রোনালদোহীন জুভেন্টাসের সামনে ফেভারিট হিসেবে নামবে বার্সা
দীর্ঘ ৯ বছর পর চ্যাম্পিয়নস লিগে মুখোমুখি হওয়ার সুযোগ ছিল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসি। তবে করোনার হানায় সেই দৃশ্য দেখার জন্য অপেক্ষা বাড়লো ভক্ত-দর্শকদের। ১৩ অক্টোবর প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোনালদো এখনো সুস্থ হয়ে ওঠেননি। ফলে রোনালদোহীন জুভেন্টাস ঘরের মাঠে লড়াই করতে নামবে লিওনেল মেসির বার্সেলোনার সামনে।
অ্যালিয়াঞ্জ স্টেডিয়ামে রাত ২টায় শুরু হবে ম্যাচটি। এই ম্যাচকে ঘিরে সবচেয়ে বড় আলোচনায় ছিল মেসি-রোনালদো দ্বৈরথ। গত এক যুগে ব্যালন ডি’অর প্রতিযোগিতায় ১১টি পুরস্কার ভাগাভাগি করে নেওয়া এই দুই মহাতারকার লড়াই ফুটবল বিশ্ব গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে মিস করছিল। রোনালদো রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার পর আর মাঠের লড়াইয়ে মুখোমুখি হননি ফুটবল বিশ্বের মহাতারকারা। তবে রোনালদোর করোনায় আক্রান্ত হওয়াতে সেই অপেক্ষা বেড়ে দাঁড়ালো ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সেদিন ন্যু ক্যাম্পে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে আবার মুখোমুখি হবে এই দুই জায়ান্ট ক্লাব।
এদিকে এই দ্বৈরথ মিইয়ে গেলেও এই ম্যাচের আগে দুই দলের প্রধান লক্ষ্য থাকবে জয়ে নিজেদের এগিয়ে নিয়ে রাখা। বর্তমান পারফরম্যান্সে দুই দলের মধ্যে কিঞ্চিৎ ব্যবধানে এগিয়ে আছে জুভেন্টাস। সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে দুই দলই জয় দেখেছে। কিন্তু লিগের খেলায় জুভেন্টাসের তিন ড্রয়ের পরিবর্তে বার্সা দুই হারের সঙ্গে এক ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে।
তবে চ্যাম্পিয়নস লিগের পরিসংখ্যানে এগিয়ে থাকবে বার্সেলোনা। জুভেন্টাস ও বার্সা এর আগে ২০১৭-১৮ মৌসুমে একই গ্রুপে ছিল। সেবার ন্যু ক্যাম্পে প্রথম লেগ বার্সা জিতেছিল ৩-০ গোলে। মেসি করেছিলেন জোড়া গোল। তুরিনে দ্বিতীয় লেগ গোলশূন্য ড্র হয়। তার আগের বছর ২০১৬-১৭ মৌসুমে কোয়ার্টার ফাইনালে দেখা হয়েছিল দল দুটির। সেখানে প্রথম লেগে তুরিনে বিয়াঙ্কোরিয়ারা জিতেছিল ৩-০ তে। পরের লেগ ন্যু ক্যাম্পে গোলশূন্য ড্র হয়। ২০১৪-১৫ মৌসুমে জুভেন্টাসকে ৩-১ গোলে হারিয়ে সবশেষ চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জিতেছিল বার্সেলোনা।
আর সেই ম্যাচে মেসির প্রতিপক্ষ হিসেবে খেলেছিল জুভেন্টাসের বর্তমান কোচ আন্দ্রে পিরলো। ম্যাচের আগে সেই কথা টেনে এনেছেন পিরলোও। তিনি বলেন, ‘বার্সেলোনা খুব শক্তিশালী দল এবং তাদের দলে চ্যাম্পিয়ন ফুটবলার রয়েছে। আমাদের অনেক ভালো খেলতে হবে। মেসি এখনো নিজের সেরা অবস্থানে আছে। আমি খেলোয়াড় হিসেবে অনেকবার তার বিপক্ষে খেলেছি, সামনের ম্যাচে প্রথমবারের মতো কোচ হিসেবে তার বিপক্ষে মাঠে নামতে যাচ্ছি।’
এদিকে বার্সেলোনার কোচ ইতালিয়ান জায়ান্টদের নিয়ে বলেন, ‘জুভেন্টাস ইউরোপের সেরা ক্লাবগুলোর মধ্যে অন্যতম। তাদের অভিজ্ঞ অনেক খেলোয়াড় রয়েছে। তারা জানে কিভাবে ম্যাচে প্রভাব বিস্তার করা খেলা লাগে। রোনালদো না থাকলেও দিবালা, মোরাতা ম্যাচে হুমকি হতে পারে।’
দুই দলই এই ম্যাচ দিয়ে আবার জয়ের ধারায় ফিরতে চাইবে। রোনালদোহীন জুভেন্টাস ঘরের মাঠ অ্যালিয়াঞ্জ স্টেডিয়ামে খেলতে নামলেও মেসির বার্সেলোনা অতীত ইতিহাস বিবেচনায় ফেভারিট হয়েই মাঠে নামবে আজ।
ঢাকা/কামরুল
আরো পড়ুন