ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

মাঠে নেমেই খুলনার নায়ক জাকির

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:১৩, ৪ ডিসেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৬:৪৫, ৪ ডিসেম্বর ২০২০
মাঠে নেমেই খুলনার নায়ক জাকির

ব্যাট-বলের দাপুটে পারফরম্যান্সে ফরচুন বরিশালকে ৪৮ রানে হারাল জেমকন খুলনা। টুর্নামেন্টের প্রথম দেখায়ও বরিশালকে হারিয়েছিল খুলনা। মিরপুর শের-ই-বাংলায় টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে খুলনা ৬ উইকেটে ১৭৩ রান সংগ্রহ করে। জবাবে বরিশালের ইনিংস থেমে যায় ১২৫ রানে।

শুরুর দশ ওভারে দুই দল প্রায় একই অবস্থানে ছিল। খুলনা পাওয়ার প্লে’তে তুলেছিল ১ উইকেটে ৪১। বরিশাল বিনা উইকেটে ৪৪। দশ ওভারে খুলনার রান ১ উইকেটে ৬৭। বরিশালের ৩ উইকেটে ৬৪। শেষ ওভারে খুলনা ও বরিশালের লড়াইয়ের পার্থক্য তৈরি হয়। শেষ ঝড়ে খুলনার স্কোরবোর্ডে যোগ হয় ১০৬ রান। বরিশাল পরবর্তীতে যোগ করতে পারে মাত্র ৬১ রান।

প্রথম চার ম্যাচে একাদশে থাকার যন্ত্রণা হাফ সেঞ্চুরিতে কাটিয়েছেন খুলনার ওপেনার জাকির হাসান। নিজের ফেরা রাঙিয়েছেন হাফ সেঞ্চুরিতে। তাতে পেয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।

প্রতিশ্রুতিশীল এ ব্যাটসম্যান উইকেটের চারিপাশে খেলেছেন দারুণ সব শট। তাসকিন আহমেদকে কাভারে চার মেরে খুলেছিলেন খাতা। ওই ওভারে ডিপ পয়েন্ট দিয়ে পেয়ে যান দ্বিতীয় বাউন্ডারি। আফিফ হোসেনকে উইকেটে স্বাগত জানান এক্সট্রা কভার দিয়ে বাউন্ডারি মেরে। মিরাজের বাজে বলও পয়েন্ট দিয়ে পাঠান বাউন্ডারিতে। এ অফস্পিনারকে দুইটি রিভার্স সুইপেও চার মারেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

ইনসাইড আউট শটে রাব্বীর লেন্থ বল বাউন্ডারিতে পাঠিয়ে ছড়ান মুগ্ধতা। ১২তম ওভারের শেষ বলে রাহীর বল পয়েন্ট দিয়ে চার বানিয়ে ৩৩ বলে জাকির তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। ৫৯ রানে উইকেটের পেছনে জীবন পাওয়ার পর বেশিদূর যেতে পারেননি। তাসকিনের স্লোয়ার তুলে মারতে গিয়ে কভারে হৃদয়ের তালুবন্দী হন ৬৩ রানে। ৪২ বলে ১০ চারে উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান ইনিংসটি সাজান।

জাকিরের ভালো করার দিনে ইমরুলের ব্যাটেও আসে রান। শুরুতে মারমুখী থাকলেও পরে ধীর গতিতে এগিয়েছে তার রান। ৩৪ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৩৭ রান। শেষ দিকে দলের রান বাড়ানার দায়িত্ব পান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। খুলনার অধিনায়ক ১৪ বলে ৪ বাউন্ডারিতে করেন ২৪ রান। সাকিব ১০ বলে ১৪ রান করে বিদায় নেন সাকিব আল হাসান। আরিফুল ইনিংসের শেষ বল খেলে হাঁকান ছক্কা। শুভাগত হোম ২ বলে ১ বাউন্ডারিতে করেন ৫ রান।

৪ ওভারে ৩৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বরিশালের সেরা বোলার ছিলেন কামরুল ইসলাম রাব্বী। ৪৩ রানে ২ উইকেট পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ।

লক্ষ্য তাড়ায় তামিম ও ইমন সতর্ক শুরু করেন। বাজে বল ছাড়া দুই ব্যাটসম্যান আগ্রাসন দেখিয়েছেন কম। দ্বিতীয় ওভারে শুভাগতকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে ছক্কা উড়ান তামিম।ওই ওভারের শেষ বল কভার দিয়ে পাঠান বাউন্ডারিতে। ইমন এক ওভার পর আল-আমিনকে উড়ান মিড উইকেট দিয়ে।

তবে তাদের জুটি ভাঙতে পারত সাকিবের করা তৃতীয় ওভারে। বাঁহাতি স্পিনারকে এগিয়ে উড়াতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করে কভারে ক্যাচ দিয়েছিলেন ১৩ রান। শহীদুল পেছনে ঝাঁপিয়ে বল তালুবন্দি করতে পারেননি। 

শুভাগত দ্বিতীয় স্পিলে বোলিংয়ে এসে বরিশাল শিবিরে জোড়া ধাক্কা দেন। অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বলে ইমন ডানহাতি স্পিনারের বলে বোল্ড হন ১৯ রানে। ওভারের শেষ বলে তামিম এগিয়ে গিয়ে ক্যাচ দেন লং অনে। ২১ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় তার ব্যাট থেকে ৩২ রান।

এরপর তৌহিদ হৃদয়ের ৩৩, ইরফান শুক্কুরের ১৬ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ১০ রানে বরিশাল পরাজয়ের ব্যবধান কমায় মাত্র। বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন শুভাগত হোম, শহীদুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ।

পাঁচ ম্যাচে এটি খুলনার তৃতীয় জয়। বরিশালের সমান ম্যাচে এটি চতুর্থ হার।

ঢাকা/ইয়াসিন/রিয়াদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়