ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ছবিতে আর্জেন্টাইন ফুটবল গ্রেটের জীবন

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:২৭, ২৬ নভেম্বর ২০২০   আপডেট: ১০:৩৫, ২৬ নভেম্বর ২০২০
ছবিতে আর্জেন্টাইন ফুটবল গ্রেটের জীবন

ডিয়েগো ম্যারাডোনা, এই ফুটবল গ্রেট যেদিন বলে পা স্পর্শ করেছিলেন, সেদিন থেকে শুরু হয় নতুন এক অধ্যায়। মাঠে ও মাঠের বাইরে সবসময় ছিলেন আলোচিত, ফুটবলের প্রথম সুপারস্টার বলা হয় তাকে। বুধবার ৬০ বছর বয়সে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। তাতে কি শেষ হলো একটি অধ্যায়! না, না ফেরার দেশে চলে গেলেও সারা জীবন থেকে যাবে তার কীর্তি।

এক ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ দিয়েই নিজেকে নিয়ে গেছেন লিজেন্ডের আসনে। ‘ঈশ্বরের হাত’ আর ‘শতাব্দী সেরা গোল’, এরপর আলবিসেলেস্তেদের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। এই আর্জেন্টাইন গ্রেটের জীবন ছিল নাটকে ভরা। নায়ক থেকে খলনায়ক হয়েছেন মাদকাসক্তির কারণে। কিন্তু তিনি ফুটবলপ্রেমীদের মনে বরাবরই একজন ‘ফুটবলের রাজপুত্র’। চলুন ছবিতে দেখে নেওয়া যাক এই কিংবদন্তির জীবন:

তরুণ ম্যারাডোনা, ৭০’র দশকের শেষ দিকে।

সর্বকালের অন্যতম সেরা ম্যারাডোনা জীবন পার করেছেন ধুমধামে। ১৯৮০ সালে নিজের বাসায় পা তুলে বিশ্রাম নিচ্ছেন।

সুরের ছন্দে সময় কাটাচ্ছেন ম্যারাডোনা। কিন্তু জীবনটা ছিল তার ছন্দহীন।

বুয়েন্স আয়ার্সের লা বোম্বোনেরায় স্টেডিয়ামে বোকা জুনিয়র্সের সঙ্গে চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার পর ভক্তরা কাঁধে তুলে নেয় ম্যারাডোনাকে।

১৯৮২ সালের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে বেলজিয়ামের বিপক্ষে বল নিয়ে এগোচ্ছেন ম্যারাডোনা। ব্রাজিলের বিপক্ষে লাল কার্ড দেখে শেষ হয়েছিল তার ওই টুর্নামেন্ট।

ম্যারাডোনাকে আটকাতে এভাবে পথ আগলে রেখেছিলেন বেলজিয়ামের ডিফেন্ডাররা, ১৯৮২ সালের বিশ্বকাপে।

১৯৮৪ সালের জুলাইয়ে রোমের লিওনার্দো দা ভিঞ্চি বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর পর অটোগ্রাফশিকারিদের কবলে পড়েন ম্যারাডোনা, নাপোলির সঙ্গে চুক্তির আগে।

নাপোলিতে প্রথমবার নিজেকে উপস্থাপন করেন ম্যারাডোনা। কতটা জনপ্রিয় ছিলেন তিনি, তা অগণিত ক্যামেরার চোখই বলে দিচ্ছে।

১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা ও ইংল্যান্ডের ম্যাচের এই দৃশ্য চিরচেনা। মেক্সিকোর এই আসরে ‘ঈশ্বরের হাত’ দিয়ে গোল করেন ম্যারাডোনা। ইংল্যান্ডের গোলকিপার পিটার শিল্টন চমকে যান।

বেলজিয়ামের বিপক্ষে ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে প্রথম গোলের পর ম্যারাডোনার উদযাপন, আরও একটি গোল করেন তিনি।

১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ ফাইনাল। পশ্চিম জার্মানির গোলকিপার হারাল্ড শুমাখারের সঙ্গে সংঘর্ষের পর বাতাসে ভাসছেন ম্যারাডোনা।

বলতে গেলে, একা হাতে আর্জেন্টিনাকে ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপ জেতান ম্যারাডোনা। পশ্চিম জার্মানিকে ফাইনালে ৩-২ গোলে হারানোর পর ট্রফি হাতে তার উদযাপন।

১৯৮৭ সালে নাপোলির সঙ্গে প্রথম সিরি ‘আ’ জেতার পর হাস্যোজ্জ্বল ম্যারাডোনা।

১৯৮৮ সালে নাপোলিতে ট্রেনিং সেশনের পর বড় মেয়ে দালমার সঙ্গে ম্যারাডোনা।

ফুটবলের দুই কিংবদন্তি এক ফ্রেমে। ১৯৮৭ সালে আর্জেন্টিনার জার্সিতে পেলের সঙ্গে হাত মেলান ম্যারাডোনা।

ক্লাউদিয়া ভিলাফানেকে বিয়ে করেন ম্যারাডোনা, ১৯৮৯ সালের নভেম্বরে বুয়েন্স আয়ার্সে।

১৯৯০ সালের বিশ্বকাপে আবারও আর্জেন্টিনাকে নেতৃত্ব দেন ম্যারাডোনা। কিন্তু প্রথম ম্যাচে ক্যামেরুনের কাছে হেরে যায় দল।

টানা দ্বিতীয়বার আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে তুললেন ম্যারাডোনা। কিন্তু পশ্চিম জার্মানির কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় তারা।

১৯৯৪ সালের মার্চে কোর্টহাউজের বাইরে পুলিশের বেষ্টনীতে ম্যারাডোনা। বুয়েন্স আয়ার্সে তার শহর মার্সিডিজের বাইরে এক সাংবাদিককে গুলি করে আহত করার অভিযোগ আনা হয়।

পতনের শুরু, ১৯৯৪ সালের বিশ্বকাপে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার ২-১ গোলে জয়ের পর মাঠ ছাড়েন ম্যারাডোনা। ড্রাগ টেস্টে তার পজিটিভ ধরা পড়ে। তাতে শেষ হয়ে যায় আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার।

তৎকালীন কিউবান প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গে কথা বলছেন ম্যারাডোনা। ২০০৫ সালের অক্টোবরে হাভানায় দ্য টেন’র এক টিভি প্রোগ্রামের রেকর্ডিংয়ে।

২০০৮ সালে কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সার্বিয়ান পরিচালক আমির কুসতুরিকার ফিল্ম ‘ম্যারাডোনা’র প্রদর্শনীতে ভক্তদের সামনে ম্যারাডোনার ফটোসেশন। 

২০১০ সালের বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে জার্মানির কাছে ৪-০ গোলে হারের পর মেসিকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন আর্জেন্টিনা কোচ ম্যারাডোনা।

২০১৮ সালের বিশ্বকাপে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে গ্রুপ ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে উৎসাহ দিতে স্টেডিয়ামে ম্যারাডোনা।

২০১৯ সালে নিউওয়েল’স ওল্ড বয়েসের বিপক্ষে দলের খেলা দেখছেন জিমন্যাসিয়ার কোচ ম্যারাডোনা। এটাই ছিল তার কোচিং জীবনের শেষ ক্লাব। ক্লাবটির দায়িত্বে থাকাকালে চিরবিদায় নিলেন ফুটবল গ্রেট।

ঢাকা/ফাহিম

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়