ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

পেস আক্রমণে সিলেটিরা

চট্টগ্রাম থেকে ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:০০, ২৯ জানুয়ারি ২০২১   আপডেট: ১৭:০৮, ২৯ জানুয়ারি ২০২১
পেস আক্রমণে সিলেটিরা

পেসার খালেদ আহমেদ যখন এমএ আজিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রাথওয়েটকে এলবিডব্লিউ করে আনন্দে আত্মহারা তখন আবু জায়েদ রাহী ও ইবাদত হোসেন জাতীয় দলের অনুশীলন শেষে হোটেল র‌্যাডিসনের নরম বিছানায় গা ভাসিয়েছেন।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে রাহী ও ইবাদতের টেস্ট স্কোয়াডে থাকার সম্ভাবনা জোরাল। খালেদকে দিতে হচ্ছে পরীক্ষা। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া বিসিবি একাদশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে খেলছেন ডানহাতি পেসার। প্রথম দিনে বল হাতে দ্যুতি ছড়িয়ে পরীক্ষায় নিশ্চিতভাবে পাশ করবেন খালেদ। ক্যারিবিয়ান অধিনায়কের আগে ডানহাতি পেসার পান আরও বোনার ও হজের উইকেট।

রাহী ও ইবাদতের সঙ্গে মূল স্কোয়াডে খালেদের সুযোগ হলে সিলেটের তিন পেসার ঠিকানা জাতীয় দল। পেস ত্রয়ী এর আগেও স্কোয়াডে ছিলেন। কিন্তু এক ম্যাচে খেলার সুযোগ হয়নি। এবার হবে কিনা নিশ্চিত নয়। তবে সিলেটের তিনজন পেসার বাংলাদেশের টেস্ট আক্রমণের প্রধানতম অস্ত্র তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

ত্রয়ীর উঠে আসার গল্পটা ভিন্ন। তবে সিলেট বিভাগীয় দল তাদের পথ মিলিয়েছে। খুলে দিয়েছে জাতীয় দলের দুয়ার। সচরাচার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের পেস বোলাররা কম সুযোগ পান। আবার সুযোগ পেলেও বোলিংয়ের পর্যাপ্ত সুযোগ মেলে না। কিন্তু সিলেট দলে তাদের তিনজনকেই সুযোগ দেওয়া হয়েছে এবং তারা সেই আস্থার প্রতিদানও দিয়েছেন।
সে’জন্যই রাহীর এমন কৃতজ্ঞতা, ‘সিলেট বিভাগকে ধন্যবাদ জানাতে হবে আমাদের। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তারা সব সময় আমাদের তিন পেসারকে অনেক মূল্যায়ন করে। অনেক সময় দেখা যায় আমরা তিন পেস বোলার খেলছি এবং বোলিং করছি।’

বিভাগীয় দলকে কৃতিত্ব দেওয়ার পাশাপাশি নিজেদের ভাবনা বদলের কথাও বললেন রাহী, ‘আমরা যত বেশি বোলিং করব তত বেশি শিখব। এবাদত, খালেদ আগে যেমন ধরেন ওরা বেশি বোলিং করতে চাইতো না। এখন যেটা হয়েছে আমরা যখন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলি তখন আমরা চাই অনেক বোলিং করতে। নিজেদের ভেতরে একটা প্রতিযোগিতা আছে।’

আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার দিক থেকে তিনজনই বেশ নবীন হলেও ঘরোয়ায় তিনজনই বেশ অভিজ্ঞ। সবারই অভিষেক হয়েছে বা হচ্ছে বয়স ২৫-এর আশপাশে। তিনজনই দীর্ঘকায়, ফিটনেসে ভীষণ সচেতন। বোলিং দক্ষতায় রাহীর আছে সুইং, এবাদতের গতি আর গতির সঙ্গে বাউন্স আছে খালেদের। গত দু-তিন মৌসুম ধরে একসঙ্গে সিলেট বিভাগের হয়ে খেলছেন বলে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়াও দারুণ।

করোনার দীর্ঘ সময় খেলার ভেতরে না থাকলেও অনুশীলন চালিয়ে গেছেন তিন সিলেটি পেসার। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রাহীর সঙ্গে অনুশীলন করেছেন ইবাদত ও খালেদ। পেসত্রয়ীর ভাবনায় ছিল, ‘আমি, ইবাদত ও রাহী সিলেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন চালিয়ে গেছি। আমরা চেষ্টা করছি, অন্তত যখন ক্রিকেট শুরু হবে তখন যেন আমাদের বোলিংয়ের ওভারলোড যেন হাই থাকে। আমরা চেষ্টা করছি আমাদের প্রক্রিয়াতে আগানোর জন্য।’

দীর্ঘদিন পর সাদা পোশাকে মাঠে ফিরতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। রাহী বিশ্বাস করেন, পেসাররা বোলিংয়ের শুরুতে সাফল্য এনে দিলে লড়াইয়ে অনেকটাই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। তার ভাষ্য, ‘সর্বশেষ ফেব্রুয়ারিতে আমরা জিম্বাবুয়ের সঙ্গে শেষ টেস্ট খেলেছি। অনেক দিন ধরে টেস্ট ক্রিকেট হয়নি। আমরা যদি বোলিংয়ের শুরুটা ভালো করি তাহলে আমাদের (দলের) শুরুটাও ভালো হবে।’ 

চট্টগ্রাম/ইয়াসিন

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়