ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

‘ক্রিকেটের সৈনিক হারাল বাংলাদেশ’

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৩৯, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০  
‘ক্রিকেটের সৈনিক হারাল বাংলাদেশ’

বাংলাদেশ ক্রিকেট আজকের পর্যায়ে আসার পেছনে যে কয়েকজন সৈনিক বীজ বপন করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম এ এস এম ফারুক। জাতীয় দলের সাবেক এ ক্রিকেটার বুধবার রাতে পরলোকে পাড়ি জমিয়েছেন।

স্বাধীনতার পূর্বে ও পরে বাংলাদেশের জাতীয় ও ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি অসামান্য অবদান রেখেছেন এ এস এম ফারুক। স্বাধীনতার পর প্রথম কোনো বিদেশি দল হিসেবে ১৯৭৬ সালে মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) ঢাকা সফর করেছিল। এমসিসির বিপক্ষে সে সময় বাংলাদেশের যে একাদশ খেলেছিল সেই দলের সদস্য ছিলেন ফারুক।

ক্রিকেট ছাড়ার পর সংগঠক হিসেবে দারুণ কাজ করেছিলেন। বিসিবির পরিচালক ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, ‘আমরা একজন দক্ষ ক্রীড়া সংগঠককে হারালাম। স্বাধীনতার পর আমাদের ক্রিকেটের অবস্থা কিন্তু খুবই খারাপ ছিল। আমাদের পরিবেশ খারাপ ছিল, খেলাধুলার এত সুযোগ সুবিধা ছিল না। ফারুক ভাই সে সময়কার একজন সৈনিক যারা ক্রিকেটকে ধরে রেখেছিল। আপনারা জানেন ফুটবল তখন অনেক জনপ্রিয় ছিল। সে জায়গায় ফারুক ভাই এবং তার সাথের ক্রিকেটার যারা ছিলেন তাদের অবদান অনেক। আজকে যে ক্রিকেটকে আমরা দেখছি তা ফারুক ভাইদের মত ক্রিকেটারদের জন্যই।’

তার সঙ্গে খেলার স্মৃতি রয়েছে জালাল ইউনুসের। ৭০ দশকে জালাল ইউনুস ছিলেন আবাহনীর তুখোড় পেসার। এ এস এম ফারুক ছিলেন মোহামেডানের তারকা। দুই ব্যাটসম্যান-বোলারের লড়াই বেশ আলোচিত ছিল সেই সময়ে।

সংগঠক হিসেবে এ এস এম ফারুকের দারুণ সুনাম। ক্লাব ক্রিকেটে সংগঠকের ভূমিকা রাখার পাশাপাশি বিসিবিতেও যুক্ত ছিলেন। তাকে নিয়ে বিসিবির সহ সভাপতি মাহবুব আনাম বলেন, ‘এ এস এম ফারুক ক্রিকেটকে যেভাবে ভালোবাসতেন তা কাছ থেকে না দেখলে বোঝা যায় না। মোহামেডান ছিল উনার ক্লাব। পরবর্তীতে বিসিবির সাথে সম্পৃক্ত হন। বিভিন্ন সময়ে বিসিবির বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করেছেন। জাতীয় দলের ম্যানেজার ছিলেন, অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ম্যানেজার, গেম ডেভেলেপমেন্ট প্রক্রিয়ায় আমাদের অনেক সাহায্য করেছেন। বিসিবির টেকনিক্যাল কমিটিতেও ছিলেন।’

ক্রীড়া ক্ষেত্রে অবদানের কথা তুলে মাহবুব আনাম বলেন, ‘স্পোর্টসের জন্য নিবেদিত প্রাণ ছিলেন তিনি। ফুটবলেরও ম্যানেজার ছিলেন। ২০০৪ সালে ক্রীড়াক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য জাতীয় ক্রীড়া পুরষ্কার পান। উনার পরিধিটা সবধরনের খেলাধুলাতেই। উনার একটা ছায়া ছিল দেশের ক্রীড়াঙ্গনে।’

মোহামেডান ছিল তাঁর ক্লাব। এ ক্লাবের তাঁবুতেই তিনি থাকতেন। মাহবুব আনাম আরো বলেন, ‘মোহামেডান ক্লাবের প্রাণ ছিলেন ফারুক ভাই। উনি আমাদের ক্রিকেট, ফুটবল সবকিছুর সাথে জড়িত ছিলেন। উনি ক্লাবেই থাকতেন। কখনো কোথাও যাননি ক্লাব ছেড়ে।’

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়