ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

আফিফ, আকবরদের নিয়ে উচ্ছ্বসিত এইচপির কোচ

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:২২, ২৯ অক্টোবর ২০২০  
আফিফ, আকবরদের নিয়ে উচ্ছ্বসিত এইচপির কোচ

২৬ প্রতিশ্রুতিশীল ক্রিকেটার নিয়ে মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে চলছে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটের কার্যক্রম। নিয়মিত ব্যাট-বলের ট্রেনিংয়ের পাশাপাশি চলছে ফিটনেসের কঠিন লড়াই। এবারের এইচপি ইউনিটে রয়েছে যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের ১৩ ক্রিকেটার।

মূলত তাদের নিয়েই এবার গড়ে তোলা হয়েছে এইচপি ক্যাম্প। পাশাপাশি বয়সভিত্তিক বিভিন্ন দল ও জাতীয় ক্রিকেট থেকে প্রতিশ্রুতিশীল একাধিক ক্রিকেটারকে নেওয়া হয়েছে এ ক্যাম্পে। নিজের দল নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত র‌্যাডফোর্ড, ‘আমি ইতোমধ্যেই বেশকিছু মেধাবীকে দেখে খুবই খুশি হয়েছি। ডগস্টিকে থ্রো করার জন্য মাঠে আমাদের একজন তরুণ ছেলে আছে যাকে সবাই জোফরা বলে ডাকে এবং সে ঘণ্টায় ৯০ মাইল বেগে বল ছুঁড়তে পারে। সেখানে অবশ্য ৩/৪ জন ব্যাটসম্যানকে আজ সকালে পেয়েছি যারা এর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে দারুণ টেকনিক, সাহস দেখিয়েছে যারা কিনা শীর্ষ পর্যায়ের টেস্ট খেলোয়াড় হয়ে উঠতে পারে। এটা আমাদের জন্য খুবই উৎসাহব্যঞ্জক।’

‘এরই মধ্যে ৩-৪ জনকে আমার মনে ধরেছে। সর্বশেষ যা করতে চাই, তা হচ্ছে এর মধ্যে এককভাবে কাউকে বাছাই করতে এবং সেটা অবশ্যই ২-৩ দিনের মধ্যে। আমার মনে কোন সংশয় নেই। আমি তাদের র‌্যাংকিংও করতে পারি, কিন্তু সবার সামনে তা করব না। আমার মনে হয় সেটা তাদের প্রতি অন্যায় করা হবে। কোচ হিসেবে আমি আরও সময় দিতে চাই। আমাদের মধ্যে কিছু ২ দিনের ম্যাচ, ৫০ ওভার ও ২০ ওভারের ম্যাচ আছে আগামী সপ্তাহে। আমি সেখানে আরো অনেককেই দেখতে চাই।’– যোগ করেন এইচপির কোচ।

সব কন্ডিশন ও প্রতিপক্ষের বিপক্ষে যেন তারা খেলতে পারে সেভাবেই তাদের তৈরি করা হবে, জানালেন র‌্যাডফোর্ড, ‘তারা যদি অস্ট্রেলিয়ায় যায়, তাহলে যেন পার্থে মিচেল স্টার্ককে মোকাবেলা করতে পারে এবং যদি ইংল্যান্ডে যায় তবে যেন জিমি এ্যান্ডারসনের সিম ও সুইং খেলতে পারে। এটা করার একমাত্র উপায় হচ্ছে এই খেলোয়াড়দের যদি সেই পরিবেশে নেওয়া যায় এবং তাদের এসব খেলোয়াড়দের মোকাবেলা করার অভিজ্ঞতা অর্জন করানো যায়। তাহলেই তারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যখন যাবে, তখন আগেই সেখানে যাওয়ার অভিজ্ঞতা ও মানিয়ে নেওয়ার সুবিধাটা নিতে পারবে।’

হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের দুই সপ্তাহের ট্রেনিং হচ্ছে মিরপুর হোম অব ক্রিকেটে। জাতীয় দলের মতো তারাও সকল অবকাঠামো সুবিধা নিতে পারছে। সকল সুযোগ-সুবিধায় খুশি কোচ, ‘আমি এখন পর্যন্ত এটা উপভোগ করছি। হাই পারফরম্যান্স সেন্টারে যে সুযোগ-সুবিধা আছে তার গুণগত মান নিয়ে আমি খুবই প্রভাবিত। আমাদের খুব ভাল লেকচার দেওয়ার কক্ষ আছে, অনেক বড় ইনডোর স্কুল, বাইরে দারুণ পিচ। আউটডোর নেটগুলোও ভাল আমাদের। তরুন মেধাগুলো নিয়ে কাজ করার জন্য এসব দারুণ সুযোগ-সুবিধা। আমার প্রথম চ্যালেঞ্জ হচ্ছে উচ্চ মেধাসম্পন্ন খেলোয়াড়দের সব কন্ডিশনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারফর্ম করার মতো তৈরি করা।’

ঢাকা/ইয়াসিন/কামরুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়