বোলিং অ্যাকশন নিয়ে ‘সতর্কতা তালিকায়’ নারিন
সুনীল নারিন
আবারও প্রশ্নবিদ্ধ হলো সুনীল নারিনের বোলিং অ্যাকশন। শনিবার আবুধাবিতে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে ২ রানের রোমাঞ্চকর জয়ের পর এই খবর জানতে পেরেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। তাদের জয়ে ১৮ ও ২০তম ওভারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার, ২৮ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট।
আইপিএলের সন্দেহজনক অবৈধ বোলিং অ্যাকশন নীতি অনুযায়ী নারিনের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করেন অন ফিল্ড আম্পায়ার উলহাস গান্ধী ও ক্রিস গ্যাফানে। তারপর এই অফস্পিনারকে রাখা হয়েছে ‘সতর্কতা তালিকায়’। আপাতত বোলিং করে যেতে পারবেন নারিন, কিন্তু থাকবেন তীক্ষ্ণ নজরদারিতে। আবারও তার বিরুদ্ধে রিপোর্ট হলে বিসিসিআই’র ছাড়পত্র না পাওয়া পর্যন্ত এই টুর্নামেন্টে আর খেলতে পারবেন না।
অতীতেও একাধিকবার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে ভুগতে হয়েছিল নারিনকে। ২০১৫ সালের নভেম্বরে পাল্লেকেলেতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের তৃতীয় ওয়ানডেতে তার বিরুদ্ধে রিপোর্ট করা হয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ওটাই ছিল তার বোলিং অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার প্রথম ঘটনা।
বর্তমানে বিলুপ্ত টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়নস লিগ টি-টোয়েন্টিতে ২০১৪ সালে দুইবার নারিনের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করা হয়, চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে নাইট রাইডার্সের ফাইনাল ম্যাচ খেলা হয়নি তার।
সংশোধিত বোলিং অ্যাকশন নিয়ে মাঠে ফিরেছিলেন, কিন্তু পুরোপুরি অভ্যস্ত না হওয়ার কারণে ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে খেলেননি নারিন। ওই বছরের আইপিএলে বল করে তিনি প্রশ্নবিদ্ধ হলেও ছাড়পত্র পান এবং পরে আবার রিপোর্ট করা হলে পুনঃপরীক্ষা শেষে তাকে অফস্পিন বোলিংয়ে নিষিদ্ধ করা হয়। শেষ সতর্কতা দিয়ে পরে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
সম্প্রতি ২০১৮ সালের পাকিস্তান সুপার লিগেও সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনে অভিযুক্ত হন নারিন, কিন্তু শিগগিরই ছাড়পত্র পান।
২০১২ সালে যোগ দেওয়ার পর থেকে কলকাতার গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় নারিন, ওইবার ৫.৪৭ ইকোনমি রেটে ২৪ উইকেট নিয়ে দলকে প্রথম আইপিএল ট্রফি জেতান। পরের বছরের টুর্নামেন্টেও দারুণ কেটেছে, নেন ৫.৪৬ ইকোনমি রেটে ২২ উইকেট। ২০১৪ সালে দ্বিতীয় ও শেষ শিরোপা জয়ে ২১ উইকেট নিয়ে দারুণ অবদান রাখেন এই অলরাউন্ডার।
১৩তম আসরে ছয় ম্যাচ খেলে নারিন নিয়েছেন ৫ উইকেট, আর পাঁচ ইনিংসে ব্যাট করে মাত্র ৪৪ রান করেছেন।
ঢাকা/ফাহিম
আরো পড়ুন