে গত মৌসুমে জায়গা করে নিয়েছেন জিয়া। খুলনার হয়ে একাধিক ম্যাচে ম্যাচ জেতানো ইনিংস বা বোলিং ফিগার আছে তাঁর।

এনামুল হক বিজয়: জাতীয় দল থেকে হঠাৎই বাদ পড়ার পর জাতীয় লিগে বারবার নিজেকে প্রমান করেছেন এনামুল হক বিজয়। ব্যাট হাতে একের পর সেঞ্চুরি উপহার দিয়েছেন খুলনার হয়ে। গত চার থেকে পাঁচ মৌসুমে সেরা রান সংগ্রহকারীদের তালিকায় ছিলেন জাতীয় দলে দারুণ সম্ভাবনা জাগানো এই ক্রিকেটার। অবশ্য জাতীয় ক্রিকেট লিগে খুলনা না ঢাকা বিভাগের হয়ে ২০০৮ সালে অভিষেক হয় কুষ্টিয়ার ছেলে বিজয়ের। পরের মৌসুমেও ঢাকা বিভাগের হয়ে খেলেন এই ক্রিকেটার। এরপর ২০১০-১১ মৌসুমে নিজের বিভাগে ফিরে আসেন এই ক্রিকেটার।

খুলনার ৫টি শিরোপা জেতাতেই অবদান আছে এই ক্রিকেটারের। সাথে খুলনার হয়ে দুইবার রানার্স আপও হয়েছেন। সতীর্থ তুষার ইমরানের সাথে পাল্লা দিয়ে রান করেছেন জাতীয় লিগে। সর্বশেষ মৌসুমে ৫০৬ রান করে ছিলেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার। যা খুলনাকে চ্যাম্পিয়ন করতে অনেকটা এগিয়ে নেয়। ২০১৮-১৯ মৌসুমে ৬১৯ রান করে ছিলেন সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী। ওই মৌসুমেও চ্যাম্পিয়ন হয় খুলনা। গত কয়েক মৌসুমে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী সেরাদের তালিকায় ছিলেন এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তাঁর রান যেকোন ভাবে ঈর্ষাদায়ক। ৯৫ ম্যাচে ৭০৮৩ রান করে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রেখেছেন তুষার ইমরানকে। অদূর ভবিষ্যতে দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের রেকর্ডটা তাঁরই অপেক্ষায় আছে হয়ত।

নুরুল হাসান সোহান: খুলনার একেবারেই লোকাল হিরো নুরুল হাসানোর সোহানেরও খুলনার হয়ে জাতীয় লিগে অভিষেক হয়নি। ২০১১ সালে ঢাকা বিভাগের হয়ে অভিষেক হয় সোহানের। পরের মৌসুম তাকে খেলতে হয় সিলেট বিভাগে। এরপরেই ঘরের ছেলে ফিরে আসেন খুলনা বিভাগীয় দলে। খুলনার এই লোকাল হিরোও খুলনার ৫টি শিরোপায় সরাসরি অবদান রেখেছেন। রাজ্জাকের অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সর্বশেষ মৌসুমে শেষ ম্যাচে তারই নেতৃত্বে রংপুরকে হারিয়ে চ্যম্পিয়ন হয় খুলনা। মূলত উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান সোহান দলে বড় অবদান রেখেছেন ব্যাটিংয়ে। এনামুল হক বিজয় কিংবা মো. মিঠুনের পাশাপাশি উইকেটের পিছনেও খুলনার হয়ে অবদান রেখেছেন এই ক্রিকেটার। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সোহানের পরিসংখ্যনও একেবারে কম নয়।

৮৭ ম্যাচে ৪৩০৯ রান করেছেন এই ক্রিকেটার। উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যানের পরিসংখ্যনের সাথে তার অবদান ঠিক মানানসই নয়। খুলনার একাধিক জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এই ক্রিকেটার।

মোহাম্মদ মিঠুন: অন্য দল যেখানে উইকেটরক্ষকের অভাবে ভুগতো তখন তিন সেরা উইকেট রক্ষককে নিয়ে দল গড়তো হতো খুলনাকে। কারণ দলের সেরা ব্যাটস্যামানদের তালিকায় এ তিনজন ছিলেন অপরিহার্য।এরা হলেন বিজয়, সোহান ও মো. মিঠুন আলী। যদিও কুষ্টিয়ার এই ক্রিকেটারের অভিষেক হয়নি খুলনার হয়ে।

তিন মৌসুম পর খুলনা দলে যোগ দেন তিনি। মিডল অর্ডারে খুলনার মূল ভরসা ছিলেনমিঠুন। ১০২ ম্যাচে ৫৩৫৩ রান আছে তার দখলে।

মেহেদী হাসান মিরাজ: যদিও জাতীয় দলের চাপে থাকার কারণে খুব বেশী ম্যাচ খুলনা হয়ে খেলার সুযোগ হয়নি মেহেদী হাসান মিরাজের। তবে যখনই খুলনার হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছেন সেটা কাজে লাগিয়েছেন। ২০১৫ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ দলে থাকা অবস্থায় খুলনার হয়ে অভিষেক হয় জাতীয় দলের তারকা অলরাউন্ডারের। এই সময়ে খুলনা ৩টি শিরোপাতেই অংশ গ্রহণ আছে খালিসপুরের এই ছেলের। গত কয়েক মৌসুমে খুলনার হয়ে বেশ কয়েকটি ম্যাচের জয়ের নায়কও তিনি। মূলত রাজ্জাকের সাথে তার বোলিং জুটিই খুলনাকে অনেকটা এগিয়ে রাখতো। এখনও পর্যন্ত ৪০টি প্রথম শ্রেনীর ম্যাচ খেলা মিরাজ ব্যাট হাতে করেছেন ৪৬৭৫ রান। বল হাতে আরও উজ্জল তিনি।  ৪০ ম্যাচে তার নামের পাশে রয়েছে ১৬১টি উইকেট।

রবিউল ইসলাম শিবলু: খুলনার সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে আরেক ক্রিকেটার রবিউল ইসলাম শিবলুর। পেস বোলিংয়ে খুলনার হয়ে লড়াই করেছেন সাতক্ষীরার ছেলে রবিউল। সুঠামদেহী এই পেসার দীর্ঘদিন সার্ভিস দিয়েছেন খুলনা বিভাগকে। জাতীয় দলে চমক জাগানো এই ক্রিকেটারের গায়ে লাল সবুজ জার্সিটা ছিলো না বেশীদিন। তবে ২০০৫ সালে খুলনার হয়ে প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে অভিষিক্ত এই ক্রিকেটারও খুলনার ৫টি শিরোপায় সরাসরি অবদান রেখেছেন। নিজের সেরা সময়ে জাতীয় লিগের সেরা বোলারদের তালিকায় থাকতেন এই পেসার। যদিও সব ধরনের ক্রিকেট থেকে এখন অবসরে আছেন এই ক্রিকেটার। ৭৭ ম্যাচে ২২৪ উইকেট আছে তার দখলে।

খুলনার হয়ে বারবার শিরোপা জয়ে অবদান আছে সৌম্য সরকার, পেসার রুবেল হোসেনেরও। তবে অধিকাংশ সময় জাতীয় দল কিংবা অন্য কোন দলে ব্যস্ত থাকায় নিয়মিত এসব ক্রিকেটারকে দলে পেতো না খুলনা বিভাগ। এছাড়া মাশরাফি বিন মুর্তজাও এক সময় খুলনা বিভাগকে দিয়েছেন অনেক কিছু। খুলনার হয়ে একাধিক মৌসুমে খেলেছেন সাকিব আল হাসানও।

 

ঢাকা/রুবেল/কামরুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়