তামিমের সঙ্গে ব্যাটিং করে খুশি ‘ছোট তামিম’
অলি-গলি কিংবা মাঠে, পারভেজ হোসেন ইমন ব্যাটিং যেখানেই ব্যাট করতেন তার নামের পাশে সবাই যুক্ত করে দিতেন ‘ছোট তামিম’! কেন?
গল্পটা ইমনের মুখ থেকেই শোনা যাক, ‘আমি খুব আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতাম। যখন খেলা শুরু করি তখনই থেকেই এরকম ব্যাটিং করি। এ কারণে আমাকে যারা খেলতে দেখতো, সবাই তামিম ইকবাল ভাইয়ের সঙ্গে তুলনা করতো।’
এসব শুনে হাসতেন না কিংবা বিগলিতও হতেন না ইমন। তিনিও জানতেন, আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের সামর্থ্য তার মধ্যে রয়েছে। সেই সামর্থ্য ইমন দেখিয়ে দিয়েছেন অনেকবার। এই তো মঙ্গলবার নিজেকে মেলে ধরলেন ‘আইডল’ তামিমের সামনেই।
শফিউল ইসলামের বল লং অন দিয়ে যখন উড়িয়ে মারলেন ইমন, তখন নন স্ট্রাইকে দাঁড়িয়ে তামিম। ফরচুন বরিশাল অধিনায়েকর মুখে তখন চওড়া হাসি। বোঝাই যাচ্ছিল, শটটা পছন্দ করেছেন তামিমও। সেখানেই শেষ নয়, আল-আমিনকে মিড উইকেট দিয়ে যেটা গ্যালারিতে পাঠিয়েছেন সেটাও মনে ধরেছিল তামিমের। তাইতো সতীর্থকে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়েছিলেন।
ইমনের চার ছক্কার একটি এসেছিল সাকিবের বলে। এগিয়ে এসে স্লগ করে বল পাঠান ডিপ মিড উইকেট দিয়ে। যুব বিশ্বকাপজয়ী এ ব্যাটসম্যান ৪২ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় করেন ৫১ রান। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান যখন আউট হন তখনও ইনিংস শেষ হতে লম্বা সময় বাকি।
চাইলে রানের খাতা আরও বড় করা যেত। তাই কিছুটা হলেও আক্ষেপ আছে তারও, ‘যা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। এটা আরও ভালো করা যেত। কিন্তু সামনের ম্যাচগুলোতে আরও ভালো করার দিকে নজর থাকবে। ব্যাটে-বলে ভালো মিডলিং হচ্ছিল, ইনিংসটা আরও বড় করার চেষ্টা করবো।’
তবে সবকিছুকে ছাপিয়ে দেশ সেরা ওপেনারের সঙ্গে ব্যাটিং করে তৃপ্ত ইমন, ‘ওনার সঙ্গে ব্যাটিং করার অনুভূতি অবশ্যই অনেক ভালো। তিনি আমার সবচেয়ে ফেভারিট খেলোয়াড়। তার সঙ্গে ব্যাটিং করতে পেরে সত্যি আমি অনেক খুশি।’
ঢাকা/ইয়াসিন/ফাহিম
আরো পড়ুন