ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

মেসির ব্যথা অনুভব করেছি: সুয়ারেজ

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩০, ৯ অক্টোবর ২০২০  
মেসির ব্যথা অনুভব করেছি: সুয়ারেজ

এই মৌসুমে বার্সেলোনা ছেড়ে নতুন ক্লাব খুঁজতে বাধ্য হয়েছেন লুইস সুয়ারেজ। ক্লাবে ছয় বছর একসঙ্গে চলার পর বন্ধুর এমন বিদায় মেনে নিতে পারেননি লিওনেল মেসি। দুঃখ-কষ্ট এক করে বার্সার প্রতি তীব্র ক্ষোভ ঝরেছিল তার মন থেকে। মেসির সঙ্গে একমত হয়ে সুয়ারেজও বললেন, সাবেক ক্লাবের কাছ থেকে আরও ভালো ব্যবহার প্রাপ্য ছিল তার।

বার্সেলোনা থেকে বিতর্কিত বিদায়ের পর ক্লাবের সর্বকালের তৃতীয় শীর্ষ গোলদাতা এতদিন পর মনের ভেতরের কষ্টের ঝাঁপি খুলে দিলেন। তার চলে যাওয়ায় মেসি যে ব্যথা পেয়েছেন, ঠিক একই রকম ব্যথা তার মনেও। সুয়ারেজ আতলেতিকো মাদ্রিদে যাওয়ার পর ছয়বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী বলেছিলেন, ‘তোমার সম্মান প্রাপ্য ছিল, ক্লাব ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় তুমি। দলীয় ও ব্যক্তিগতভাবে অনেক দারুণ কিছু অর্জন করেছিলে। তারা যেভাবে তোমাকে ছুড়ে ফেলেছে, তা তোমার প্রাপ্য ছিল না। কিন্তু সত্যি হলো এই পর্যায়ে ক্লাবের কোনও কিছু আমাকে অবাক করে না।’

বন্ধু ও সাবেক সতীর্থের মুখে এমন কথা শোনাটা অপ্রত্যাশিত ছিল না সুয়ারেজের কাছে। বৃহস্পতিবার চিলির বিপক্ষে ২-১ গোলে বাছাইপর্বের ম্যাচ জিতে উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকার বলেছেন, ‘মেসির এসব কথা শুনে আমি আশ্চর্য হইনি। কারণ আমি তাকে খুব ভালো করে চিনি। সে কতটা ব্যথা অনুভব করেছে আমি জানি, আমারও একই ব্যথা অনুভূত হয়েছে।’

সুয়ারেজ আরও বলেছেন, ‘তার মনে হয়েছে, ফর্মের কারণে তারা আমাকে ক্লাব থেকে ছুড়ে ফেলেছে। আমার সঙ্গে আরও ভালো আচরণ করতে পারতো তারা। ছয় বছরের লম্বা সময় এবং এটা তাকেও বিরক্ত করেছে। আমি তাকে একজন বন্ধু হিসেবে দেখি এবং সে জানে আমরা কতটা ভুগেছি।’

বার্সায় শেষ কয়েকটা দিন খুব অস্বস্তিতে ছিলেন উরুগুয়ান স্ট্রাইকার, ‘আমার পরিবার আমাকে খুশি দেখতে চেয়েছিল। বার্সেলোনায় কিছু অদ্ভুত ঘটনা ঘটছিল, যেমন ম্যাচের জন্য আপনি পরিকল্পনায় নেই দেখে আপনাকে আলাদাভাবে ট্রেনিং করতে হবে। এসব কিছু আমাকে খুব কষ্ট দিয়েছে এবং আমার পরিবারও সেটা বুঝতে পেরেছিল। তাই তারা আমাকে সুযোগ নিতে উৎসাহ দিয়েছিল। যখন আতলেতিকো আমাকে চাইলো, তখন আমি এক মুহূর্তও আর ভাবিনি। অবশ্যই আমাকে ভিন্ন কিছুর সঙ্গে অভ্যস্ত হতে হবে। কিন্তু আতলেতিকোতে আমি খুব সুখে আছি।’

ঢাকা/ফাহিম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়