ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

মুক্তারের ‘দোষ’ দেখছেন না মুশফিক

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৫৩, ২৪ নভেম্বর ২০২০   আপডেট: ২০:৫৫, ২৪ নভেম্বর ২০২০
মুক্তারের ‘দোষ’ দেখছেন না মুশফিক

ডাগআউটে বসে দলের পরাজয় দেখতে নিশ্চয়ই ভালো লাগেনি মুশফিকুর রহিমের। কিন্তু প্রতিপক্ষ বোলার মেহেদী হাসানের বীরত্ব উপভোগ করেছেন ঠিকই। সঙ্গে নিজ দলের হাতের মুঠোয় থাকা জয় হাতছাড়া হওয়ার বেদনা। 

মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর বিপক্ষে বেক্সিমকো ঢাকার জয়ের জন্য শেষ ওভারে লাগতো ৯ রান। রাজশাহীর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বল তুলে দেন মেহেদীকে। আগের ওভারে ফরহাদ রেজাকে ৩ ছক্কা হাঁকিয়ে মুক্তার এ ম্যাচের নায়ক হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই মুক্তারকে নিজের ৬ বলে দর্শক বানিয়ে রাখলেন মেহেদী, জোরের ওপর ইয়র্কার লেন্থে একের পর এক ডেলিভারি দিয়ে। তাতে মুক্তার রীতিমতো ভুগতে থাকেন। কখনও বল যায় উইকেটের পেছনে, কখনও তার প্যাডে-বুটে। চতুর্থ বলটি কোনোমতে স্কয়ার লেগ দিয়ে বাউন্ডারিতে পাঠালেও সেখানে মেহেদী ছিলেন দুর্ভাগা।

মেহেদীকে দুর্ভাগা বলতে হবে পঞ্চম বলেও, যেটা আম্পায়ার নো বল ডেকেছিলেন। তবুও হতাশ ও মনোবল না হারিয়ে মেহেদী পরের দুই বল করেন। মুক্তার রান নিতে পারেন মাত্র ১। ২ রানের দারুণ জয়ের নায়ক মেহেদী। এর আগে ব্যাট হাতেও ডানহাতি ব্যাটসম্যান ছিলেন বিধ্বংসী। ৩২ বলে খেলেন ৫০ রানের ইনিংস। তাইতো প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়কের থেকে স্তুতি পেয়েছেন মেহেদী। 

ম্যাচ শেষে মুশফিক বলেন, ‘রাজশাহী ও মেহেদীকে অভিনন্দন। তারা যেভাবে খেলেছে, বিশেষ করে মেহেদী। দারুণ ব্যাটিং ও বোলিং করেছে।’ রাজশাহী আগে ব্যাটিং করে ৯ উইকেটে ১৬৯ রান তোলে। জবাবে ঢাকা করে ১৬৭ রান। মেহেদী ও নুরুল হাসান সোহানের ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে আসে ৪৯ বলে ৮৯ রান। তাতেই ম্যাচের দৃশ্যপট পাল্টে যায়। 

মুশফিক বলেন, ‘আমরা বোলিংয়ের শুরুটা ভালো করিনি, আবার মাঝখানে ভালো করেছি। শেষদিকে সোহান ও মেহেদী ভালো ব্যাটিং করেছে। এজন্য রান ১৬৯ হয়েছে। তবুও তা তাড়া করার মতো।’ আকবর আলী ও মুশফিক দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নিচ্ছিলেন ভালোভাবে। কিন্তু এক ওভারের ব্যবধানে থিতু হওয়া দুই ব্যাটসম্যান ফিরে গেলে বিপদে পরে ঢাকা। ১৯তম ওভারে তিন ছক্কা মেরে মুক্তার খেলা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিলেও শেষ হাসিটা হাসেন মেহেদী। 

শেষ ওভারে ৯ রানের চাওয়ায় মাত্র ৫ রান পাওয়ায় মুক্তারকে দোষ দিচ্ছেন না মুশফিক। তিনি বলেন, ‘আকবরের উইকেটটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমিও শেষ করতে পারিনি। আমাদের কেউ ৬০ রানের কাছাকাছি করলে আমরা জিতে যেতাম। শেষ দিকে আপনি আশা করতে পারেন না, কোনও ব্যাটসম্যান এসেই তিন ছক্কা হাঁকাবে। কৃতিত্বটা মুক্তারের, সে শেষ ওভার ছাড়া খুব ভালো ব্যাট করেছে। আশা করি আমরা এই ম্যাচ থেকে শিখতে পারবো। এটাই খেলার সৌন্দর্য। ভুল থেকে শিখতে হবে এবং পরের ম্যাচে আরও ভালোভাবে ফিরে আসতে হবে।’

ঢাকা/ইয়াসিন/ফাহিম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়