ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

জৈব সুরক্ষা বলয়ের জীবন বেশ কঠিন: কোহলি

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৫৪, ৬ নভেম্বর ২০২০  
জৈব সুরক্ষা বলয়ের জীবন বেশ কঠিন: কোহলি

প্রাণঘাতী মহামারি করোনাভাইরাসের আক্রমণে লম্বা সময়ের জন্য ক্রিকেটের বাইরে থাকতে হয়েছে ক্রিকেটারদের। নিজেদের সুরক্ষায় বাসায় একঘেয়ে জীবনযাপন করতে হয়েছিল তাদের। অবশেষে করোনা সংকট কাটিয়ে ক্রিকেট ফিরেছে মাঠে। ক্রিকেটারদের সুরক্ষার কথা বিবেচনায় জৈব সুরক্ষার বলয়ে রাখতে হচ্ছে তাদের। কিন্তু লম্বা সময় ধরে জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকা জীবনও বেশ কঠিন হয়ে পড়ছে ক্রিকেটারদের জন্য, এমনটাই জানিয়েছেন আইপিএল খেলতে থাকা ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি। এর জন্য অস্ট্রেলিয়া সফরে যাওয়ার আগে সফরের সময়কাল নিয়ে নতুন করে ভাবতে বলেছেন কোহলি।

আইপিএলে খেলার জন্য ইতিমধ্যে দুই মাসের বেশি সময় ধরে জৈব সুরক্ষা বলয়ে আছেন ক্রিকেটাররা। যা ফাইনাল পর্যন্ত গিয়ে ঠেকতে পারে ৭৫ দিনে। এরপরে ভারতীয় জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা অস্ট্রেলিয়ায় পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে দুবাই থেকে সরাসরি সেখানে পাড়ি জমাবেন। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তিন ম্যাচ করে টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ানডে সিরিজ শেষে আবার চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে টিম ভারত।

যা শেষ হবে ১৯ জানুয়ারিতে গিয়ে। এই পুরোটা সময় জৈব সুরক্ষা বলয়ে অবস্থান করতে হবে ক্রিকেটারদের। সেই হিসেবে প্রায় পাঁচ মাস পরিবারের চেয়ে দূরে জৈব সুরক্ষা বলয়ে অবস্থান করতে হবে ক্রিকেটারদের। যা মানসিকভাবে অস্থির করে তুলতে পারে ক্রিকেটারদের। আর তাই লম্বা সফর নিয়ে নতুন করে ভাবতে বলেছেন অধিনায়ক কোহলি।

আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলা কোহলি আরসিবি টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জৈব সুরক্ষা বলয় নিয়ে বলেন, ‘যখন আপনি দারুণ কিছু মানুষের সঙ্গে সময় কাটাবেন, তখন জৈব সুরক্ষা বলয় আপনার কঠিন মনে হবে না। আমাদের জৈব সুরক্ষা বলয়ের সবাই অসাধারণ। এখানে দারুণ সময় কাটছে। আমরা নিজেদের মধ্যে খেলা উপভোগ করছি। কিন্তু এখানে সবকিছু প্রায় একইরকম ভাবে চলতে থাকে। পুনরাবৃত্তি ঘটে। যা জৈব সুরক্ষা বলয়ের সময় কঠিন করে তুলছে।’

ক্রিকেটারদের এই কঠিন সময়ে বিনোদনের খোরকা জোগাতে বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছে আরসিবি শিবির। তবুও দিনশেষে ক্রিকেটারদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি সামনে চলে আসে। কোহলির ভাষ্যে, ‘আমাদের অনেক বিষয় চিন্তা করতে হবে। ক্রিকেটাররা টানা একই পরিবেশে ৮০ দিন থাকার পর, একই জিনিস বারবার করার পর; তাদের মানসিক দিকের কথাও আমাদের ভাবা উচিত।’

কোহলি এরপর আরও যোগ করেন, ‘আমাদের যদি লম্বা সফর করতে হয়, সেক্ষেত্রে আমাদের পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য সুযোগ করে দেওয়া উচিত। আমাদের কিন্তু এটা নিয়ে সিরিয়াসলি ভাবা উচিত। দিনশেষে আমরা ক্রিকেটারের থেকে সেরাটা চাই, যা তাদের মানসিক প্রশান্তি, ভালো অনুভূতির উপর নির্ভর করে থাকে। আর তাই জৈব সুরক্ষা বলয়, লম্বা সফর নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।’

ঢাকা/কামরুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়