ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

প্রথম শতক পরিবারকে উৎসর্গ মিরাজের

চট্টগ্রাম থেকে ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৫২, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১   আপডেট: ১০:০৩, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১
প্রথম শতক পরিবারকে উৎসর্গ মিরাজের

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তো বটেই, প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে মেহেদী হাসান মিরাজের প্রথম শতক। বলার অপেক্ষা রাখে না তার জন্য এ তিন অঙ্ক ভাস্বর হয়ে থাকবে অনন্তকাল। বিশেষ এ অর্জন কাকে উৎসর্গ করবেন মিরাজ।

জানতে চাওয়া হয়েছিল দিনের খেলা শেষে। উত্তরে মিরাজ বলেন, ‘উৎসর্গ অবশ্যই পরিবারের সকল সদস্যকে করতে চাই। মা-বাবা, আমার জন্য দোয়া করেন। আমার স্ত্রী আছে, বাবু আছে। আমার স্ত্রী বাবুকে বলে, ‘‘বাবাকে দোয়া করে দাও।’’ একটুকু বাচ্চা সে কি বুঝে তাও তাকে দোয়া করতে বলা হয়। পরিবার সবসময়ই আমার জন্য দোয়া করে।’ 

ডানহাতি স্পিন অলরাউন্ডার প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলছেন ২০১৪ থেকে। অথচ সাত বছর পর তার নামের পাশে যুক্ত হলো প্রথম তিন অঙ্ক। ২০১৩ সালের এপ্রিলে মিরাজ প্রথম জাতীয় পর্যায়ের ক্রিকেট খেলেছিলেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে। অভিষেকে শ্রীলঙ্কা যুব দলের বিপক্ষে হাঁকিয়েছিলেন শতক। তখন তার বয়স ছিল ১৫। এরপর কতশত ম্যাচ খেলেছেন বিভিন্ন মঞ্চে, বিভিন্ন জার্সিতে। পারফরম্যান্সে দ্যুতি ছড়ালেও ছিল না শতক। সব মিলিয়ে ২৪৭ ইনিংস পর মিরাজ পেলেন শতক। অসাধারণ ব্যাটিংয়ে আসা প্রথম শতক উদযাপন ছিল চোখে লেগে থাকার মতো। জোমেল ওয়ারিক্যানের লেন্থ বল সুইপ করে ফাইন লেগে পাঠিয়ে দৌড়।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তার উল্লসিত চিৎকার। রান নেওয়ার জন্য দৌড়াচ্ছেন, সঙ্গে মুখে চড়া হাসি। চোখে মুখে বড় কিছু পাওয়ার আনন্দ। ব্যাট উঠিয়ে ক্রিজের মাঝখানেই উদযাপন শুরু। ওই রানে ৯৯ থেকে মিরাজ পৌঁছে যান তিন অঙ্কে। দ্বিতীয় রান নেওয়ার সুযোগও হাতছাড়া করেননি।

দৌড়ে প্রান্তবদলের পর হেলমেট খুলে ব্যাট উঁচিয়ে ধরেন। ড্রেসিংরুমের বাইরে গ্যালারিতে বসে তার ব্যাটিং দেখেন কোচিং স্টাফ। সবাই দাঁড়িয়ে অভিনন্দন জানান ইনিংসের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ানকে। এরপর সৃষ্টিকর্তার কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মিরাজ দিলেন সিজদাহ। আট নম্বরে নেমে ১৬০ বলে এলো শতক। ইনিংসটি শেষ পর্যন্ত থামে ১০৩ রানে। 

আটে নেমে এর আগে বাংলাদেশের তিন ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি পেয়েছেন। ২০০৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খালেদ মাসুদ পাইলটের ১০৩, ২০১০ সালে নিউ জিল্যান্ডের হ্যামিল্টনে মাহমুদউল্লাহর ১১৫ ও ২০১৩ সালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সোহাগ গাজীর ১০১ রান।

চট্টগ্রাম/ইয়াসিন/রিয়াদ 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়