ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

টেস্ট দলে ভবিষ্যত না দেখায় অন্য ভূমিকায় বাট

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৩৫, ২৫ অক্টোবর ২০২০  
টেস্ট দলে ভবিষ্যত না দেখায় অন্য ভূমিকায় বাট

জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার আর কোনও সুযোগ না দেখায় পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক সালমান বাট কায়েদ-ই-আজম ট্রফি থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। সোমবার থেকে শুরু হওয়া প্রথম শ্রেণির এই ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় পাঞ্জাব সেন্ট্রালের হয়ে খেলার কথা ছিল তার। তবে এই টুর্নামেন্টে তিনি থাকবেন, কিন্তু অন্য ভূমিকায়- ধারাভাষ্যকার হিসেবে।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কাছ থেকে ধারাভাষ্য দেওয়ার প্রস্তাব পাওয়ার পর তা গ্রহণ করেছেন বাট। নতুন এই দায়িত্ব শুরু করবেন ২০ নভেম্বর থেকে, টুর্নামেন্টের চতুর্থ রাউন্ডে। তবে সাদা বলের ক্রিকেট আপাতত খেলে যাবেন পাকিস্তানের ‘লর্ডস কেলেঙ্কারি’র মূল হোতা।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকইনফোকে বাট বলেছেন, ‘আমি বুঝতে পারছি পাকিস্তানের সঙ্গে আমার ভবিষ্যৎ নেই। আমি ক্রিকেট খেলেছি নিজের মতো করে এবং আমার ফেরার (নিষেধাজ্ঞা থেকে) পর থেকে অনেক রান করেছি। জায়গা (জাতীয় দলে) ফিরে পাওয়া লক্ষ্য ছিল আমার। জাতীয় দলে খেলার জন্যই আমি পারফরম্যান্স করে গেছি।’

কিন্তু ভুল ভেঙেছে বাটের, ‘এই বছর, আমি নিজেকে প্রশ্ন করলাম: ‘আমি কী করছি, কেন খেলছি? আমি যদি আরেক মৌসুম খেলি, তাতে লাভ কী? আমি খুব গুরুত্ব দিয়ে এসব ভেবেছি এবং বাস্তবতা বিবেচনা করে বুঝতে পারছি তারা আমাকে আর ডাকবে না। তাই আমি অন্য কোথাও নিজেকে বিকশিত করতে চাই যেখানে অবদান রাখতে পারি এবং ভিন্ন কিছু করতে পারি।’

২০১০ সালে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জেল খেটে ও পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষে ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের ক্রিকেটে ফেরেন ৩৬ বছর বয়সী বাট। ন্যাশনাল ওয়ানডে কাপে সেঞ্চুরি দিয়ে তার প্রত্যাবর্তন হয় এবং টুর্নামেন্ট শেষ করেন দ্বিতীয় শীর্ষ ব্যাটসম্যান হিসেবে, ১০৭.২০ গড়ে ৫৩৬ রান করেন তিনি।

এরপর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ওয়াটার অ্যান্ড পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট অথরিটির নেতৃত্ব দেন কায়েদ-ই-আজম ট্রফিতে। ফাইনালে জোড়া সেঞ্চুরি করে দলকে জেতাতে বড় অবদান রাখেন বাট, টুর্নামেন্টে ৪৯.৪০ গড়ে করেন ৭৪১ রান। ২০১৮ সালের ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপেও ৭০ গড়ে ৩৫০ রান করে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রহ করেন। ফেরার পর লাহোর হোয়াইটসের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে তার গড় ৫১.২৮।

গত চার বছর ধরে বাটকে জাতীয় দলে ফেরানোর ব্যাপারে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। কিন্তু অতীতের স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারির ঘটনায় সবসময় সতর্ক ছিল পিসিবি। তার ধারাবাহিক ঘরোয়া পারফরম্যান্স পাকিস্তানের আগের কোচ ওয়াকার ইউনিস ও সাবেক অধিনায়ক মিসবাহ উল হককে মুগ্ধ করেছিল। টেস্টে ওপেনিংয়ে সমন্বয়হীনতার কারণে তাকে নেওয়ার চিন্তাও করেছিলেন তারা। 

২০১৭ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তখনকার পিসিবি সভাপতি শাহরিয়ার খান তাকে দলে নেওয়ার সবুজ সংকেত দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই বছর পিএসএলে স্পট ফিক্সিংয়ের ঘটনা ঘটলে আবহ পাল্টে যায়, যদিও তাতে বারে কোনও সংশ্লিষ্টতা ছিল না। নির্বাচকরা আরও অপেক্ষার সিদ্ধান্ত নেন, কিন্তু পরে বাট তাদের মন থেকে মুছে যায়। নির্বাচকরা সম্ভাবনাময়ী তরুণদের ওপর ভরসা করতে শুরু করেন।

ঢাকা/ফাহিম

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়