ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ঝড়ো ফিনিশিংয়ের ভাবনায় শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং আরিফুলের

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২৩:২৩, ২৪ নভেম্বর ২০২০  
ঝড়ো ফিনিশিংয়ের ভাবনায় শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং আরিফুলের

কলকাতার ইডেন গার্ডেন যেন মিরপুরে নিয়ে এলেন আরিফুল হক। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল তো সবার চোখে লেগেই আছে। আছে কার্লোস ব্রেথওয়েটের সেই বিধ্বংসী ব্যাটিং।

জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৯ রান। ইংলিশ পেসার বেন স্টোকসকে টিকতে দিলেন না। পরপর চার বলে চার ছক্কা! সেই ম্যাচটাই যেন মিরপুরে ফিরিয়ে আনলেন আরিফুল।

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে খুলনার বিপক্ষে লড়াইয়ে বরিশাল। শেষ ওভারে দরকার ২২ রান। তামিমের হাতে বোলিং অপশন ছিল না। একমাত্র মিরাজ। অফস্পিনারের ওপর ভরসা করলেও মিরাজ পারেননি দাবি মেটাতে।

আরিফুল ছিলেন বদ্ধপরিকর। প্রথমটা অফ স্ট্যা্ম্পের  বাইরের বল। লং অন দিয়ে ছক্কা। দ্বিতীয়টা লেন্থ বল মিডল স্ট্যাম্পে। এটা মিড উইকেট ও লং অফের মাঝ দিয়ে ছক্কা। তৃতীয়টা ডট। লো ফুলটস ছিল। টাইমিং মেলাতে পারেননি। লং অনে বল গেলেও সিঙ্গেল নেননি। চতুর্থ বল লেগ স্ট্যাম্পের উপরে। মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা। শেষটায় শরীরের সব জোর দিয়ে আবার মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা।

বল সীমানা পাড় হওয়ার আগেই আরিফুলের উল্লাস শুরু হয়ে যায়। খুলনার ড্রেসিংরুমে তখন বাঁধনহারা উৎসব। ম্যাচসেরা পুরস্কার নিতে এসে আরিফুল জানালেন, ম্যাচ ফিনিশ করার চিন্তায় শেষ পর্যন্ত উইকেটে টিকে ছিলেন। বাকিটা নিজের কারিশমা।

২ চার ও ৪ ছক্কায় আরিফুল সাজান ৪৮ রানের ইনিংস। আরিফুল বলেন, ‘চেষ্টা করেছি শেষ পর্যন্ত খেলার জন্য। বাকিটা… ফল এসেছে এজন্য আল্লাহকে ধন্যবাদ জানাই।’

দল যখন বিপদে তখন আরিফুল এসেছিলেন ক্রিজে। ১৫৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে ৩৬ রান তুলতে ৪ উইকেট হারায় খুলনা। সেখান থেকে পঞ্চম উইকেটে আরিফুল ও জহুরুল ইসলাম অমি ৪২ রানের জুটি গড়েন। অমি (৩১) সাজঘরে ফেরার পর শামীমের সঙ্গে আরিফুলের জুটি ৪৪ রানের। রান করার তাড়ায় শামীমও (২৬) হাল ছাড়েন।

কিন্তু আরিফুল শেষটা দেখে ছাড়বেন এমন পণ নিয়েই ব্যাটিং করেন। তাতে কাজের কাজও হয়েছে। শেষ ওভারে বড় লক্ষ্য পেলেও জানতেন প্রতিপক্ষ দলে বোলার শর্ট। মিরাজকে পেয়ে আরিফুলের ব্যাটে চড়া হাসি। চার ছক্কায় জিতিয়ে দেন ম্যাচ। নিজের ব্যাটিং পরিকল্পনা নিয়ে এ ব্যাটসম্যান বলেন,‘যখন উইকেট পড়ে যায় তখন ম্যাচটা ক্লোজ করার চিন্তা থাকে। আমি ও অমি ভাই চেষ্টা করেছি ম্যাচটা ক্লোজ করার জন্য। অমি ভাই আউট হওয়ার পর শামীম যোগ দেয়। আস্তে আস্তে যখন ক্লোজ হয়েছে তখন জয়ের চিন্তাটা করেছি।তাতে সফল হয়েছি।’

ঢাকা/ইয়াসিন

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়