টেস্ট অধিনায়কত্ব হারানো গুজব ব্যতীত কিছু নয়: আজহার
আজহার আলীর টেস্ট অধিনায়কত্ব কি কেড়ে নেওয়া হবে? পাকিস্তান ক্রিকেটে বর্তমানে বহুল আলোচিত প্রশ্ন হয়ে ঘুরছে এটি। দেশটির সংবাদমাধ্যম বলছে ১১ নভেম্বর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সভায় এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত চলে আসবে। তবে এই বিষয়ে এতদিন ধরে চুপ ছিলেন আজহার। অবশেষে এই বিষয়ে বর্তমান টেস্ট অধিনায়ক বললেন, এখন পর্যন্ত এটি কেবল গুজব ছাড়া আর কিছু নয়।
চলতি বছরের শেষে নিউ জিল্যান্ড সফরে উড়াল দিবে পাকিস্তান দল। সেখানে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে দলটি। সেই সফরে পাকিস্তানের সাদা পোশাকের ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে আজহারকে দেখা যাবে কিনা? সম্প্রতি সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে পিসিবির প্রধান নির্বাহী ওয়াশিম খান জানিয়েছিলেন, এই বিষয়ে এখনো কিছু নিশ্চিত নয়।
এদিকে দেশটির সংবাদমাধ্যমে খবর ভাসছে, ঘরোয়া ক্রিকেট কাঠামো পরিবর্তন নিয়ে পিসিবির অনুমতি ছাড়া দেশটির প্রধানমন্ত্রী ও বিশ্বকাপজয়ী তারকা ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ায় আজহারের উপর অসন্তোষ দেশটির ক্রিকেট বোর্ড। এদিকে অধিনায়ক হিসেবে দলকে কাঙ্খিত সাফল্যও এনে দিতে পারেননি আজহার। ব্যাট হাতেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ টেস্ট ছাড়া ছিলেন না ফর্মে। সবমিলিয়ে ৩৫ বছর বয়সী এই টেস্ট অধিনায়ককে সরিয়ে বাবর আজমকে নেতৃত্ব দিতে পারে পিসিবি।
এই বিষয়ে এতদিন চুপ থাকার পর বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আজহার পুরো বিষয়টিকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে আমি যা বলতে পারি, যেহেতু আমার সঙ্গে কেউ এই বিষয়ে কোনো কথা এখনো বলেনি; ফলে এটা আমার কাছে গুজব ব্যতীত আর কিছু নয়।’
গুজব হলেও এমন সংবাদ নিয়ে কী ভাবছে আজহার? এমন প্রশ্ন করা হলে, পাকিস্তানের বর্তমান টেস্ট অধিনায়ক বলেন, ‘পিসিবি আমার সঙ্গে এখনো এই বিষয়ে (অধিনায়কত্ব) কোনো প্রকার আলোচনা করেনি। আমি নিজেও এই গুজবের বিষয় মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি। আমি মনে করি এটা নিয়ে কথা বলার মতো সঠিক অবস্থানে এখনো আমি নেই।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘এই বিষয়ে এখনো ভাবার কোনো কারণই নেই। কারণ আমি এই মুহূর্তে প্রথম শ্রেণি এবং আন্তর্জাতিক ম্যাচে মনোযোগ দিতে চাচ্ছি। দেখুন, যখন কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিষয়ে কিছু বলবে; তখন আমি কিছু বলার মতো অবস্থানে থাকবো।’
পাকিস্তানের হয়ে ৮১ টেস্ট খেলা আজহার গত বছর সরফরাজ আহমেদের জায়গায় সাদা পোশাকের ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব পান। এর আগে ২০১৬ সালে ওয়ানডে অধিনায়কত্বও পেয়েছেন। তবে ব্যর্থতায় সেটি ধরে রাখতে পারেননি। এবার কি পারবেন টেস্ট অধিনায়কত্ব ধরে রাখতে? প্রশ্নটা থেকেই যায়।
ঢাকা/কামরুল
আরো পড়ুন