দারুণ দিন কাটিয়ে শেষ বিকেলে বিপর্যস্ত দ. আফ্রিকা
এইডেন মার্করাম দারুণ প্রতিরোধ গড়েছিলেন
এইডেন মার্করাম ও রাসি ফন ডার ডাসেনের ফিফটিতে লিড নেওয়ার পর বেশ স্বস্তিতে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু শেষ বিকেলে হঠাৎ করে পাকিস্তানি স্পিনারদের প্রবল আঘাত। দিন শেষ হওয়ার আগে ১০ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে অস্বস্তিতে প্রোটিয়ারা। ৬ উইকেট হাতে রেখে তৃতীয় দিন শেষে তাদের লিড ২৯ রানের।
৮ উইকেটে ৩০৮ রানে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে পাকিস্তান। শেষ তিন ব্যাটসম্যান ছিলেন প্রতিষ্ঠিত কেউ নয়- হাসান আলী, ইয়াসির শাহ ও নওমান আলী। তারা তিন জন মিলে এই দিন আরও ৭০ রান যোগ করেন।
আগের দিনের ১৩ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিটা অবশ্য বড় করতে পারেননি হাসান ও নওমান। নতুন সকালে ১৫ রান যোগ হতে ভাঙে তাদের জুটি। হাসানকে (২১) বোল্ড করে টেস্টে দুইশ উইকেটের মালিক হন কাগিসো রাবাদা।
এরপর নওমান আর ইয়াসিরের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হতাশ করে পাকিস্তান। শেষ জুটিতে ৫৫ রান যোগ করেন তারা। চারটি চার ও একটি ছয়ে ৩৮ রানে অপরাজিত ছিলেন ইয়াসির। নওমান ৩ চারে ২৪ রান করে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে কেশন মহারাজের কাছে এলবিডাব্লিউ হন। প্রথম ইনিংসে ৩৭৮ রানে গুটিয়ে যাওয়া পাকিস্তান লিড পায় ১৫৮ রানের।
রাবাদা ও মহারাজ দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন। দুটি করে পান আনরিখ নর্টিয়ে ও লুঙ্গি এনগিদি।
দ্বিতীয় ইনিংসে মাঠে নেমে কোনও উইকেট না হারিয়ে ৩৭ রানে প্রথম সেশন শেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ক্রিজে ডিন এলগারের সঙ্গে প্রতিরোধ গড়েন এইডেন মার্করাম। লাঞ্চের পর বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি এলগার, প্রথম ইনিংসের হাফসেঞ্চুরিয়ানকে ২৯ রানে উইকেটকিপার মোহাম্মদ রিজওয়ানের দুর্দান্ত ক্যাচ বানান ইয়াসির।
বাকি সময়ে মার্করাম ও ফন ডার ডাসেন ব্যাট হাতে দাপট দেখান। তাদের হাফসেঞ্চুরিতে লিড পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। শতাধিক রানের জুটি গড়েন তারা। কিন্তু দিন শেষ হওয়ার আধ ঘণ্টা আগে ফন ডার ডাসেনকে ফিরিয়ে ব্রেক থ্রু আনেন ইয়াসির। আবিদ আলীকে ডানহাতি ব্যাটসম্যান ক্যাচ দিলে ১২৭ রানের জুটি ভাঙে। ১৫১ বলে ৫ চারে ৬৪ রান করেছিলেন ফন ডার ডাসেন।
দারুণ প্রতিরোধ গড়ার পর শেষ দিকে ১০ রানের ব্যবধানে তিন উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আরেক সেট ব্যাটসম্যান মার্করাম ২২৪ বলে ৭৪ রান করে নওমানের শিকার হন। ইয়াসিরের কাছে উইকেট হারান ফাফ দু প্লেসিস (১০)। তাতে ১ উইকেটে ১৭৪ রান করা দলটির স্কোর দিন শেষে ৪ উইকেটে ১৮৭। মহারাজ ২ ও কুইন্টন ডি কক শূন্যতে অপরাজিত আছেন।
ইয়াসির দক্ষিণ আফ্রিকার চার উইকেটের তিনটিই নেন। অন্যটি নওমানের।
ঢাকা/ফাহিম
আরো পড়ুন