ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

রোমাঞ্চ ছড়িয়ে পাকিস্তানকে সুপার ওভারে হারালো জিম্বাবুয়ে

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:০৯, ৩ নভেম্বর ২০২০   আপডেট: ২১:৪৯, ৩ নভেম্বর ২০২০
রোমাঞ্চ ছড়িয়ে পাকিস্তানকে সুপার ওভারে হারালো জিম্বাবুয়ে

মুজারাবানির উইকেট উদযাপন

ব্যাটে-বলে সমানে সমান লড়াই হলো পাকিস্তান ও জিম্বাবুয়ের শেষ ওয়ানডে ম্যাচে। রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ওভার শেষে স্কোরও হলো সমানে সমান। তাতে ম্যাচ গড়ালো সুপার ওভারে, যেখানে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে পাকিস্তান। রোমাঞ্চ ছড়িয়ে দারুণ জয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়ালো জিম্বাবুয়ে। পাকিস্তান ২-১ এ এগিয়ে থেকে শেষ করলো ওয়ানডে সিরিজ।

আগে ব্যাট করা জিম্বাবুয়েকে নাকানিচুবানি খাওয়ান এক বছর ৭ মাস পর ওয়ানডেতে ফেরা পেসার মোহাম্মদ হাসনাইন। কিন্তু হাল ধরেন শন উইলিয়ামস। ১১৮ রানে অপরাজিত ছিলেন সফরকারী দলের এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ৬ উইকেটে জিম্বাবুয়েকে ২৭৮ রানে থামাতে প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানকে মাঠছাড়া করেন হাসনাইন। ডানহাতি পেসার ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ম্যাচে পেয়ে যান প্রথম ফাইফার, ১০ ওভারে ৩ মেডেনসহ ২৬ রান দেন তিনি।

পাকিস্তানকে লক্ষ্য দেওয়ার পর জিম্বাবুয়ের পক্ষে হাসনাইনকে দাঁতভাঙা জবাব দেন ব্লেসিং মুজারাবানি। ইনিংসের তৃতীয় বলে ওপেনার ইমাম উল হককে ফেরান তিনি। রিচার্ড এনগারাভা ও ডোনাল্ড তিরিপানো দুটি করে উইকেট নিলে ৮৮ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারায় পাকিস্তান। এই ধাক্কা সামাল দিয়েছিলেন স্বাগতিক অধিনায়ক বাবর আজম। কিন্তু খুশদিল শাহ ও ওয়াহাব রিয়াজের সঙ্গে তার প্রতিরোধও ভেঙে দেন মুজারাবানি।

খুশদিলের (৩৩) সঙ্গে ৬৩ ও ওয়াহাবের (৫২) সঙ্গে ১০০ রানের জুটিতে দলকে পথে ফেরান বাবর। কিন্তু লক্ষ্য থেকে ১৩ রান দূরে থাকতে ৪৯তম ওভারের শেষ বলে আউট হন তিনি। তার আগের বলেই শাহীন শাহ আফ্রিদিকে ফেরান মুজারাবানি। এই চারজনই ডানহাতি মিডিয়াম ফাস্ট বোলারের শিকার। ১২৫ বলে ১২ চার ও ১ ছয়ে ১২৫ রান করেন বাবর। হাসনাইনকে নিয়ে মোহাম্মদ মূসা প্রথম পাঁচ বলে ৮ রান তোলেন। এনগারাভার ওভারে শেষ বলে ৫ রান প্রয়োজন ছিল, মূসা চার মেরে ম্যাচ টাই করেন। ৯ উইকেটে ২৭৮ রানে পাকিস্তানকে থামাতে পাঁচ উইকেট নেন মুজারাবানি।

ম্যাচ সুপার ওভারে গড়ালে ব্যাটিংয়ে নামে পাকিস্তান। প্রথম বলেই ইফতিখার আহমেদকে মাঠ ছাড়া করেন মুজারাবানি। ফখর জামানের সঙ্গে জুটি গড়তে নামেন খুশদিল। দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে দুজনই একটি করে রান নেন। চতুর্থ বলে বোল্ড হন খুশদিল। মাত্র ৩ রানের লক্ষ্যে নেমে শাহীনের ওভারে প্রথম তিন বলেই ম্যাচ জিতে নেয় ব্রেন্ডন টেলর ও সিকান্দার রাজার জুটি।

দ্বিতীয় ম্যাচের মতো শেষটিতেও জিম্বাবুয়ান টপ অর্ডারদের ব্যর্থতা ছিল। এবারও হাল ধরেন উইলিয়ামস ও টেলর। ২২ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর তাদের ৮৪ রানের জুটি প্রতিরোধ গড়েছিল। টেলর ৫৬ রানে আউট হন। পরে উইলিয়ামসের সঙ্গে ওয়েসলে মাধেভেরে ও সিকান্দারের অর্ধশতাধিক রানের জুটিতে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে জিম্বাবুয়ে।

৭৫ রানের জুটি গড়ে ফিরে যান মাধেভেরে (৩৩)। সিকান্দার ইনিংস শেষ করে যেতে পারেননি। এক বল বাকি থাকতে তাকে ৪৫ রানে বোল্ড করেন ওয়াহাব। ভাঙে ৯৬ রানের অসাধারণ জুটি। তবে উইলিয়ামসের শতক ছাড়ানো ইনিংসে লড়াই করার মতো পুঁজি স্কোরবোর্ডে তোলে জিম্বাবুয়ে। যা শেষ পর্যন্ত ছুঁতে পারলেও সুপার ওভারে হার মানতে হয় পাকিস্তানকে।

১০ ওভারে ১ মেডেনসহ ৪৯ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন মুজারাবানি। এই জয়ে বিশ্বকাপ সুপার লিগে ১০ পয়েন্ট পেলো জিম্বাবুয়ে। আর ২০ পয়েন্ট পাকিস্তানের। শীর্ষে থাকা ইংল্যান্ডের (৩০) চেয়ে ১০ পয়েন্ট পেছনে তারা। 

আগামী ৭ নভেম্বর শুরু হবে পাকিস্তান ও জিম্বাবুয়ের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। রাওয়ালপিন্ডিতে ৮ ও ১০ নভেম্বর হবে বাকি দুটি ম্যাচ।

ঢাকা/ফাহিম

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়