জৈব সুরক্ষা বলয়কে চ্যালেঞ্জিং মনে করছেন ডমিঙ্গো
করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে মাসখানেক বন্ধ থাকার পর মাঠে ফিরেছে ক্রিকেট। কিন্তু ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে খেলোয়াড় ও স্টাফদের থাকতে হচ্ছে একেবারে আলাদা হয়ে। পরিবার দূরে থাক, বাইরের কারও সঙ্গেও দেখা করা যাবে না। একেবারে অপরিচিত এক অভিজ্ঞতা হচ্ছে জৈব সুরক্ষা বলয়ে। ক্রিকেটে এর প্রভাব নিয়ে কদিন আগে সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জেসন হোল্ডার ও এউইন মরগান। একে চ্যালেঞ্জিং মনে করছেন বাংলাদেশের দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোও।
দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকার অভিজ্ঞতা নিয়ে বৃহস্পতিবার ডমিঙ্গো বলেছেন, ‘আজ পর্যন্ত ৪৯ দিন হলো আমি জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যে। হোটেল ছেড়ে কোথাও যেতে পারি না। শুধু অনুশীলন করি এবং হোটেলে ফিরি। এটা খুব সহজ নয়।’
জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গেও এনিয়ে কথা হয়েছে তার, ‘তিন সপ্তাহ ধরে খেলোয়াড়রা জৈব সুরক্ষা বলয়ে। দুই-একজন আমাকে বলেছে এটা কষ্টকর। এই চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হতে হচ্ছে আমাদের। খেলোয়াড়রা যেন স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে, তার উপায় খুঁজতে হবে। যদি সুযোগ থাকে তাহলে কয়েকজনকে কিছুটা সময় তাদের মতো করে কাটাতে দেওয়া উচিত।’
আপাতত খেলোয়াড়দের কাঁধে প্রত্যাশার বোঝা চাপিয়ে দিতে নারাজ ডমিঙ্গো, ‘পারফরম্যান্সকে (সুরক্ষা বলয়) প্রভাবিত করে কি না জানি না আমি। আমাদের সবার জন্য এটা একেবারে নতুন অভিজ্ঞতা। আমাদের এতে অভ্যস্ত হতে হবে বলে মনে করি। আগের মতো আবারও বলছি, বাংলাদেশের প্রধান কোচ হিসেবে- এই পর্যায়ে পারফরম্যান্স গুরুত্বপূর্ণ নয়। জানুয়ারিতে আবার যখন আমরা খেলা শুরু করবো, তখন পারফরম্যান্স বিবেচনায় আনতে হবে। এখন শুধু খেলোয়াড়দের কিছুক্ষণ খেলার সুযোগ দিতে হবে, কারণ তারা ছয় কিংবা সাত মাস ধরে খেলেনি। আগামী কয়েক মাস পারফরম্যান্স ও জয়ের চিন্তা থেকে মনোযোগ সরাতে হবে। মানসিক ও শারীরিকভাবে তাদের ফিট রাখতে হবে যেন আমাদের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পারি।’
সংযুক্ত আরব আমিরাতে আইপিএল খেলা ক্রিকেটারদের উদাহরণ টেনে বাংলাদেশের কোচ বলেছেন, ‘জৈব সুরক্ষা বলয় দুবাইতেও অনেক কঠিন। অনেক দিন ধরে খেলোয়াড়রা সেখানে আছে। কিন্তু আমি তাদের অনেককে সৈকতে দেখেছি। অথচ আমাদের এখানে জৈব সুরক্ষা বলয়ে খেলোয়াড়দের বাইরে যেতে দেওয়া হয় না। সারাক্ষণ হোটেলে থাকতে হয়। এটা চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। আমি জানি না কতদিন ধরে এভাবে থাকা সম্ভব। মাত্র এক মাসের বিরতি দিয়ে আগামী বছর সব ক্রিকেট শুরু হতে যাচ্ছে, আমি জানি না টানা জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকা কীভাবে সম্ভব।’
ঢাকা/ফাহিম
আরো পড়ুন