ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ইফতিখারের ‘খোলস’ বদল, সিরিজ পাকিস্তানের

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:১৫, ১ নভেম্বর ২০২০  
ইফতিখারের ‘খোলস’ বদল, সিরিজ পাকিস্তানের

পাঁচ উইকেট নিয়ে ইফতিখারের উদযাপন

তরুণ, সম্ভাবনাময়ী পেসারদের নিয়ে গোছানো পাকিস্তান দলে বিস্ময় জাগালেন খণ্ডকালীন অফস্পিনার ইফতিখার আহমেদ। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ম্যাচে তুলে নিলেন পাঁচ উইকেট। ৩৬তম ওভারে বাবর আজমের ছক্কায় যখন দলের ছয় উইকেটের জয় নিশ্চিত হলো তখন ১৬ রানে ক্রিজেই ছিলেন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ইফতিখার। দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান।

২০১৫ সালের নভেম্বরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আবুধাবিতে ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডে অভিষেক হয় ইফতিখারের। ওই ম্যাচে ছয় ওভার বল করে প্রথম উইকেট নিয়েছিলেন। এরপর আরও চারটি ম্যাচ খেলে করেছিলেন মাত্র ১৭ ওভার, আর যোগ হয়নি একটিও উইকেট। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তো প্রথম ম্যাচে বলই করেননি ইফতিখার। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে হঠাৎ করে অবিশ্বাস্য বোলিংয়ে নিজেকে চেনালেন বোলার হিসেবে। ‘খোলস’ বদলে যাওয়া অন্য এক ইফতিখারকে দেখলেন সতীর্থরা।

জিম্বাবুয়েকে ৪৫.১ ওভারে ২০৬ রানে অলআউট করতে ইফতিখারের অবদান ছিল সবচেয়ে বেশি। ২০তম ওভারে বল হাতে নেন, চতুর্থ ওভারে নেন প্রথম উইকেট। তারপর সফরকারীরা তার জাদুতে বশীভূত। ক্যারিয়ারে প্রথমবার ১০ ওভার বল করে ২ মেডেনসহ ৪০ রান দিয়ে ইফতিখার নিয়েছেন ৫ উইকেট। ম্যাচ সেরার পুরস্কার তাকে দিতে দ্বিতীয়বার ভাবতে হয়নি। বাবরের অপরাজিত ৭৭ রানের ইনিংসে ৩৫.২ ওভারে ৪ উইকেটে ২০৮ রান করে পাকিস্তান। 

রাওয়ালপিন্ডিতে টস জিতে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়ে ৫৯ রানে ৩ উইকেট হারায়। এই বিপর্যয়ে হাল ধরেন ব্রেন্ডন টেলর ও শন উইলিয়ামস। ৭১ রানের এই জুটি ভেঙে দেন ইফতিখার। সুইপ শট খেলতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ইমাম উল হকের ক্যাচ হন টেলর। ৩৬ রান করেন জিম্বাবুয়র উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান, যা দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

টেলর ফেরার পর শুরু হয় পাকিস্তানের উইকেট উৎসব। ইনিংস সেরা ব্যাটিং করা উইলিয়ামসকে নিজের পঞ্চম শিকার বানান ইফতিখার। ৭০ বলে ১০ চার ও এক ছয়ে ৭৫ রান করেছিলেন জিম্বাবুয়ান মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।

২০৭ রানের লক্ষ্য দেওয়া জিম্বাবুয়ের বোলিংয়েও ছিল না ধার। দুই ওপেনার ইমাম উল হক ও আবিদ আলীকে দলীয় ১০০ রানের মধ্যে ফেরান তেন্দাই চিসোরো। এক রানের জন্য সিরিজে টানা হাফসেঞ্চুরি হয়নি ইমামের, ৪৯ রানে পেছনে টেলরের গ্লাভসে ধরা পড়েন।

পরে পাকিস্তান আরও দুটি উইকেট হারালেও বাবরের হাত ধরে সহজ জয়ের পথে এগোতে থাকে। ৩৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ছয় মেরে দলকে জেতান ২৬ বছরের ডানহাতি ব্যাটসম্যান। 

গত মে মাসে ওয়ানডে অধিনায়কত্ব পান বাবর। দলকে প্রথমবার নেতৃত্ব দিয়েই সিরিজ জয়ের স্বাদ পেলেন তিনি। 

আগামী মঙ্গলবার সিরিজের শেষ ওয়ানডে খেলতে রাওয়ালপিন্ডিতেই মুখোমুখি হবে পাকিস্তান ও জিম্বাবুয়ে।

ঢাকা/ফাহিম

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়