ডাম্বুলায় মুমিনুল-মুশফিকদের ক্যাম্প

তিন টেস্ট খেলতে আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর শ্রীলঙ্কা যাবে জাতীয় দল। তাদের সফরসঙ্গী হবে বিসিবির হাই পারফরম্যান্স স্কোয়াড (এইচপি)। দ্বীপরাষ্ট্রে দুইটি তিনদিনের ম্যাচ ও পাঁচটি ওয়ানডে খেলবে এইচপি দল।

অক্টোবরে শুরু হবে জাতীয় দলের সিরিজ। এর আগে জাতীয় দলের ক্যাম্প হবে শ্রীলঙ্কাতে। জানা গেছে, রাজধানী কলম্বোতে ক্যাম্প করার অনুমতি পায়নি বিসিবি। কলম্বো থেকে প্রায় ১৫৬ কিমি দূরের শহর ডাম্বুলায় হবে জাতীয় দল ও এইচপি দলের প্রায় তিন সপ্তাহের ক্যাম্প।

সবুজ ঘেরা ডাম্বুলাতে এর আগে একাধিক আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। তবে তিন থেকে পাঁচদিনের বেশি কখনোই থাকেনি। এবার লম্বা সময়ের জন্য মুমিনুল, মুশফিকদের ঠিকানা হবে ডাম্বুলা। নিজেদের অনুশীলনের পাশাপাশি এইচপির ক্রিকেটাররা জাতীয় দলের অনুশীলনে সাহায্য করবে। সেখানে দুইটি তিনদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলারও কথা রয়েছে। করোনার কারণে শ্রীলঙ্কার কোনো দলের সঙ্গে প্রস্তুতি ম্যাচের সুযোগ পাবে না জাতীয় দল। সেজন্য এইচপি দলের বিপক্ষে খেলতে হবে তামিম, লিটনদের।

বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দীন চৌধুরী সুজন বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট কলম্বো বাদে কয়েকটি অপশন আমাদের দিয়েছিল ক্যাম্প করার। আমাদের কাছে মনে হয়েছে ডাম্বুলা সবচেয়ে ভালো। আমরা এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেইনি। ডাম্বুলাতে আমরা আগেও গিয়েছিলাম। সেখানের অভিজ্ঞতা ভালো। কখনো লম্বা সময়ের জন্য যাওয়া হয়নি এটা ঠিক। তবে ডাম্বুলাতেই হতে পারে ক্যাম্প।’

এদিকে জাতীয় দল ও এইচপির খরচ নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে।  ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান আকরাম খান জানালেন, জাতীয় দলের ক্যাম্পের খরচ বিসিবি বহন করবে। দল যখন শ্রীলঙ্কার আতিথেয়তায় ঢুকে যাবে তখন স্বাগতিকরাই সকল খরচ বহন করবে। তার ভাষ্যে, ‘জাতীয় দলের পূর্ণ প্রস্তুতির জন্য আমরা এইচপি দলকে আগেভাগে শ্রীলঙ্কা নিচ্ছি। এজন্য এইচপি দলের প্রথম তিন সপ্তাহের খরচ আমরা বহন করবো। জাতীয় দলের জন্যও তাই। এইচপি দল যখন শ্রীলঙ্কায় আতিথেয়তায় চলে যাবে তখন ওরাই সবকিছু দেখবে। জাতীয় দলের জন্যও একই পরিকল্পনা।’

এইচপি ও জাতীয় দলের খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ ও কর্মকর্তাসহ দ্বীপরাষ্ট্রে বাংলাদেশের বহর প্রায় ৬০ জনে গিয়ে ঠেকবে। বিশাল এ বহরকে চার্টার্ড ফ্লাইটে কলম্বো নেবে বিসিবি। কলম্বো নেমে দুই ঘণ্টার বাস ভ্রমণে দল পৌঁছাবে ডাম্বুলায়।