ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

৫ গোলে হারলো বাংলাদেশ

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৫৮, ৪ ডিসেম্বর ২০২০   আপডেট: ২৩:৫৭, ৪ ডিসেম্বর ২০২০
৫ গোলে হারলো বাংলাদেশ

দিশেহারা বাংলাদেশ, বিপর্যস্ত বাংলাদেশ। কাতারের বিপক্ষে প্রথমার্ধে জামালদের পারফর্ম্যান্স দেখে এটা ছাড়া বলার আর কোনো উপায় ছিল না। দ্বিতীয়ার্ধেও ছিল একই চিত্র। এশিয়ার চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে দুই অর্ধ মিলিয়ে বাংলাদেশ হজম করেছে ৫ গোল। প্রথমার্ধ শেষে বাংলাদেশ পিছিয়ে ছিল ২-০ গোলে। দ্বিতীয়ার্ধে হয় আরো তিনটি গোল।

আফিফের জোড়া গোলে কাতারের বড় জয়

ম্যাচের যোগ করা সময়ে (৯০+২) আরো একটি গোল হজম করেছে বাংলাদেশ। এবারের গোলদাতা আকরাম আফিফ। এটি ছিল তার দ্বিতীয় গোল। আফিফ ও আলমোয়েজ আলীর জোড়া গোলে বাংলাদেশ হার মানলো ৫-০ গোলে

৪-০ গোলে পিছিয়ে বাংলাদেশ

বিরতির পর আরো একটি গোল হজম করেছে বাংলাদেশ। ৭৮ মিনিটে আলমোয়েজ আলী তার দ্বিতীয় গোলটি করেন। তাতে কাতার এগিয়ে যায় ৪-০ ব্যবধানে। অবশ্য এই গোল করতে গিয়ে পোস্টের সঙ্গে উরুতে ধাক্কা খান আলী। এরপর তিনি মাঠের বাইরে চলে যান আহত হয়ে।

পেনাল্টি থেকে গোল

বিরতির পর আরো একটি গোল হজম করেছে বাংলাদেশ। ৭২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে কাতারকে ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে নেন আলমোয়েজ আলী।

গোলরক্ষকেই রক্ষা

গোলরক্ষক জিকো না থাকলে কী যে হতো! কাতারের সব আক্রমণ দুর্দান্ত দক্ষতায় রুখে দিচ্ছেন। যে দুটি গোল হয়েছে তার কিছুই করার ছিল না। কিন্তু যেভাবে কাতার মুহুর্মুহু আক্রমণ করছে আরও কয়েকটি গোল যে হয়নি যেটি জিকোর কারণেই।

খেই হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ!

সাদ-সুফিলরা একদুবার যখন বল পান তাও কাজে লাগাতে পারেন না। ২৮ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে বল নিয়ে এগোচ্ছিলেন জামাল। দুর্দান্ত ড্রিবলিংয়ের পর ক্রস দিয়েছেন কিন্তু সেটা ধরেও কাজে লাগাতে পারেননি ইবরাহীম। এভাবে বারবার বল পেয়েও গুছিয়ে ওঠার আগেই খেই হারিয়ে ফেলেন সাদ-সুফিলরা। ৪৫ মিনিটে পুনরায় সুযোগ পেয়েও মিস করেন সুফিলঅ্যা

আবারও গোল

৩৩ মিনিটে আকরাম আফিফের। শুরু থেকে যেভাবে খেলছেন তার একটি গোল প্রাপ্য ছিল। ডি বএক্সের মাথা কোনাকুনি শটে বাংলাদেশের জালে বল জড়ান। জিকোর তাকিয়ে থাকা ছাড়া কিছুই করার ছিল না।

আক্রমণের পর আক্রমণ

প্রতি মিনিটে-মিনিটে যেনো আক্রমণ করছে কাতার। বা দিক বেশি ভোগাচ্ছেন আকরাম আফিফ। বল নিয়ে হুট করে ঢুকে যান বাংলাদেশের ডি-বক্সে। তাকে আটকাতেই ব্যস্ত ছিলেন তপু-বিশ্বনাথরা। বেশ কয়েকটি সহজ সুযোগও মিস করে স্বাগতিকরা।

শুরুতেই গোল হজম

শুরু থেকেই মুহুর্মুহু আক্রমণে বাংলাদেশের রক্ষণভাগকে বিপর্যস্ত করে কাতার। শুরুর দুই মিনিটের সময় আক্রমণে যায় স্বাগতিকরা, পরের মিনিটে একটি শট ফিরে আসে গোলবারে লেগে। তবে শেষ পর্যন্ত আর রক্ষা হয়নি। ৯ মিনিটে হাতিমের গোলে এগিয়ে যায় কাতার। জামাল-সুফিলরা ঠিক মতো বলেরই দেখা পাচ্ছেন না। পেলেও রাখতে পারছেন না নিয়ন্ত্রণে। তপু-বিশ্বনাথরা ব্যস্ত কাতারের আক্রমণ সামলাতে।

থাকছেন না জীবন, গোলরক্ষক জিকো 

নেপালের বিপক্ষে অভিষেক হওয়া গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো সামলাবেন বাংলাদেশের গোলবার। এটি তার দ্বিতীয় ম্যাচ। অন্যদিকে নেপালের বিপক্ষে গোল করা স্ট্রাইকার জিকোকে রাখা হয়নি একাদশে। জীবন সম্পুর্ণ ফিট  নন।

বাংলাদেশ একাদশ

আনিসুর রহমান জিকো, তপু বর্মন, বিশ্বনাথ ঘোষ. রহমত মিয়া, রিয়াদুল হাসান, জামাল ভূইয়া, সোহেল রানা, বিপলু আহমেদ, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, সাদউদ্দিন ও মাহবুবুর রহমান সুফিল।

মুখোমুখি বাংলাদেশ-কাতার

বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে কাতারের মুখোমুখি বাংলাদেশ।  আজ শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় দোহার আব্দুল্লাহ বিন খলিফা স্টেডিয়ামে খেলাটি শুরু হয়। 

হাইলাইটস

কাতার যতোই শক্তিশালী হোক না কেনো পিছু হটবে না বাংলাদেশ। এই মন্ত্র নিয়েই কাতারকে রুখে দিতে চায় বাংলাদেশ। এভাবেই বলছেন করোনা জয় করে তড়িগড়ি করে কাতারের বিমানে ওঠা বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ জেমি ডে। আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে থাকা জেমি বলেন,  ‘আমরা এখানে ড্রয়ের জন্য আসিনি, আমরা এখানে জয়ের জন্য এসেছি। কাতার যতই শক্তিশালী হোক না কেন, বাংলাদেশ ফুটবল দল পিছু হটবে না।’ আজ তাকে বিচরণ করতে দেখা যাবে দেখা বাংলাদেশের ডাগআউটেও।

১৯৭৯ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত বাংলাদেশ-কাতার খেলেছে পাঁচটি ম্যাচ। একটিতেও জিততে পারেনি লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। তবে ১৯৭৯ সালের জানুয়ারিতে এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে ড্র করে বাংলাদেশ। সাফল্য এই একটিতেই। ঢাকায় বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্রথম লেগে জামালরা হেরেছেন ২-০ গোলে। এবার দোহায় জেমির শিষ্যদের প্রতিশোধ নেওয়ার পালা।

বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল বলছেন সবাই মিলে খেললে ভালো কিছু হবে। ‘সবাই  এক সঙ্গে কাজ করবে। সবাই এক সাথে ডিফেন্ডিং থাকবে। সুতরাং আমি মনে করি, আমরা একটা টিম যারা শুধুই ডিফেন্ডার, মিডফিল্ডার কিংবা স্ট্রাইকার না; আমরা সবাই এক সঙ্গে কাজ করবো। আশা করছি ভালো কিছু হবে।’-এভাবেই বলছিলেন জামাল।

ঢাকা/রিয়াদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়