প্রয়োজন না হলে সাকিব নামবেন না!

টেস্ট ক্রিকেটে ফেরা সাকিব আল হাসানকে ছাড়া চট্টগ্রাম টেস্টের তৃতীয় দিন কাটিয়েছে বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার টেস্টের দ্বিতীয় দিন বাঁ পায়ের ঊরুতে চোট পান তিনি। এরপর আর মাঠে ফেরেননি। টেস্টের বাকিটা সময় সাকিবকে কি পাওয়া যাবে?

দল থেকে জানানো হয়েছে, এখনও সাকিব আছেন বিশ্রামে। মাঠে নামবেন কি নামবেন না তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে বিসিবির এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করলেন, দলের প্রয়োজন হলেই সাকিবকে নামানো হবে। নয়তো সাকিবকে বিশ্রামেই রাখবে টিম ম্যানেজমেন্ট।

চট্টগ্রাম টেস্টের নাটাই এখন বাংলাদেশের হাতে। ৭ উইকেট হাতে রেখে ২১৮ রানের লিড নিয়ে বাংলাদেশ দিন শেষ করেছে। এখান থেকে ৩০০ এর বেশি লিড পাওয়া হবে স্বস্তির। তৃতীয় দিন শেষে উইকেট ভাঙতে শুরু করেছে। স্বাগতিকদের তিন স্পিনার ২২ গজে ভয়ংকর হয়ে উঠবে বলার অপেক্ষা রাখে না। 

সেক্ষেত্রে সাকিবের প্রয়োজন হতে পারে সামান্য। তবে অতিথিদের প্রতি আক্রমণে ম্যাচ নাগাল থেকে বেরিয়ে গেলে সাকিবকে মাঠে নামানোর চিন্তা করবে দল।

বিসিবির ও দলের নির্ভরযোগ্য সূত্র বলেন,' ‘চট্টগ্রাম টেস্টে সাকিবের না খেলার সম্ভাবনাই বেশি। দল যদি বিপদে না পড়ে, তাহলে সাকিব ব্যাটিং-বোলিং কোনোটাই করবেন না। তবে যদি এমন অবস্থা হয় যে, সাকিবকে ছাড়া হচ্ছেই না, তখন হয়তো তাকে খেলানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

গতকাল মাঠ ছাড়ার সময় সাকিবকে কুঁচকির পুরোনো চোটে অস্বস্তি অনুভব করতে দেখা গেছে। কিন্তু বিসিবি আজ শুক্রবার জানালো, সাকিব নতুন করে বাঁ পায়ের ঊরুতে চোট পেয়েছেন। বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী তার নতুন ইনজুরি নিয়ে ধারণা দিলেন, ‘এটাও কুঁচকির ইনজুরি। কিন্তু নতুন একটি জায়গায় টান পড়েছে। এজন্য ঊরুর চোটের কথা বলা হচ্ছে।’

গতকাল দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করার আগে মাঠে ছাড়েন সাকিব। দিনের শেষ ঘণ্টার খেলায় মাঠে ছিলেন না তিনি। ষষ্ঠ ওভার বল করে উঠে যান। এর আগে ৬ ওভারে রান দেন ১৬।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে বাঁ পায়ের কুঁচকিতে চোট পেয়েছিলেন। যদিও চোট কাটিয়ে মাঠে ফেরা সাকিবকে স্বস্তিতে দেখা যায়নি। বোলিং করেছেন ধীর গতিতে। ফিল্ডিংয়েও ছিলেন মন্থর।

ব্যক্তিগত তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে ফিল্ডিং করতে গিয়ে অস্বস্তি অনুভব করেন। এরপর বোলিং চালিয়ে গেলেও মোটেও ফিট ছিলেন না তিনি। তার আগে দারুণ ব্যাটিংয়ে ৬৮ রান করেছিলেন তিনি। শুক্রবার সকালে তার এমআরআই করানো হয়। বিসিবির মেডিকেল বিভাগ তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখছে।

চট্টগ্রাম টেস্টে সাকিবকে আবার মাঠে দেখা যাবে কি না সময়ই বলে দেবে। ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরুর অপেক্ষায় থাকা ঢাকা টেস্টে তাকে না পাওয়ার প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। কারণ এ ধরনের ইনজুরির মূল চিকিৎসা বিশ্রাম।