ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

যে ১০ শর্তে মিললো খেলাধুলা শুরু করার অনুমতি

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৩১, ১০ আগস্ট ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
যে ১০ শর্তে মিললো খেলাধুলা শুরু করার অনুমতি

করোনা প্রাদুর্ভাবে পাঁচ মাস থমকে থাকার পর অবশেষে অনুমতি মিললো খেলাধুলা শুরু করার। একইসঙ্গে খেলাধুলা সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও চালু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

১০ আগস্ট (সোমবার) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে খেলাধুলা এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করার জন্য ১০টি শর্ত মানতে হবে ক্রিকেট বোর্ড থেকে শুরু করে ফুটবল, হকি ফেডারেশনসহ সবাইকে।

এ নিয়ে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহেদ আহসান রাসেল এমপি বলেন, ‘বিশ্বের অনেক দেশে করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে খেলাধুলা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আমাদের দেশেও করোনা সংক্রমণের হার নিম্নমুখী। আর তাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে খেলাধুলা চালু করার জন্য আমরা অনুমতি চাই। তারা ১০টি শর্তে সীমিত আকারে খেলাধুলা চালু করতে মত দিয়েছে।’

সেই ১০টি শর্ত কী কী? রাইজিংবিডি’র পাঠকদের জন্য সেটি তুলে ধরা হলো।

১। খেলার মাঠ ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করার আগে মহামারি প্রতিরোধক সরঞ্জাম যেমন মাস্ক, গ্লাভস, জীবাণুনাশক এবং নন-কন্ট্যাক্ট ইনফ্রারেড থার্মোমিটার সংরক্ষণ করে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কাজের পরিকল্পনা নিশ্চিত করতে হবে। খেলাধুলা শুরু করার আগেও এসব নিশ্চিত করতে হবে।

২। সীমিত আকারে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ও খেলাধুলার আয়োজন করতে হবে।

৩। খেলোয়াড়, প্রশিক্ষক, ম্যানেজমেন্ট কমিটি এবং খেলাধুলা সংশ্লিষ্ট সকলের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে দেখতে হবে। ক্যাম্প শুরুর আগে প্রয়োজনবোধে সবার কোভিড-১৯ পরীক্ষা করতে হবে।

৪। খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণকালীন ক্যাম্পে অবস্থানের সময় স্বাস্থ্য বিধি মেনে থাকার ব্যবস্থা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে পুষ্টিকর ও স্বাস্থ্য সম্মত খাবারের ব্যবস্থা করতে হবে। সামাজিক দুরত্ব বজার রেখে খাবার গ্রহণ ও খাবারের ব্যবহৃত থালা বাসন পরিস্কার ও জীবাণুমুক্ত করার ব্যবস্থা করতে হবে। সম্ভব হলে ডিসপোজেবল প্লেট ব্যবহার করাই ভাল। ধুমপান নিরুৎসাহিত করতে হবে। খেলোয়াড়দের ঘুম, বিশ্রাম এবং মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি নজর রাখতে হবে। ডিজিটাল/অনলাইনের মাধ্যমে  পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সাথে যোগাযোগের ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে।

৫। খেলা ও প্রশিক্ষণের সময় ব্যক্তিগত পানির বোতল ও তোয়ালে ব্যবহার করতে হবে। ব্যক্তিগত সরঞ্জাম এবং জামাকাপড় নিজস্ব ব্যাগে রাখতে হবে। টিস্যু, রুমাল বা অন্যান্য ব্যবহৃত উপকরণ যেমন প্লাস্টার, ব্যান্ডেজ ইত্যাদি তাৎক্ষণিকভাবে উপযুক্ত পাত্রে (মুখবন্ধ ময়লার পাত্র) ফেলে দিতে হবে।

৬। অধিক জনসমাগম না করে সীমিত আকারে খেলাধুলার আয়োজন করা যেতে পারে। মাঠে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার সময় দর্শকদের সারিবদ্ধভাবে পরস্পর হতে এক মিটারেরও বেশি দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। মাঠে প্রবেশের পর নির্দিষ্ট দূরত্ব (১মিটার) বজায় রেখে বসার ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি দুইজন দর্শকদের মাঝে এক সিট খালি রাখতে হবে।

৭। খেলার মাঠের প্রবেশ পথে খেলোয়াড়, প্রশিক্ষক, ম্যানেজমেন্ট কমিটি এবং বহগিরাগত দর্শনার্থীদের (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) শরীরের তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা রাখতে হবে। এক্ষেত্রে যাদের শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হবে তাদের মাঠে প্রবেশ নিষিদ্ধ করে নিকটস্থ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে পাঠাতে হবে।

৮। খেলোয়াড়, প্রশিক্ষক/কোচ এবং ম্যানেজমেন্ট কমিটির মধ্যে কোভিড-১৯ এর সন্দেহভাজন কোনো রোগী থাকলে তাৎক্ষিণকভাবে আইসোলেশনের ব্যবস্থা করতে হবে।

৯। খেলার মাঠের আবর্জনা প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে এবং আবর্জনা সংরক্ষণকারী পাত্র প্রতিদিন জীবাণুমুক্ত করতে হবে।

১০। স্টেডিয়ামে আগত সকলকে স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতন করার জন্য সহজে দৃশ্যমান হয় এমন স্থানে বিলবোর্ড, রেডিও, ভিডিও ও পোস্টারের মাধ্যমে সচেতনতামূলক বক্তব্য প্রচার করার ব্যবস্থা করতে হবে।

ঢাকা/কামরুল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়