চেনা ছন্দে ফেরার লড়াইয়ে সাইফ উদ্দিন
ইনজুরি আর করোনা ধাক্কায় সাইফ উদ্দিন দীর্ঘ সময় মাঠের বাইরে। অন্যান্য ক্রিকেটাররা ফিটনেস ট্রেনিংয়ের পাশাপাশি স্কিলের কাজও করেছেন। মাঠ, উইকেটের অভাবে সাইফ উদ্দিনের সেই সুযোগ ছিল না।
তাইতো মরিচা ধরেছে তার ব্যাটে, বোলিংয়ে এখনও আঁটোসাঁটো ভাব। ছন্দহীন এ পেস অলরাউন্ডার নিজেকে চেনা রূপে ফেরানোর লড়াইয়ে। জাতীয় দলের স্কিল ক্যাম্পে যোগ দিয়ে সেই যুদ্ধে নেমেছেন সাইফ উদ্দিন।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) অনুশীলন শেষে নিজের বর্তমান অবস্থা জানিয়েছেন তরুণ তুর্কী। রাইজিংবিডির পাঠকদের জন্য তা দেয়া হল,
অনেক দিন পর মিরপুরে অনুশীলন করলেন। কেমন লাগছে?
সাইফ উদ্দিন: আলহামদুলিল্লাহ। ৬-৭ মাস পর দলের সাথে মিরপুর গ্রাউন্ডে, খুবই আনন্দিত আমি। প্রথমবারের মত সেন্টার উইকেটে বল করতে পেরে উচ্ছ্বাসিত। আরও কিছুদিন সময় পাবো, যতটুকু ওভারকাম করা যায়। নিজেকে ডেভেলপ করা যায় এই জিনিসটা নিয়ে কাজ করবো। যেহেতু আমি প্রথমবারের মত টেস্ট স্কোয়াডে ডাক পেয়েছি। খুবই আনন্দিত আমি, চেষ্টা করবো নিজের সেরাটা দেওয়ার এবং যতটুকু পারি শেখার।
করোনায় দীর্ঘদিন লকডাউনে ছিলেন। কিভাবে সময় কাটিয়েছেন?
সাইফ উদ্দিন: করোনার সময়টা আমার জন্য কিছুটা কঠিন ছিল। যেহেতু আমি নিজ জেলা ফেনিতে ছিলাম। ফিটনেসের কাজ করতে পেরেছি কিন্তু স্কিল নিয়ে অন্য প্লেয়ারদের চেয়ে অনেক পিছিয়ে আছি। ব্যাটিংটা যতটুকু পেরেছি করেছি (পাকা উইকেটে) । বোলিংটা একদমই করতে পারিনি। যার কারণে আজকেও বোলিং করেছি, গত দুইদিনও বোলিং করেছি। ছন্দ পেতে আরও সময় লাগবে। কিছুটা অস্বস্তি বোধ করতেছি আমি। তারপরেও আশাবাদী আরো কিছুদিন বোলিং করতে পারলে হয়তোবা আগের রূপে ফিরে আসতে পারবো।
প্রথমবার টেস্ট স্কোয়াডে ডাক পেয়েছেন, কেমন অনুভূতি?
সাইফ উদ্দিন: প্রত্যেকটা ক্রিকেটারের স্বপ্ন থাকে টেস্ট ক্রিকেট খেলা, আমিও ব্যতিক্রম নই। চেষ্টা থাকবে সুযোগ পেলে ভালো কিছু করা। আমার এখন সবচেয়ে বড় লক্ষ্য নিজেকে ফিট করা, স্কিল উন্নতি করা। আমি কিছুটা চিন্তিত আমার স্কিল নিয়ে। প্রায় ৬-৭ মাস আমি বোলিং, ব্যাটিং সেভাবে করতে পারিনি। তারপরও যে সময়টা আছে, যদি শ্রীলঙ্কায় যাই সেখানে যে সময়টা পাবো নিজেকে মেলে দেওয়ার চেষ্টা করবো।
আপনি চোট থেকে সেরে উঠেছেন। এখন ফিটনেস কেমন?
সাইফ উদ্দিন: সবসময় আমার একটা চিন্তা থাকে চোট নিয়ে। যেহেতু আমার মেজর একটা চোট আছে, ব্যাক পেইন। আমি প্রায় ৬-৭ মাস মাঠের বাইরে ছিলাম, এরপর ফিট হয়ে ফিরে এসে দুই একটা ম্যাচ খেলার পর করোনার কারণে ৬ মাস পিছিয়ে গেলাম। প্রায় এক বছরের মত আমি মাঠের বাইরে। যার কারণে আমার জন্য কঠিন, এক বছরের মত আমি মাঠের বাইরে, ফিটনেস নিয়ে কাজ বা ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি। যেহেতু সামনে অনেকগুলো ম্যাচ আছে, নিজেকে যত তাড়াতাড়ি ওভারকাম করতে পারবো ততই আমার জন্য বেটার। আমার লক্ষ্যই থাকবে এটা, যত তাড়াতাড়ি ম্যাচ ফিটনেস ফিরে পাবো আমার ও দলের জন্যই ভালো।
দীর্ঘ সময় বাইরে ছিলেন। এ সময়ে নিজেকে কিভাবে অনুপ্রাণিত করেন?
সাইফ উদ্দিন: করোনার কারণে নিজের ফিটনেসে আরও বেশি সময় দেওয়ার সুযোগ পেয়েছি। অন্যান্য সময়ের তুলনায়। এর পাশাপাশি মানসিকভাবে অনেক শক্ত এখন। কারণ অনেক সময় কাজ করতে মন চাইতোনা তারপরও নিজেকে পুশ করেছি, বুস্ট আপ করেছি। এসব নিজে নিজে যখন করেছি তখন মনে হয়েছে আমার উন্নতি হয়েছে এবং আরও উন্নতি করতে হবে। এ জিনিসগুলো আমি মনে করি এই সময়টাতেই উন্নতি করেছি।
ঢাকা/ইয়াসিন
আরো পড়ুন