ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বিবর্ণ পারফরম্যান্সে আড়ালে তারা

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:১৭, ৭ ডিসেম্বর ২০২০   আপডেট: ০৭:৩০, ৮ ডিসেম্বর ২০২০
বিবর্ণ পারফরম্যান্সে আড়ালে তারা

বিজয়, আফিফ, ইরফান, সাব্বির, মিরাজ (বাঁ থেকে)

আফিফ হোসেনের কাছ থেকে বড় প্রত্যাশা করছিলেন তামিম ইকবাল। ফরচুন বরিশালের ইনিংসের মধ্যভাগের দায়িত্ব সামলে নেবেন জাতীয় দলের বাঁহাতি ব্যাটসম্যান, এমন ভাবনা ছিল অধিনায়কের। সঙ্গে ইরফান শুক্কুরও।

প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে তাদের যে অভিজ্ঞতা, এতটুকু আশা করতেই পারেন তামিম। কিন্তু আফিফ, ইরফান ‘বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ স্পন্সরড বাই ওয়ালটন’ এ পথ হারিয়ে খুঁজছেন। ব্যাটে-বলে তারা জ্বলে উঠতে পারেননি একটিতেও। আফিফের ৫ ম্যাচে রান ২৯। ইরফান সমান ম্যাচে করেছেন ৩৫ রান। শুধু তারাই নন, টুর্নামেন্টে বড় প্রত্যাশা করে প্লেয়ার্স ড্রাফটে ভেড়ানো হয়েছিল মোহাম্মদ নাঈম, এনামুল হক বিজয়, সাব্বির রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজদের। অথচ তারা কেউ কেউ নিজেদের কাজ অর্ধেক করেছেন। কেউ আবার ছিটেফোটাও প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি। বিবর্ণ পারফরম্যান্সে তারা আড়াল হচ্ছেন।

তাদের পারফরম্যান্সে চিন্তিত প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুও। প্রথম সপ্তাহে ছেলেদের পারফরম্যান্স নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি। সময় দিতে চেয়েছিলেন। এবার বললেন, ‘প্রত্যাশামাফিক অনেকেই ভালো করতে পারছে না। এটা খানিকটা উদ্বেগের। যে প্রতিশ্রুতি তাদের দেখানোর কথা সেই অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারছে না।’

সাব্বির ও বিজয় হতে পারতেন নিজ নিজ দলের মধ্যমণি। নিজেদের মেলে ধরার সর্বোচ্চ সুযোগ তারা পেয়েছিলেন। কিন্তু জাতীয় দলের বাইরে থাকা এ দুই ক্রিকেটার টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি হতাশ করেছেন। নিজেদের জায়গা হারিয়েছেন, প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে তাদের নিবেদন। বিজয় ৪ ম্যাচে করেছেন মাত্র ৪১ রান। সাব্বির ২ ম্যাচ খেলে জায়গা হারিয়েছিলেন। তিন ম্যাচ পর আবার ফিরে আবারও ব্যর্থ হন। সব মিলিয়ে তার রান ১২। 

হতশ্রী পারফরম্যান্সের পাশাপাশি উইকেটে তাদের শরীরী ভাষা, আউট হওয়ার ধরনে বেশ সমালোচিত তারা। দুই ক্রিকেটারকে নিয়ে প্রধান নির্বাচক আলাদা করে বললেন, ‘সাব্বির ও বিজয়ের আরও ভালো করা উচিত ছিল। দুজনই টপ অর্ডারে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু কারও মধ্যেই বড় রান করার ক্ষুধা দেখা যায়নি।’

বিপিএলে টপ অর্ডারে ব্যাটিং করে মুগ্ধ করেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। নির্ভরযোগ্য এ ব্যাটসম্যানকে তামিম সুযোগ দিয়েছিলেন ইনিংস উদ্বোধনের। কিন্তু প্রথম ম্যাচে গোল্ডেন ডাকের পর দ্বিতীয় ম্যাচে তার ব্যাট থেকে আসে ১ রান। এরপর মিডল অর্ডারে ফিরে করেন ১৩, ১২ ও ১ রান। সব মিলিয়ে ৫ ম্যাচে রান ২৫।

অপ্রাপ্তির মিছিলে প্রাপ্তির তালিকায় আছে মোহাম্মদ নাঈমের নাম। তবে সন্তোষজনক নয় তার পারফরম্যান্সও। বেক্সিমকো ঢাকার ওপেনার ৬ ম্যাচে করেছেন ১০২ রান। ব্যাটিং গড় ১৭। স্ট্রাইক রেট ১০৯.৬৭। প্রায় প্রতি ম্যাচেই ভালো শুরু পেয়েছেন মারকুটে ওপেনার। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি।

বড় রান আসেনি সৌম্য সরকার, মোসাদ্দেক হোসেন, ইমরুল কায়েস ও মোহাম্মদ মিথুনের ব্যাটেও। এদিকে ৫ ম্যাচে ২৪৭ রান নিয়ে ব্যাটিং তালিকায় শীর্ষে আছেন লিটন দাস। মুশফিকুর রহিম ২১১ রান নিয়ে আছেন দুই নম্বরে। তামিম ইকবালের দল ভালো অবস্থানে না থাকলেও হেসেছে তার ব্যাট। ৫ ম্যাচে বাঁহাতি ওপেনারের রান ১৮৭। সেরা পাঁচে পরের দুই স্থানে নাজমুল হোসেন শান্ত ও ইয়াসির আলী রাব্বি। শান্ত ১৮১ রান ও রাব্বি করেছেন ১৭৫ রান।

ঢাকা/ইয়াসিন/ফাহিম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়