ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ক্রিকেটে ‘সুরক্ষা বলয়’ নিয়ে মরগান-হোল্ডারের সতর্কবার্তা

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:২৫, ২০ অক্টোবর ২০২০  
ক্রিকেটে ‘সুরক্ষা বলয়’ নিয়ে মরগান-হোল্ডারের সতর্কবার্তা

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে অচল হয়ে পড়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। এই কঠিন সময়ের মধ্যেও দর্শকদের বিনোদন দিচ্ছেন ক্রিকেটাররা। হাসিমুখে মাঠে পারফর্ম করে যাচ্ছেন তারা। কিন্তু তাদের জীবন যে খুব স্বাভাবিকভাবে চলছে, তা নয়। পরিবার-পরিজন ছাড়া দীর্ঘ সময় থাকছেন লকডাউনে, ক্রিকেটীয় পরিভাষায় যার নাম ‘জৈব সুরক্ষা বলয়’। কেবল দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ তারা। বিচ্ছিন্ন থেকে এভাবে আর কতদিন চলা যায়! ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক এউইন মরগান ও জেসন হোল্ডার দিয়েছেন সতর্কবার্তা।

ইংল্যান্ডের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক মরগান এবং হোল্ডার ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট অধিনায়ক। তারা দুজন এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতে, খেলছেন আইপিএল। করোনা পরিস্থিতি সামলে তারা দুজনই মাসখানেক আগে মাঠে ফিরেছেন। আন্তর্জাতিক ও ফ্রাঞ্চাইজি খেলোয়াড় হিসেবে কর্তব্য পালন করতে গিয়ে তারাও দীর্ঘ সময় জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে থাকছেন।

এই মহামারির মধ্যে যেখানে অনেকে চাকরি হারাচ্ছেন, সেখানে ক্রিকেটারদের জীবন যে অনিশ্চিত হয়ে পড়েনি সেজন্য তৃপ্তির ঢেকুর তুলছেন মরগান ও হোল্ডার। কিন্তু এভাবে সম্পূর্ণ আলাদা জীবন চলতে থাকলে তার প্রভাব মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর পড়তে কতক্ষণ, তা ভাবার সময় এসেছে বললেন তারা। 

দ্য চ্যারিটি’স স্ট্রিট প্রোগ্রামের একটি ইভেন্টে মরগান বলেছেন, ক্রিকেট ক্যারিয়ারে তার জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময়ের একটি হলো লকডাউনের জীবন। ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক বললেন, ‘গ্রীষ্মে আমাদের সব আন্তর্জাতিক সূচি পূরণ করতে পেরেছি। দলের জন্য এটা ছিল অবিশ্বাস্য অর্জন। সংশ্লিষ্ট স্টাফদের ত্যাগ ছিল অসাধারণ। আমরা যে খেলায় ফিরেছি এটা সত্যিই সৌভাগ্যের।’

তবে টানা কয়েক মাস ধরে সুরক্ষা বলয়ে থাকার কুপ্রভাবের কথা তুলে ধরলেন মরগান, ‘কিন্তু ১২ মাস ধরে সুরক্ষা বলয়ে থাকা কিংবা এক বছরের মধ্যে ১০ মাস আমরা সাধারণত ভ্রমণের উপর থাকি, আমি মনে করি এটা অগ্রহণযোগ্য। আমি মনে করি না এটা সম্ভব। ক্রিকেট শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যে কারও জন্য এটা সম্ভবত সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং সময়ের একটি। এটা মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। স্বাস্থ্যই সবার আগে। তাই আমি মনে করি, ভবিষ্যতে অনেক খেলোয়াড়কে সফর থেকে সরে দাঁড়াতে দেখবো।’

এই মৌসুমে ইংল্যান্ড সফরে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন হোল্ডার। করোনা মহামারির মধ্যেও বিদেশ সফরে যাওয়া প্রথম আন্তর্জাতিক দলের অধিনায়ক তিনি। পুরো দলকে নিয়ে অন্য সবার চেয়ে বেশি সময় ধরে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়েছে তাকে। স্বীকার করলেন ভোগান্তির কথা, ‘আমি দুই মাস ইংল্যান্ডে (সুরক্ষা বলয়ে) ছিলাম। তারপর দুই দিন ঘরে থেকে ত্রিনিদাদের (সিপিএল) হয়ে দেড় মাস খেলেছি। ফের মাঠে ডাক পাওয়ার আগে বার্বাডোজে আমার পরিবারের সঙ্গে ছিলাম চার কিংবা পাঁচ দিন। তারপর আবার আইসোলেশনে। এটি (সুরক্ষা বলয়) পরিবার কিংবা প্রিয়জন ছেড়ে দূরে থাকাকে খুব কষ্টকর করে তুলেছে।’

নতুন করে ভাবার সময় এসেছে বলে জানালেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক, ‘এটা চ্যালেঞ্জিং। এখনও যে কাজের মধ্যে আছি, সেটা সৌভাগ্যের। করোনার কারণে অনেকের চাকরি নেই। কিন্তু লোকেদের বিনোদিত করতে আমাদের এখনও সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, যেটা করতে আমরা ভালোবাসি। কিন্তু খেলোয়াড়দের মানসিক স্বাস্থ্যের কথা ভেবে বিধিনিষেধ শিথিলের বিবেচনা করার সময় এসেছে।’

ঢাকা/ফাহিম

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়