ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

যুব বিশ্বকাপ জয়ীদের জন্য এইচপি কোচের যে বার্তা

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:২৪, ২৯ অক্টোবর ২০২০  
যুব বিশ্বকাপ জয়ীদের জন্য এইচপি কোচের যে বার্তা

এবারের এইচপি ইউনিটে রয়েছে যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের ১৩ ক্রিকেটার। সঙ্গে আছে ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রতিশ্রুতিশীল আরো ১৩ ক্রিকেটার।

২৬ ক্রিকেটার নিয়ে মিরপুরে চলছে বিসিবির এইচপি ইউনিটের কোচিং। যুব বিশ্বকাপ জেতায় আকবর, রাকিবুল, শরীফুলদের থেকে রয়েছে আকাশসম প্রত্যাশা। তাদের জাতীয় দলের জন্য প্রস্তুত করার চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন টবি র‌্যাডফোর্ড। তাতে বাড়তি কোনো চাপ অনুভব করছেন না তা জানিয়ে দিলেন প্রথম দিনই।

‘আমি কোনো চাপ অনুভব করছি না। আমি তরুণদের সঙ্গে কাজ করতে পেরে গর্বিত। যে কোনো অর্জনই অসাধারণ কিছু। তবে তাদেরকে সেটা ভুলে যেতে হবে। তাদেরকে আবার শুরু থেকে শুরু করতে হবে। তারা যুব ক্রিকেটে চ্যাম্পিয়ন হয়ে এসেছে। এখন বড়দের ক্রিকেটে পা রাখবে। এখানে চ্যালেঞ্জের শেষ নেই। দেখছি নির্বাচকরা প্রতিটি ম্যাচ দেখতে মাঠে আসেন। এটা অভাবনীয় কিছু। এটা তাদেরকে পারফর্ম করতে আরও উজ্জীবিত করবে।’- বলেন এইচপি কোচ। 

সীমিত পরিসরে বাংলাদেশ দারুণ দল। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের উন্নতি হচ্ছে কচ্ছপ গতিতে। বর্তমান দলটি ভালো করার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। পাইপলাইনে আছে ভালোমানের ক্রিকেটার। সঙ্গে এইচপি ইউনিটের এবারের ক্রিকেটাররা তো আছেন-ই। সব মিলিয়ে সামনে বাংলাদেশের ভালো ভবিষ্যত দেখতে পাচ্ছেন র‌্যাডফোর্ড। 

তার ভাষ্যে, ‘বাংলাদেশের ক্রিকেট ভবিষ্যত আমার মনে হয় খুবই ইতিবাচক। এই মেধাবী খেলোয়াড়দের নিয়েই সেটা গড়ে উঠতে যাচ্ছে। অবশ্যই এই ২৫/২৬ খেলোয়াড়কে নিয়ে যেতে পারব না। কেউ কেউ যেতে পারবে না। এটাই যে কোন একাডেমির স্বাভাবিক ব্যাপার। ১৫ বছর আগে আামি মিডলসেক্সে একটি একাডেমি চালিয়েছি যেখানে তরুণ এইউন মরগ্যান ও ডেভিড মালানকে পেয়েছিলাম। কিন্তু তাদের সবাই এগিয়ে যেতে পারেনি। কেউ ঝরে পড়েছে, কেউ কেউ কিছুটা ছোট পর্যায়ে আছে। লক্ষ্যটা হচ্ছে অধিকাংশকেই বিভিন্ন ফরমেটের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলানোর জন্য প্রস্তুত করা এবং বাংলাদেশকে র‌্যাংকিংয়ে ওপরে তোলা। এটাই আমার উদ্দেশ্য। আমি এই খেলোয়াড়দের রাসেলের (ডোমিঙ্গো) কাছে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে চাই যেন তারা তার জন্য কিছু করতে পারে।’

সচরাচর এইচপি ক্যাম্প হয় মে থেকে জুলাইয়ে। কোভিড-১৯ এর কারণে তখন ক্যাম্প আয়োজনের সুযোগ হয়নি। বছরের শেষ প্রান্তে ক্যাম্প আয়োজন হলে সামনের দিনগুলোকে ভালোভাবে কাজে লাগাতে মুখিয়ে র‌্যাডফোর্ড। তার ভাষ্য, ‘আমি ছয় সপ্তাহ কাজ করতে চাই। এ সময়ে যে অনুশীলন হবে তা পর্যাপ্ত। আপনি অনুশীলনের সময় পাবেন। ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবেন। সেক্ষেত্রে তাদের যাচাই করার সুযোগও থাকছে। এ বছরই জানুয়ারির শেষ দিকে আরেকটি ট্রেনিংয়ের স্লট আছে। শুনেছি আয়ারল্যান্ড ‘এ’ দল আসবে। ইংল্যান্ড সফরের কথাও রয়েছে। সেখানে সবুজ উইকেটে বোলিং করে তারা অনেক কিছু শিখতে পারবে।’

ঢাকা/ইয়াসিন/কামরুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়