ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

সাব্বির-রবির জাদুতে মাশরাফি-সাকিবদের পরাজয়

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৩৮, ১০ ডিসেম্বর ২০২০   আপডেট: ১৬:৫১, ১০ ডিসেম্বর ২০২০
সাব্বির-রবির জাদুতে মাশরাফি-সাকিবদের পরাজয়

বিপিএলে সাকিবের এমন দুঃস্মৃতিআছে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক মাশরাফি তার এক ওভারে মেরেছিলেন চার ছক্কা!সেই দুঃস্মৃতি নাঈম আবার ফিরিয়ে আনলেন মিরপুরের ২২ গজে। সাকিবের এক ওভারেই নিলেন ২৬ রান।

শুরু দুই বল লংঅফ দিয়ে সীমানার বাইরে। শেষ দুই বল ডিপ মিড উইকেট নিয়ে গ্যালারিতে। আকবর আলীও কম যাননি।নাজমুল ইসলাম অপুকে এক ওভারেই মারলেন চার ছক্কা। খুলনার বিপক্ষে ঢাকা দুই ওভারে পেল ৫০ রান। বাকি ১৮ ওভারে আসল ১২৯ রান।

সব মিলিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ স্পন্সরডবাই ওয়ালটন’ এ বেক্সিমকো ঢাকা আগে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে করল ৭ উইকেটে ১৭৯ রান। বিশাল ব্যাটিং লাইনআপ নিয়েও জেমকন খুলনা ২০ রানের ব্যবধান কমাতে পারেনি। সবকটি উইকেট হারিয়ে মাহমুদউল্লাহ, সাকিব, মাশরাফিরা অলআউট ১৫৯ রানে। 

ঢাকার ব্যাটিং মানেই মুশফিকুর রহিমের রাজত্ব। কিন্তু এদিন দায়িত্ব নিলেন বাকিরা। সাকিবকে চার ছক্কা মারার পর শহীদুলকে দারুণ কভার ড্রাইভে হাঁকান ছক্কা। কিন্তু প্রতিশ্রুতিশীল ইনিংসটি থামে শহীদুলের ফুলটসে ক্যাচ দিয়ে। ১৭বলে তার ব্যাট থেকে আসে ৩৬ রান।

তিনে নামা আল-আমিন প্রথম সুযোগে বাজিমাত করেন। ২৫ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় করেন ৫৬ রান। ওপেনিংয়ে নাঈমের সঙ্গী সাব্বির রহমান দলের দাবি মিটিয়ে পেয়েছেন বড় রান। ৩৮ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় সাব্বির দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৬ রানকরেন। প্রথম ১০ ওভারে ঢাকার রান ছিল ১০১। দুইশ পাওয়া ছিল মামুলি বিষয়।

কিন্তু মুশফিক, ইয়াসিররা দ্রুত সাজঘরে ফেরায় তা হয়নি। মুশফিক মাশরাফির কাটারে বিভ্রান্ত হয়ে ক্যাচ দেন পয়েন্টে। ইয়াসির কোনো বল না খেলে রান আউট হন। শেষ দিকে ভরসা হয়ে ওঠেন আকবর আলী। অপুকে চার ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে আকবর দলের রান নিয়ে যান চূড়ায়। ১৪ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ৩১ রান।

বল হাতে নাজমুল ৫১ রানে দিয়ে পেয়েছেন ১ উইকেট। একম্যাচ পর দলে ফেরা শহীদুল ৩১ রানে ২ উইকেট নিয়ে ছিলেন সেরা বোলার। সাকিব ৩ ওভারে দিয়েছেন ৩৬ রান। লক্ষ্য তাড়ায় খুলনার শুরুটা ছিল একদমই বাজে। ৩০ রানে জাকির ও সাকিব সাজঘরে। অফস্পিনার রবির বল খোঁচা মেরে মুশফিকের হাতে জাকির ক্যাচ দেন ১ রানে। সাকিব ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারেননি। ৭ বলে ৮ রান করে রবির বলে ক্যাচ দেন রুবেলের হাতে।

তৃতীয় উইকেটে মাহমুদউল্লাহ ও অমি ৪৮ রানের জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়লেও তা ছিল না যথেষ্ট। আগ্রাসন বাড়াতে গিয়ে মাহমুদউল্লাহ ও অমি দুইজনই দ্রুত সাজঘরে ফেরেন। ২৬ বলে ২ চারে ২৩ রান করে মুক্তার আলীর বলে আউট হন খুলনার অধিনায়ক। অমি ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৫৩ রান করে নাসুমের বলে ক্যাচ দেন ডিপ পয়েন্টে। এরপর আর কেউ দলের হয়ে হাল ধরতে পারেননি।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৪ রান করেছিলেন শামীম হোসেন। বল হাতে শুরুতে ২ উইকেট নেওয়ার রবি পরবর্তীতে নেন আরও ৩ উইকেট। সব মিলিয়ে ৫ উইকেট নিয়ে ডানহাতি স্পিনার টুর্নামেন্টের প্রথম ৫ উইকেটের স্বাদ নেন। ৩.৩ ওভারে ২৭ রানে ৫ উইকেট নেন রবি। রুবেল ও মুক্তার পেয়েছেন ২টি করে উইকেট। বল হাতে ৫ উইকেট নিলেও ব্যাটিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলায় সাব্বির ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন। অষ্টম ম্যাচে এটি খুলনার চতুর্থ পরাজয়। সাত ম্যাচে ঢাকার এটি চতুর্থ জয়। টানা তিন হারের পর ঢাকার এটি টানা চতুর্থ জয়। ম্যাচ হারলেও টুর্নামেন্টের শেষ চার নিশ্চিত তাদের। এ জয়ে টুর্নামেন্টেরশীর্ষ দুইয়ে থাকার লড়াইয়ে আরো এগিয়ে গেল ঢাকা। 

ঢাকা/ইয়াসিন/রিয়াদ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়