ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

‘এই ইনিংস অবশ্যই তরুণদের অনুপ্রাণিত করবে’

ক্রীড়া প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:১০, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১   আপডেট: ২১:৪১, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১
‘এই ইনিংস অবশ্যই তরুণদের অনুপ্রাণিত করবে’

ম্যাচসেরা কাইল মায়ার্স

ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩৯৫ রানের লক্ষ্য দিয়ে ৫৯ রানে ৩ উইকেট নেয় বাংলাদেশ। লক্ষ্য থেকে ৩৩৬ রান দূরে থাকতে ক্রিজে জুটি বাঁধলেন কাইল মায়ার্স ও এনক্রুমাহ বোনার। চতুর্থ দিন শেষ সেশনের সমাপ্তি টানলেন তারা অপরাজিত থেকে, স্কোর ৩ উইকেটে ১১০ রান। ২৮৫ রানে এগিয়ে থেকে শেষ দিন মাঠে নামতে যাওয়া বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ঘুমটা নিশ্চিন্তে হয়েছে, হয়তো সহজ জয়ের স্বপ্নও দেখে ফেলেছিলেন তারা। কিন্তু মাঠে নামার পর বোনারের সঙ্গে দুর্দান্ত এক জুটি গড়ার পর ডাবল সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশকে কল্পনাতীত হারের তেতো স্বাদ দিলেন মায়ার্স।

দুই সেশন ক্রিজ আঁকড়ে ছিলেন মায়ার্স ও বোনার। চতুর্থ উইকেটে তাদের জুটি ছিল ২১৬ রানের। বোনার ৮৬ রান করতে গিয়ে খেলেছেন ২৪৫ বল। ৩ উইকেটের জয়ে ২১০ রানে অপরাজিত থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মায়ার্স। এশিয়ায় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড গড়েছে উইন্ডিজ। এমন এক অবিস্মরণীয় ইনিংস খেলার পর বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের অনুভূতি, ‘টেস্ট ক্রিকেটে খেলাটা দুর্দান্ত অনুভূতি। প্রথমে সেঞ্চুরি করা, পরে দুইশ এবং ম্যাচ জেতা, সত্যিই এটা বিশেষ অনুভূতি।’

এই ইনিংস তরুণদের অনুপ্রাণিত করবে বিশ্বাস মায়ার্সের, ‘আমি কোচ, অধিনায়ক, সতীর্থ ও দেশে থাকা পরিবারকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। প্রত্যেকের কাছে আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। একজন ক্রিকেটারের অভিষেক হলো এবং সেই ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি করলো, এটা অবশ্যই তরুণদের অনুপ্রাণিত করবে।’

নিজের সামর্থ্য নিয়ে কখনও দোটানায় ছিলেন না ২৩ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। অভিষেক ম্যাচ হলেও লড়াকু মনোভাব ধরে রেখেছিলেন মায়ার্স, ‘আমার সামর্থ্যে আমি সবসময় ইতিবাচক ও বিশ্বাসী। বিশ্বাস ছিল আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো। আমরা কখনও হাল ছাড়িনি এবং লড়াই করে গেছি। অধিনায়ক ও কোচ আমাদের লড়াই করতে বলেছেন। শ্যানন (গ্যাব্রিয়েল) এই উইকেটে দারুণ চেষ্টা করেছে এবং এটা আমাদের সবাইকে অনুপ্রেরণা দিয়েছে।’

শেষ দিন তিনশরও কম রান দরকার ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। তাই ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েটের বিশ্বাস ছিল জয়ের। উইন্ডিজ অধিনায়ক ও ওপেনার ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘প্রথম দিন থেকে এই দলের ওপর আমার বিশ্বাস ছিল এবং শেষ দিন পর্যন্ত আমরা আমাদের ওপর আস্থা হারায়নি। তিন উইকেট হারিয়ে আমরা কিছুটা ছিটকে গিয়েছিলাম, কিন্তু পিচ ভালো খেলার মতো উপযুক্ত ছিল। আমাদের পরিকল্পনার ওপর বিশ্বাস ছিল। মায়ার্স ও বোনার তা বাস্তবায়ন করেছে দারুণভাবে। আমার আরও বড় রান করার দরকার ছিল।’

দলগত পারফরম্যান্সের কারণে এই সাফল্য এসেছে মনে করেন ব্র্যাথওয়েট, ‘মায়ার্স প্রথমে দাঁড়ালো, এরপর জশুয়া। শ্যানন আমাদের আগ্রাসী স্পেল দিয়েছে, রোচ বল করেছে নিঃসঙ্কোচে। স্পিনাররা কখনও অভিযোগ করেনি যে তারা কখন বল করবে। আমরা একটা দল হিসেবে খেলেছি। আমরা প্রমাণ করেছি এই দল দুর্বল নয়। এখানে আসা ও ভালো খেলা ছিল আমাদের অনুপ্রেরণা। পঞ্চম দিন আমাদের ভালো করতে হতো এবং আমরা তা করেছি, যা ছিল দারুণ।’

ঢাকা/ফাহিম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়