ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

আম্পায়ারের ভুল, পাঞ্জাবের ১ রানের আক্ষেপ

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৫৯, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০   আপডেট: ১২:০০, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০
আম্পায়ারের ভুল, পাঞ্জাবের ১ রানের আক্ষেপ

কাগজে-কলমের হিসাবে দিল্লি ক্যাপিট্যালস এবং কিংস এলেভেন পাঞ্জাবের মধ্যে জিতেছে দিল্লিই। সুপার ওভারে জয়ের আগে ম্যাচ টাইয়ের ঘটনাও ঘটেছে দুবাইয়ে আইপিএলের ম্যাচটিতে। তবে এই ম্যাচে জয় প্রাপ্য ছিল পাঞ্জাবেরই। আম্পায়ারের ভুলে ১ রানের আক্ষেপে পুড়ে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয় লোকেশ রাহুলের দল।

আম্পায়ারের ভুলে ম্যাচ হারায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন সাবেক পাঞ্জাবের ক্রিকেটার বীরেন্দ্র শেওয়াগ। ম্যাচশেষে টুইটারে আম্পায়ারের ভুল সামনে নিয়ে এসে জানিয়েছেন, খেলা শেষে ম্যান অব দা ম্যাচের পুরস্কার দেওয়া উচিত ছিল আম্পায়ারকে। দুঃখের কথা জানিয়েছেন ফ্র্যাঞ্চাইজিটির মালিক প্রীতি জিনতাও।

দুবাইয়ে রোববার দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের খেলায় দুই দলই থামে সমান ১৫৭ রানে। তবে আম্পায়ারের ভুলের ঘটনা ঘটে পাঞ্জাব ইনিংসের ১৯তম ওভারে। কাগিসো রাবাদার ইয়র্কার লেংথের বল লং অনে ঠেলে দেন ব্যাটসম্যান মায়াঙ্ক আগারওয়াল। মাঠে উপস্থিত ক্রিস জর্ডান ও আগারওয়াল দ্রুত নেন দুই রান। কিন্তু লেগ আম্পায়ার নিতিন মেনন সঙ্কেত দেন, রান গণনা করা হবে এক। কারণ, নন-স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা জর্ডান প্রথম রান নেওয়ার সময় ক্রিজ পার করেনি।

কিন্তু একটু পরই টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, জর্ডান বেশ পরিস্কারভাবেই ক্রিজ পেরিয়েছিলেন। তবে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে আর বদল আসেনি। শেষ পর্যন্ত ওই এক রানের আক্ষেপ সঙ্গী করে টাই নিয়ে মাঠ ছাড়ে পাঞ্জাব শিবির। শেষ পর্যন্ত সুপার ওভারে হারও দেখে।

ম্যাচ শেষে তুমুল আলোচনা ছিল সেই এক রান কম দেওয়া নিয়ে। এই বছরই আইসিসির এলিট প্যানেলে জায়গা করে নেওয়া আম্পায়ার নিতিন মেনন পড়েন তোপের মুখে। বরাবরই খোলামেলা কথা বলার জন্য পরিচিত শেবাগ সরাসরিই আম্পায়ারকে শূলে চড়ালেন।

ভারতীয় এই কিংবদন্তি ওপেনার বলেন, ‘ম্যান অব দা ম্যাচ হিসেবে যাকে বেছে নেওয়া হয়েছে, আমি তাতে একমত নই। এক রান কম দিয়েছেন যে আম্পায়ার, ম্যান অব দা ম্যাচ দেওয়া উচিত ছিল তাকেই। এটি শর্ট রান ছিল না এবং সেটিই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।’

এদিকে ফ্র্যাঞ্চাইজিটির মালিক প্রীতি জিনতা আম্পায়ারের এমন ভুলে প্রচন্ড আঘাত পেয়েছেন জানিয়ে শেওয়াগের টুইটটি রিটুইট করে বলেন, ‘আমি এই করোনার মধ্যেও উদ্দীপনা নিয়ে ভ্রমণ করছিলাম। ছয়দিনের কোয়ারেন্টাইন মানা, ৫ বার করোনা টেস্টের মুখোমুখি হয়েছি হাসিমুখে। কিন্তু এই এক রানের আক্ষেপ আমাকে চরমভাবে আঘাত করেছে। প্রযুক্তি থেকেই বা কী লাভ, যদি সেটি ব্যবহার না হয়? বিসিসিআইকে নতুন করে নিয়ম করতে হবে। প্রতি বছর এটি মেনে নেওয়া যায় না।’

ঢাকা/কামরুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়