ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

বাফুফে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে মানিকের অভিযোগ

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৪৫, ৬ অক্টোবর ২০২০   আপডেট: ২২:০৪, ৬ অক্টোবর ২০২০

নির্বাচনের দিনই এর স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) প্রেসিডেন্ট প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মানিক। গত শনিবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সভাপতি পদে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন সাবেক এই ফুটবলার ও কোচ। তার কোনও এজেন্ট না থাকায় ভোট গণনার সময় নিজেই উপস্থিত থাকতে চাইলেও তাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। তাছাড়া নির্বাচনের পরিবেশ নিয়েও অভিযোগ রয়েছে তার।

নির্বাচন শেষ হওয়ার তিন দিন পর মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সামনে এ নিজের অবস্থানের কথা তুলে ধরেন মানিক। তিনি বলেছেন, ‘আমি মনে করি নির্বাচনটা আরও সুন্দর হতে পারতো। আমি যে জায়গায় দাড়িয়ে নির্বাচন করেছি আমার কাছে মনে হয়েছে সেই সুযোগটুকু দেওয়া হয়নি। কারণ এজিএম যখন শেষ হয়ে যায়, তখন সব নির্বাচন কমিশনারের কাছে হ্যান্ডওভার হয়ে যায়। আমিও একজন প্রার্থী। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হলো না। আমি তখন রুমের বাইরে থাকবো, অন্য প্রার্থীরা ভেতরে থাকবে এটা ঠিক হলো না। আমি নতুন কিন্তু আমার সমঅধিকার থাকবে। সেই জায়গাটা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। ভোটিংয়ের সময় উনারা ছিলেন। ভোটিংয়ের পর যখন গননা হয়েছে তখন আমি গিয়েছিলাম ভেতরে। দুর্ভাগ্যবশত আমাকে তখন বের করে দেওয়া হয়েছে এই কারণ, ওই কারণ দেখিয়ে। আমার কাছে তখন এই কাগজ (বিধিমালা) ছিল না।’

নির্বাচনে বাফুফের বিধিমালা উল্লেখ করে সাবেক এই কোচ বলেছেন, ‘নির্বাচনী বিধিমালায় ১০ নম্বরে বলা আছে প্রত্যক্ষভাবে ভোট গননা দেখতে পাবে প্রত্যেক প্রার্থী। তাহলে কেন আমাকে ওখান থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হলো? কার ইশারায়। কেন? আমি থাকলে কী হতো? আমি না থাকলে কী হয়েছে? এখন আমার একটা ভোট। আমি বিশ্বাস করি আমি এত কাজ করেছি একটা ভোটের জায়গা ছিল। নিশ্চয় না। অনেকের সঙ্গে কথা হয়েছে। অনেকে আমাকে আশা দিয়েছে। মনে করলাম উনারা সবাই সচেতন। তাহলে একজন অসচেতন মানুষ আমাকে ভোটটা দিয়েছে। এটা আমি খুঁজে পাচ্ছি না। আমি ধরে নিচ্ছি ১৩৫ জনই আমাকে ভোট দিয়েছে। কারণ একজন কে ভোট দিয়েছে সেটা খুঁজতে পারি না। আমার প্রতিবাদ এজন্যই। এক ভোট প্রশ্ন না। প্রশ্ন হচ্ছে বিধিমালা আইন এইটা কি বলে? ওখানে থাকলে কি হতো সেটা পরের প্রশ্ন। আমার ওখানে থাকা উচিত ছিল। আমাকে রাখা উচিত ছিল । যদি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করতে চাইতো।’

এই ঘটনায় আইনের দ্বারস্থ হওয়ার আভাস দিয়েছেন মানিক, ‘আমার একজন বন্ধু আছে যে হাইকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী। আইনি লড়াই যাওয়ার চিন্তা করছি। কারণ কিন্তু আমি রুমে থাকতে পারিনি কিংবা ফল আমার পক্ষে যায়নি বলে নয়। অপমানিতবোধ করেছি, একজন প্রার্থী হিসেবে। স্বচ্ছতার প্রশ্নও উঠছে। তাছাড়া ভবিষ্যতের নিশ্চয়তার জন্য আমি লড়াইটা করতে চাই।’

এই নির্বাচনে ৯৪ ভোটে প্রেসিডেন্ট হয়েছেন কাজী সালাহউদ্দিন। ৪০ ভোট পান বাদল রায়। আর মাত্র এক ভোট পান মানিক। নির্বাচনে হারায় তিনি ব্যর্থ হয়েছেন মনে করেন না, ‘নির্বাচনে একটা ব্যাপার পরিষ্কার হয়েছে যে, নীতি নৈতিকতা বলতে কিছু নেই। নৈতিকতার অধঃপতন হয়েছে। আমি এই জায়গা থেকে দূরে আছি বলেই শিক্ষা নিতে পেরেছি। যার অর্থ থাকবে সে সফল, অর্থই এখানে বড় জিনিস। অনেকে বলেছে আমি ব্যর্থ হয়েছি, কিন্তু আমি বলবো ফুটবল ব্যর্থ হয়েছে।’

ঢাকা/ফাহিম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়