ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

স্পিন জাদুতে সাড়ে তিন দিনেই পাকিস্তানের জয়

ক্রীড়া ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৪৯, ২৯ জানুয়ারি ২০২১   আপডেট: ১৫:৫৩, ২৯ জানুয়ারি ২০২১
স্পিন জাদুতে সাড়ে তিন দিনেই পাকিস্তানের জয়

উপমহাদেশীয় কন্ডিশনে স্পিন ফাঁদে পড়ে ছন্নছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৪ বছর পর পাকিস্তানে গিয়ে শুরুর অভিজ্ঞতা ভালো হলো না তাদের। অভিজ্ঞ লেগস্পিনার ইয়াসির শাহ ও অভিষিক্ত অফস্পিনার নওমান আলী ধসিয়ে দিলো সফরকারীদের। সাড়ে তিন দিনেই পাকিস্তান করাচি টেস্ট জিতে নিলো ৭ উইকেটে। দুই ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেলো ১-০ তে।

এইডেন মার্করাম ও রাসি ফন ডার ডাসেনের শতাধিক রানের জুটিতে দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণ প্রতিরোধ গড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলে দ্রুত তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে তারা। ১ উইকেটে ১৭৪ রান করা প্রোটিয়ারা দিন শেষ করে ৪ উইকেটে ১৮৭ রানে, যার মধ্যে তিনজনই হন ইয়াসিরের শিকার।

শুক্রবার চতুর্থ দিনের খেলাতেও ব্যাটিং ধসের শিকার হয় সফরকারীরা। দিনের প্রথম বলে হাসান আলী বোল্ড করেন কেশব মহারাজকে (২)। অধিনায়ক কুইন্টন ডি কককে (২) ফিরিয়ে চতুর্থ উইকেট পান ইয়াসির।

এরপর শুরু হয় ‘নওমান শো’। প্রোটিয়াদের শেষ চারটি উইকেট তিনি নেন পাঁচ ওভারে। মাত্র ১১ রানের ব্যবধানে শেষ চার ব্যাটসম্যান প্যাভিলিয়নে ফেরেন। আগের দিন মার্করামকে আউট করা নওমান ১১ রানে জর্জ লিন্ডেকে ইমরান বাটের ক্যাচ বানান। পরের ওভারে কোনও উইকেট পাননি ৩৪ বছর বয়সী স্পিনার। তার পর কাগিসো রাবাদাকে (১) করেন বোল্ড। আনরিখ নর্টিয়ে (০) কিছু বুঝে ওঠার আগেই ফাওয়াদ আলমকে ক্যাচ দেন। আর ৪০ রানে প্রতিরোধ গড়া তেম্বা বাভুমা হন এলবিডাব্লিউ। আর এই উইকেট নিয়ে ইতিহাস গড়েন নওমান।

২৫.৩ ওভারে ৮ মেডেনসহ ৩৫ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন নওমান, ম্যাচে মোট ৭ উইকেট। ১২তম পাকিস্তানি বোলার হিসেবে অভিষেকে ফাইফার পেলেন তিনি। চার উইকেট নেন ইয়াসির, ম্যাচে তিনিও সমান ৭ উইকেট পান।

২২০ রানে প্রথম ইনিংসে অলআউট হওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ২৪৫ রানে। তাতে প্রথম ইনিংসে ৩৭৮ রান করা পাকিস্তান লক্ষ্য পায় মাত্র ৮৮ রানের। ২২.৫ ওভারে ৩ উইকেটে ৯০ রান করে স্বাগতিকরা।

দুই ওপেনার ইমরান বাট ও আবিদ আলী ২২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে লাঞ্চ বিরতিতে যান। দ্বিতীয় সেশনে নর্টিয়ের তোপে পড়ে দুজনই মাঠ ছাড়েন। লাঞ্চের পর প্রথম ওভারের শুরু বলে আবিদকে (১০) বোল্ড করেন প্রোটিয়া পেসার। ওই ওভারের শেষ বলে ইমরানকে ১২ রানে ডি ককের ক্যাচ বানান তিনি।

২২ ও ২৩ রানে দুটি উইকেট হারানোর পর অধিনায়ক বাবর আজম পাকিস্তানকে সহজ জয়ের ভিত গড়ে দেন আজহার আলীকে সঙ্গে নিয়ে। লক্ষ্য থেকে ২ রান দূরে থাকতে বাবরকে (৩০) এলবিডাব্লিউ করেন মহারাজ, ভাঙে ৬৩ রানের জুটি। ওই ওভারের পঞ্চম বলে চার মেরে দলকে জয়ের বন্দরে নেন ফাওয়াদ আলম (৪*), অন্য প্রান্তে ইনিংস সেরা ৩১ রানে খেলছিলেন আজহার।

আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি রাওয়ালপিন্ডিতে হবে দুই দলের শেষ টেস্ট। এরপর লাহোরে ১১ ফেব্রুয়ারি হবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।

ঢাকা/ফাহিম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়